এক

ছুটির দিনে আমাদের দৈনন্দিন রুটিন বদলে যায়। যেমন পরদিন স্কুল বা অফিস নেই বলে আগের রাতে আমরা বেশি সময় জেগে থাকি, বাইরে খেতে যাই বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে আড্ডা দিই। কখনো রাত জেগে টিভি বা সিনেমা দেখি। বায়োলজিক্যাল ক্লক বা দেহঘড়ির ছন্দপতন হয়। পরদিন বেশ বেলা পর্যন্ত ঘুমালেও তাই ঘুমের রেশ কাটে না।

ঘুম অনেকটা খাদ্যাভ্যাসের মতোই—এমনই মত ঘুমবিশারদদের। খাবারের সময়সূচিতে আকস্মিক পরিবর্তনে যেমন শরীর খারাপ লাগে, ঘুমের বেলায়ও তাই। সে কারণে চেষ্টা করবেন ছুটির দিনেও রুটিনের বড় ধরনের ব্যত্যয় না করতে। সকালে না হয় অন্যদিনের তুলনায় এক ঘণ্টা বেশি ঘুমালেন, তার বেশি নয়।

দুই

আমরা সব কাজ ছুটির দিনের জন্য জমা করে রাখি। চাকরিজীবীদের জীবনে সপ্তাহের শেষে ছুটির দিনটা যেন আরও ব্যতিব্যস্ততায় পূর্ণ। চেষ্টা করুন সপ্তাহজুড়েই সংসার ও ব্যক্তিগত কাজ একটু একটু এগিয়ে রাখতে। ছুটির দিনটাতে কাজ করলেও রিল্যাক্স থাকার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুনকখন কোন বাদাম খাবেন, বিশ্বের শীর্ষ গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্টের পরামর্শ২৩ জুলাই ২০২৫তিন

দেখা যায়, ছুটির আগের দিন বা ছুটির দিনে খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন হয়। ভালোমন্দ রান্না হয়, বাইরে খাওয়া হয়। কখনো নিমন্ত্রণ থাকে। তেল–চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে পেটে দেখা দেয় নানা সমস্যা। তাই খারাপ লাগে। এ সমস্যা এড়াতে এক বেলা নিমন্ত্রণ বা বাইরে খাবারের কথা থাকলে অন্য বেলা হালকা খাবার রাখুন। বেশি খাবেন না। আর বেশি দেরি করেও খাবেন না।

চার

নিত্যদিনের ব্যায়ামও অনেক সময় বাদ হয়ে যায় ছুটির দিনে। তাই ছুটির দিনে ব্যায়ামে একটু বৈচিত্র্য আনতে পারেন। হাতে যথেষ্ট সময় থাকে বলে এদিন হয়তো সাঁতার কাটতে গেলেন বা যোগব্যায়াম করলেন। অথবা বাগানে কাজ করে ক্যালরি ক্ষয় করলেন।

আরও পড়ুনজেনে নিন ভালোবাসার মানুষের পাশে ঘুমানোর ৭টি উপকারিতা১২ ঘণ্টা আগেপাঁচ

ছুটির দিনেই আমরা সুযোগ পাই দুপুরে বা বিকেলে আরেকবার বিছানায় গড়িয়ে নেওয়ার। এই বাড়তি ঘুমের কারণে আবার রাতের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। পরবর্তী দিনে পড়ে এর মন্দ প্রভাব। তাই অভ্যাস না থাকলে বিকেলে ঘুমাবেন না। আর ঘুমালেও আধা ঘণ্টার বেশি নয়।

আরও পড়ুনজিংকের অভাবে ভুগছেন না তো৪ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ