যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার রাতে এ আদেশ দেন।

এর আগে পুলিশ সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে আদালতে হাজির করে যাত্রাবাড়ী থানায় দায়ের করা আবদুল কাইয়ুম হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। অপর দিকে খায়রুল হকের পক্ষ থেকে জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাজধানীর ধানমন্ডির একটি বাসা থেকে আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে খায়রুল হককে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। তারপর তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আদালতে হাজির করা হয়।

খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানায় এবং নারায়ণগঞ্জে মোট তিনটি মামলা রয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল মামলার মূল রায়দানকারী বিচারপতি হিসেবে রাজনৈতিকভাবে সমালোচিত খায়রুল হক।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় খায়রুল হকের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে রায় দেওয়া এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা রয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী ভূঁইয়া বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এ ছাড়া ঢাকাতে তাঁর নামে মামলা রয়েছে।

দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর নিয়োগ পান খায়রুল হক। একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে তাঁর নিয়োগ কার্যকর হয়। পরের বছরের ১৭ মে তিনি অবসরে যান।

আরও পড়ুনসাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক ঢাকায় আটক১২ ঘণ্টা আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খ য র ল হকক খ য র ল হক

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ