রাশিয়ার দূরপ্রাচ্যে বিধ্বস্ত বিমানের ৪৮ যাত্রীর সবাই মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার দেশটির আমুর অঞ্চলের প্রধান এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা, জরুরি অবস্থা ও দুর্যোগ ত্রাণ মন্ত্রণালয়  এর আগে জানিয়েছিল, সাইবেরিয়াভিত্তিক আঙ্গারা এয়ারলাইন্স পরিচালিত এএন-২৪ বিমানটি চীন সীমান্তবর্তী আমুর অঞ্চলের শহর টিন্ডায় যাচ্ছিল। গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সময় বিমানটি রাডার স্ক্রিন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, রাশিয়ার উদ্ধারকারীরা বিমানের আগুনের শিখা দেখতে পেয়েছেন এবং বিমানের ধ্বংসাবশেষ আমুরে পাওয়া গেছে।

ন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে বলেছে, “রোসাভিয়াতসিয়া (রাশিয়ার বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ) পরিচালিত একটি এমআই-৮ হেলিকপ্টার বিমানের জ্বলন্ত শিখা দেখতে পেয়েছে।”

বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, দুর্বল দৃশ্যমানতার মধ্যে অবতরণের সময় বিমানের ক্রুদের একটি ত্রুটি দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণগুলোর মধ্যে একটি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, বিমানটিতে একজন চীনা নাগরিক ছিলেন। 

দূরপ্রাচ্যের পরিবহন প্রসিকিউটরের কার্যালয় এক অনলাইন বিবৃতিতে জানিয়েছে, বিমানটি দ্বিতীয়বার অবতরণের চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই বিমান ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ম নট

এছাড়াও পড়ুন:

সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ 

সাগরে এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৭০ মণ ইলিশ মাছ। দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীর সমুদ্রে এই ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে সাইফ ফিশ আড়তে এই মাছ বিক্রির উদ্দেশ্যে ওঠানো হয়। মাছগুলো ডাকের মাধ্যমে বিক্রি হয় ৪০ লাখ টাকায়। ট্রলারটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ ইলিশ তুলে দেওয়া হয়। 

মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সূত্রে জানাগেছে, পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের সাইফ কোম্পানির এফবি সাফওয়ান-৩ মাছ ধরার ট্রলার গত ২৯ অক্টোবর সকালে পাথরঘাটা থেকে ১৯ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। 

ওই দিন বিকেলে কুয়াকাটা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে জাল ফেলার পরই রাতে মাছগুলো ধরা পড়ে। ট্রলারটিতে জায়গায় সংকুলান না হওয়ায় তাদেরই আরেকটি ট্রলার সাইফ-২ এ আরো কয়েক মণ তুলে দেওয়া হয়। জেলেরা বলছে, সব মিলিয়ে ১৭০ থেকে ১৭৫ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে। 

এফবি সাফাওয়ান-৩ ট্রলারের মাঝি রুবেল হোসেন বলেন, “আমরা ২৯ অক্টোবর সাগরে যাই। বিকেলে লম্বা জাল (ইলিশ জাল) ফেলার পর রাত আটটার দিকে জালের অবস্থা দেখে বুঝতে পারি প্রচুর মাছ ধরা পড়েছে। রাত আটটা থেকে জাল টানা শুরু করে পরদিন দুপুর দেড়টা পর্যন্ত জাল ট্রলারে উঠানো শেষ হয়।”

সাইফ ফিশিং কোম্পানির ব্যবস্থাপক মনিরুল হক মাসুম জানান, অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছিল। ইলিশ মৌসুমে কাঙ্খিত মাছ ধরা না পড়ায় আমাদের লোকসান গুনতে হচ্ছিল। সাগরে অবৈধ ট্রলিং বোট বন্ধ করা হলে জেলেদের জালে প্রচুর মাছ ধরা পড়বে। 

পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়তদার মোস্তফা আলম বলেন, “মাছগুলো আমার আড়তে বিক্রি হয়েছে। ইলিশের প্রকারভেদ ২৭ হাজার, ২২ হাজার, ১২ হাজার টাকায় মণ দরে সব মিলিয়ে ৩১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকায় এই মাছ বিক্রি হয়।” 

বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, “২২ দিনের অবরোধ শেষে জেলেরা সাগরে গিয়েই মাছ পেয়েছে- এটা খুশির খবর। তবে দীর্ঘদিন ধরে কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা মেলেনি। হঠাৎ এক ট্রলারে ১৪০ মণ ইলিশ পাওয়ায় আমরাও খুশি।”

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মহসীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।”

তিনি বলেন, “জেলেরা সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মানলে এবং অবৈধ জাল বন্ধ তাদের জেলেদের সুদিন ফিরবে।”

ঢাকা/ইমরান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাগরে এক ট্রলারে ৪০ লাখ টাকার ইলিশ