নোয়াখালীতে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের পর আগুন, তরুণের মৃত্যু
Published: 24th, July 2025 GMT
নোয়াখালীর সেনবাগে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও চারজন। তাঁদের মধ্যে দুজন দগ্ধ হয়েছেন। দুর্ঘটনায় একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের খাজুরিয়া সরদারপাড়া মোড় এলাকায় সেনবাগ-সোনাইমুড়ী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি হলেন উপজেলার ছাতারপাইয়া গ্রামের মো.
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা মো. জামাল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ছাতারপাইয়া বাজার থেকে একটি মোটরসাইকেল দ্রুতগতিতে কানকিরহাটের দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে খাজুরিয়া সরদারপাড়া মোড়ে মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসার সামনে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরে যায়।
জামাল হোসেন জানান, দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল দুটির পাঁচ আরোহী মারাত্মকভাবে আহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজন আগুনে দগ্ধ হন। স্থানীয় লোকজন দ্রুত আগুন নেভান এবং আহতদের উদ্ধার করে ছাতারপাইয়া বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান।
বেসরকারি হাসপাতাল সাফিয়া-সোবহান হসপিটালের ব্যবস্থাপক মো. মেজবাহ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুর্ঘটনায় আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে রানা নামে একজনকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যান সেনবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুস সালাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল দুটি জব্দ করা হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।