মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আকবরপুরে মো. আবদুল মান্নানের বাগানে আছে নানা জাতের ফলের গাছ। বাগানটিকে বৈচিত্র্য আর সৌন্দর্য দিয়েছে রাম্বুটান ও পিনাট বাটারের মতো নতুন নতুন দেশি-বিদেশি ফল।

২০১৮ সালে বাগানটির যাত্রা শুরু। সম্প্রতি মান্নানের ফলবাগানে গিয়ে দেখা যায়, প্রাচীর দেওয়া স্থানটিতে টিলাজুড়ে সুনসান নীরবতা। কিছু চেনা-অচেনা পাখির ডাক ছাড়া আর কোনো শব্দ নেই। টিলার ঢালে ঢালে, সমতলে অনেক ধরনের গাছ। একদম পরিপাটি, সাজানো-গোছানো দাঁড়িয়ে আছে নানা জাতের ফলের গাছ। বাগানের কয়েকটি স্থানে টিলার ঢালুতে দেখা গেছে রাম্বুটানের গাছ। তাতে ডাল বোঝাই হয়ে ফল এসেছে। বেশির ভাগ ফল তখনো কাঁচা, তাই সবুজ রঙের। কিছু ডালে ফল পাকতে শুরু করেছে। অনেক ফল হলুদ হয়ে উঠেছে। কিছু ডালে লাল রঙের ফল হাসছে। এটি এই অঞ্চলে একটি নতুন ফল। অনেকেই রাম্বুটানের সঙ্গে পরিচিত নয়।

আবদুল মান্নান প্রথম আলোকে বলেন, প্রায় চার বছর আগে দেশের বিভিন্ন স্থানের নার্সারি থেকে তিনি রাম্বুটানের চারা সংগ্রহ করেন। চারার দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে। রোপণের এক বছর পর থেকেই গাছে ফল আসতে শুরু করে। গত বছর ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি দরে প্রায় ১০ হাজার টাকার রাম্বুটান বিক্রি করেছেন। এবার আরও বেশি টাকার রাম্বুটান বিক্রি করতে পারার আশা তাঁর। তাঁর বাগানে ২৫টি রাম্বুটানের গাছ আছে। এবার ১০ থেকে ১৫টি গাছে ফল এসেছে। ফলটি দেখতে খুবই সুন্দর, খেতেও সুস্বাদু। এলাকায় এটি নতুন ফল। ফল বাজারে নেওয়া লাগে না। পরিচিত লোকজনের মধ্যে যাঁরা জানেন, তাঁরা এসে বাগান থেকেই নিয়ে যান।

রাম্বুটান লিচু পরিবারের একটি ফল। সুস্বাদু এ ফলের আদি উৎস মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া। তবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতেও এই ফল হয়ে থাকে। এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বাণিজ্যিকভাবে ফলটির চাষ হচ্ছে। মালয় ভাষায় ‘রামবুট’ শব্দের অর্থ হচ্ছে চুল। খোসার ওপর চুলের মতো হওয়ায় ফলটির এমন নামকরণ।

আবদুল মান্না ২০১৮ সালে বাগানটি শুরু করেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ

‎পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চারটি কোম্পানির সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও তা নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন না করায় সাত নিরীক্ষক (অডিটর) প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ বছরের জন্য অডিট এবং অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সেইসঙ্গে ওই নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষকদের কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না, সেই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে তাদের শুনানিতে ডাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

আরো পড়ুন:

সোনালী পেপারের শেয়ার কারসাজি: ১১ কোটি ৮২ লাখ টাকা জরিমানা

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

‎গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৭৩তম কমিশন সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‎বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

‎সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক এ হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; রিংসাইন টেক্সটাইল লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৭, ২০১৮, ২০১৯ এবং ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক যথাক্রমে: আহমেদ অ্যান্ড আক্তার, মাহফেল হক অ্যান্ড কোং, আতা খান অ্যান্ড কোং এবং সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস; আমান কটন ফাইব্রাস লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক ইসলাম কাজী শফিক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস এবং ফারইষ্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৩০ জুন, ২০১৮ ও ২০১৯ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষা ফার্ম ও নিরীক্ষক মাহফেল হক অ্যান্ড কোং চার্টার্ড এ্যকাউন্ট্যান্টস আর্থিক প্রতিবেদনে গুরুতর আর্থিক অনিয়ম ও সিকিউরিটিজ আইনের লঙ্ঘন থাকা সত্ত্বেও নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উত্থাপন করেনি। 

এ সকল নিরীক্ষা ফার্ম এবং নিরীক্ষককে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত সকল কোম্পানি, সকল ধরনের বিনিয়োগ স্কিম (যথা- মিউচ্যুয়াল ফান্ড, অল্টারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ও এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড) এবং পুঁজিবাজারে মধ্যস্থতাকারী সকল প্রতিষ্ঠানের অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রম পরিচালনার উপর নিষেধাজ্ঞা তথা পাঁচ বছরের জন্য অডিট ও অ্যাসিউর‍্যান্স কার্যক্রমে অংশগ্রহণে কেন অযোগ্য ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে ব্যাখ্যা তলব করে শুনানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

‎ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৪ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম: ৭ অডিটর নিষিদ্ধ
  • পুলিশের ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর