বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা একটার দিকে দ্বীপের বেশির ভাগ এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। এতে বহু ঘরবাড়ি, সড়ক ও খামার পানিতে ডুবে যায়। অনেক পুকুর ও মাছের ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। তবে এখনো বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকেই দ্বীপে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে হঠাৎ করে নামার বাজার (শতফুল), বন্দরটিলা, চর আবদুল্লাহসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়। জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় চলাচলের প্রধান সড়কগুলো। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়ে হাজারো মানুষ।

নামার বাজার এলাকার বাসিন্দা সেতারা বেগম দুপুরে রান্নার সময়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রান্নাঘরের মাটির চুলায় ভাত বসিয়েছিলাম। হঠাৎ দেখি পানিতে চুলা ডুবে যাচ্ছে। কোনোরকমে ভাত হয়ে গেল, তরকারি আর রান্না করতে পারিনি। পরে ইট তুলে চুলা বানিয়ে রান্না শেষ করেছি। আশপাশের অনেকেই পানির কারণে রান্নাই করতে পারেননি।’

নামার বাজারের পল্লি চিকিৎসক বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দ্বীপের সবচেয়ে উঁচু বাজার হিসেবে পরিচিত নামার বাজারও এবার তলিয়ে গেছে। বেলা একটার পর থেকেই বাজার ও আশপাশের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে।’

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো.

জামসেদ বলেন, ‘জুমার নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, এমন সময় হঠাৎ করে পানি বেড়ে যায়। দ্বীপের বহু পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। লাখ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে।’

নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লাভলী বেগম বলেন, ‘চলাচলের প্রধান সড়কসহ প্রায় পুরো ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে মানুষের দুর্ভোগ চরমে ওঠে। বিকেলের পর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে।’

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘অস্বাভাবিক জোয়ারে নিঝুম দ্বীপের বেশির ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির নির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ল ব ত হয়

এছাড়াও পড়ুন:

ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান তার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে ‘আরো শক্তিশালী করে’ পুনর্নির্মাণ করবে। রবিবার সরকারি সংবাদমাধ্যমকে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্রের সন্ধান করছে না।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে স্থাপনাগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছিল সেগুলো পুনরায় চালু করার চেষ্টা করলে তেহরান ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে হামলার নির্দেশ দেবেন।

ইরানের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “ভবন ও কারখানা ধ্বংস আমাদের জন্য কোনো সমস্যা তৈরি করবে না, আমরা আরো শক্তির সাথে পুনর্নির্মাণ করব।”

জুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালিয়েছিল। ওই সময় ওয়াশিংটন বলেছিল, স্থাপনাগুলো পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির লক্ষ্যেএকটি কর্মসূচির অংশ ছিল। তবে তেহরান জানিয়েছিল, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে বেসামরিক উদ্দেশ্যে।

ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের প্রসঙ্গে পেজেশকিয়ান বলেছেন, “এগুলো জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য, রোগের জন্য, জনগণের স্বাস্থ্যের জন্য।”

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ