বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির নির্ধারিত মেয়াদ অতিক্রান্ত হওয়ায় উক্ত কমিটির সব ধরনের কার্যক্রম পরবর্তী নিদের্শ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করা হলো। 

এর আগে গত বছরের ২৪ নভেম্বর ইমরান আহমেদকে আহ্বায়ক ও ডা.

আশফাক আহমেদ জামিলকে সদস্যসচিব করে ১৫৫ সদস্যের রংপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। 

এবিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা কমিটির আহবায়ক ইমরান আহমেদ বলেন, “মেয়াদ উত্তীর্ণের কথা বলে হঠাৎ করে কমিটি স্থগিতের একটি চিঠি পেয়েছি, এতে আমরা হতবাক। কারণ, মেয়াদ উত্তীর্ণের আগে আমাদেরকে বলা উচিত ছিল কেন্দ্রীয়ভাবে যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। কিন্তু সেটি না করে কোন এক অজানা কারণে তারা কমিটি স্থগিত ঘোষণা করেছে। এ বিষয়ে আমরা রংপুরের জেলা কমিটির বিপ্লবীরা ষড়যন্ত্রের শিকার।”

কারণ হিসেবে ইমরান বলেন, “যেদিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ঠিক ওই একই দিনে রংপুর মহানগর কমিটিও ঘোষণা করা হয়েছিল। অথচ মহানগর কমিটি বলবত রেখে জেলা কমিটি স্থগিত করেছে। এতে করে স্পষ্ট বোঝা যায়, বিগত সময়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির নানা কার্যক্রমে দলবলে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং তাদের আন্দোলনে বা কমিটিতে সরাসরি যুক্ত না হওয়ায় এমন ষড়যন্ত্রের শিকার।” 

তবে হঠাৎ করে কমিটি স্থগিত হওয়ার বিষয়ে ইমরান আহমেদ বলেন, “আমরা এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি, সম্পাদক বরাবর যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি তারা ফোন রিসিভ করেননি। কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকের কাছে এর ব্যাখ্যা চেয়েছি, তিনি বলেছেন সময় মত জানানো হবে।”

ঢাকা/আমিরুল/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কম ট র ইমর ন আহম দ

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ