খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় জেএসএস সন্তু গ্রুপ ও ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চার জন নিহত হওয়ার কথা শোনা গেলেও কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে আটটার দিকে বাবছড়া ইউনিয়নের নারাইছড়ি বিওপি হকে আনুমানিক আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব কোনে জোড়া সিন্দু কারবারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
 
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জাকারিয়া বলেন, “দীঘিনালার দুর্গম এলাকা নারাইছড়ি বিওপি হতে আড়াই থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব কোনে জোড়া সিন্দু কারবারি এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে এবং এতে চার জন নিহত হওয়ার কথা শুনেছি। তবে তা সঠিক কিনা জানি না। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় যৌথবাহিনী ছাড়া পুলিশের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব না।”

ইউপিডিএফ-এর খাগড়াছড়ির সংগঠক অংগ্য মারমা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গতকাল শুক্রবার দীঘিনালার বাবুছড়া জোড়া সিন্ধু কারবারি পাড়ায় জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপের সাথে ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর গোলাগুলি হয়েছে এবং এতে ইউপিডিএফ-এর চার সদস্য নিহত হয়েছে বলে মিডিয়ায় যে খবর প্রচারিত হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও গুজব।

তিনি বলেন, “মিডিয়ায় প্রচারিত উক্ত গোলাগুলির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার কোন তথ্য ইউপিডিএফের জানা নেই এবং ইউপিডিএফ একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে ‘গণমুক্তি ফৌজ’ বা ‘পিপলস্ লিবারেশন আর্মি’ নামে তার কোন সামরিক শাখাও নেই। এটি একেবারেই অবান্তর ও কাল্পনিক। এসব গুজব ও অপপ্রচারে কান না দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।”

তবে এ বিষয়ে সন্তু লারমা দলের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/রূপায়ন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ