শর্ত সাপেক্ষে উত্তরায় সিনেমা–নাটকের শুটিং বন্ধের নির্দেশনা প্রত্যাহার হচ্ছে
Published: 26th, July 2025 GMT
শুটিংয়ের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছিল উত্তরা কল্যাণ সমিতি সেক্টর–৪। শুটিংয়ে জনসমাগম ও বাসিন্দাদের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরে ২০ জুলাই হাউস মালিকদের বাড়ি ভাড়া না দেওয়ার আহ্বান জানায় সমিতি। তবে নির্মাতা ও শিল্পীদের প্রতিবাদ ও ডিরেক্টরস গিল্ডের আনুষ্ঠানিক আপত্তির পর অবশেষে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। তবে কিছু নতুন কয়েকটি শর্ত আরোপ করা হবে। আজ শনিবার বিকেলে আলোচনার পর বিষয়টির সমাধান হবে। প্রথম আলোকে এমনটাই নিশ্চিত করেছেন উত্তরা কল্যাণ সমিতি সেক্টর-৪ ও শুটিং হাউস মালিকদের সংগঠনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা।
উত্তরা কল্যাণ সমিতি সেক্টর-৪–এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বানী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কল্যাণ সমিতি এই এলাকার সবার কল্যাণে নিয়োজিত আছে। আবাসিক এলাকার মধ্যে আমরা সবাই মিলেমিশে আছি। কারও ক্ষতি হয়, এ রকম কিছু কল্যাণ সমিতি করবে না। তবে সবাইকে একটা নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করলে সুবিধা হয়। এলাকাও সুরক্ষিত থাকে। এ জন্যই আজ আমরা একসঙ্গে বসব। আশা করছি, সবকিছুর সুন্দর সমাধান হবে।’
শুটিং হাউস মালিকদের সংগঠনের উপদেষ্টা ও ‘আপন ঘর’ শুটিং হাউসের মালিক খলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘৩০ বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। হঠাৎ কিছু একটা বললেই তো হয়ে যায় না। তাদের সঙ্গে আমরা বসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি। আবাসিক এলাকায় কাজ করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেদিকেও আমাদের সবার দৃষ্টি থাকবে। নির্মাতা থেকে শুটিং ইউনিটকে বিষয়গুলো অবহিত করা করেছি।’
উল্লেখ্য, উত্তরা সেক্টর–৪ এলাকায় তিনটি শুটিং হাউস—লাবণী–৪, লাবণী–৫ ও আপন ঘর–২ রয়েছে। এ ছাড়া একটি বেসরকারি টেলিভিশনের শুটিং হাউস থাকলেও সেটির কার্যক্রম নিয়মিত নয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।