চাঁদপুরের কচুয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে কচুয়া উপজেলার রহিমা নগর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর কচুয়ার বিভিন্ন স্থানে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছে পুলিশ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অবমাননাকর বক্তব্যের প্রতিবাদে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রহিমা নগর বাজারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে মালয়েশিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কচুয়া বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা মোশারফ হোসেন (মিয়াজী) পক্ষ। সভায় জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সলিমুল্লাহ সেলিম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ সময় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহসানুল হক (মিলন) নিজে উপস্থিত থেকে কচুয়া পৌর এলাকায় আরেকটি সভার আয়োজন করেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এহসানুল হকের কিছু অনুসারী কচুয়া পৌর এলাকায় সভায় আসার সময় লাঠিসোঁটা নিয়ে রহিমা নগর বাজারে গিয়ে মোশারফ হোসেনের পক্ষের লোকজনের ওপর হামলা চালান। এ সময় লাঠিপেটায় এহসানুল হকের কয়েকজন অনুসারী আহত হন। আহত ব্যক্তিদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাৎক্ষণিক পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হামলার বিষয়ে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সলিমুল্লাহ সেলিম বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সভা এবং মিছিল করছিলাম। এ সময় বিএনপির অপর একটি পক্ষ আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে এ হামলা চালালে তাঁদের প্রতিহত করা হয়। তবে এতে কারও তেমন সমস্যা হয়নি।’

এ বিষয়ে এহসানুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

কচুয়া থানার ওসি মো.

আজিজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থেকে কোনো ধরনের মামলা বা অভিযোগ নিয়ে আসেনি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। নেতারা যে যাঁর মতো চলে গেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ