শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান বলেছেন, “বাংলাদেশে আর কখনো যেন ভয় ও নিপীড়নের শাসন ফিরে না আসে। একটি দমন-পীড়নমূলক শাসন ব্যবস্থার পতনের পর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”

রবিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জুলাই বিপ্লব নিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

আদিলুর রহমান খান বলেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের দমনমূলক শাসনের মাধ্যমে রাষ্ট্রকে জনগণের বিরুদ্ধে অস্ত্রে পরিণত করা হয়। গুম ছিল নৈমিত্তিক ঘটনা। হাজারো রাজনৈতিক ভিন্নমতাবলম্বী, ছাত্রনেতা ও সাংবাদিককে অপহরণ, নির্যাতন বা স্থায়ীভাবে স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বহু পরিবার আজও জানে না, তাদের সন্তান জীবিত নাকি অচেনা কোন কবরে শায়িত আছে।”

আরো পড়ুন:

সরকার দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষপাতী না : ফরিদা আখতার

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপদেষ্টা আরো বলেন, “নির্বাচন, গণমাধ্যম ও ছাত্র আন্দোলনের কণ্ঠ রোধ করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা অপকৌশল ব্যবহৃত হয়েছিল। কারাগারগুলো অপরাধীদের নয়, দেশপ্রেমিকদের দিয়ে ভরে গিয়েছিল। ফেসবুক পোস্টই ডেকে আনত মাঝরাতের পুলিশি অভিযান। শুধু মত প্রকাশের দায়ে একটি ভালো বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা ছাত্রকে পিটিয়ে আহত কিংবা শহীদ করা হয়েছে।”

সম্মেলনে মূল বক্তা ছিলেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, কূটনীতিক জন এফ.

ড্যানিলোভিচ।

সম্মেলনের শুরুতে শহীদ জাহিদুজ্জামান তানভীনের বাবা ও মা তাদের বক্তৃতায় দ্রুত জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার ও অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানান। ছাত্রনেতা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এ সম্মেলনে দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, কূটনীতিক ও মানবাধিকার কর্মীরা বক্তৃতা দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রিসার্চ অ্যান্ড ইন্টিগ্রেটেড থট (আরআইটি), ইউনিভার্সিটি অব রেজিনা (কানাডা), নানইয়াং টেকনোলজিকাল ইউনিভার্সিটি (সিঙ্গাপুর), কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি (যুক্তরাষ্ট্র), জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা, সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড সোশ্যাল রিসার্চ (সিপিএসআর), ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল’ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসি, সোচ্চার এবং ইনসাফ যৌথভাবে এ সম্মেলনের আয়োজন করে। এ সম্মেলনের আহ্বায়ক হলেন অধ্যাপক মো. শরিফুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুল্লাহ।

ঢাকা/এএএম/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

সরকার দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষপাতী না : ফরিদা আখতার

অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের ওপর দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষে নয় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা প্রত্যেক সময় চাই শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু হ্যান্ডেল করতে। অহেতুক লেথাল ওয়েপন (প্রাণঘাতী অস্ত্র) ইউজ (ব্যবহার) করা বা কোনো কঠিনভাবে দমন করতে চাই না। অনেকে যখন একটু বেশি করে ফেলে; সেটাতেও আমরা অনেক সহ্যের পরিচয় দেই, সহ্য করি।’’

রবিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সাভারের আশুলিয়ায় গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিএইচএ ভবনে আয়োজিত জুলাই স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এ মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

জাতিসংঘের ফিলিস্তিন সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘মব সৃষ্টি যেসব কারণে হয়, সে কারণগুলো আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। সেটাই আমি মনে করি, করা ভালো। এখানে সরকার কোনো ধরনের বাড়তি দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষপাতী না।’’

ভরা মৌসুমে নদীতে ইলিশ না পাওয়া প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, ‘‘ইলিশ সমুদ্র থেকে নদীতে আসতে পারছে না বৃষ্টি কম হওয়ার কারণে। সাগরের মাঝখানে ইলিশ আছে কিন্তু নদীতে আসতে পারছে না। গতকাল (শনিবার) পর্যন্ত খবর এসেছে, নদীতেও ইলিশ আসছে। তবে আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে, বিশেষ করে সাগরে তিন নম্বর বিপৎসংকেত আছে বলে, অনেক জেলে এখন মাছ ধরতে যেতে পারছে না।’’

তিনি বলেন, ‘‘আমি খুবই চাচ্ছি, ইলিশের সরবরাহ বাড়ুক এবং দেশের মানুষ খাক। বিদেশে আমরা পাঠাচ্ছি শুধু দুটো দেশে। সেটা হলো, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে। ওখানে প্রবাসীদের একটা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে। তারা আমাদের রেমিট্যান্স দিচ্ছেন, তারা ইলিশ খেতে পারছেন না; এটার জন্য আমরা ১১ হাজার মেট্রিক টন রপ্তানির অনুমতি দিয়েছি।’’

ভারতের ইলিশ রপ্তানির বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এখনো সেখানে রপ্তানির পরিকল্পনা নেই।’’

অনুষ্ঠানে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হোসাইন, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সরকার দমনমূলক ব্যবস্থা নেয়ার পক্ষপাতী না : ফরিদা আখতার