ভিড় কমেছে উৎসুক জনতার, স্কুলব্যাগ-বই নিতে এলেন অভিভাবকেরা
Published: 27th, July 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের স্থান দেখতে এখনো আসছেন উৎসুক জনতা। তবে তাঁদের সংখ্যা কমছে। এদিকে ঘটনার দিন স্কুলে ফেলে যাওয়া শিক্ষার্থীদের স্কুলব্যাগ ও বই–খাতা আজ রোববার নিতে আসেন অভিভাবকেরা।
আজ বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় উৎসুক জনতাকে। তাঁদের বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে গিয়ে ছবি তুলতে ও ভিডিও করতে দেখা যায়। তাঁদের ক্যাম্পাসের একটি প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকতে দিয়ে অন্য পথ দিয়ে বের করে দেন প্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তাকর্মীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিয়াবাড়ি মোড়ে অবস্থান করছেন ১৫ জনের মতো পুলিশ সদস্য। ক্যাম্পাসের ভেতরেও ১০-১২ জন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেছে। এর বাইরে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতের কাজ করছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির নিরাপত্তাকর্মীরা।
আজ বেলা ১১টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি প্রতিনিধিদল বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে আসে। তারা ঘটনাস্থল এবং এর আশপাশে থাকা আরও কিছু ধ্বংসাবশেষ ও আলামত সংগ্রহ করে।
২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ওই ঘটনায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের অধিকাংশই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক ইনস্টিটিউটে এখনো ৩৬ জন চিকিৎসাধীন। তাঁদের কয়েকজনের অবস্থা শঙ্কামুক্ত নয় বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
‘আধা পোড়া স্কুলব্যাগ’বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সেদিন যে যেভাবে পেরেছেন, ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের ফেলে যাওয়া স্কুলব্যাগ ও বই–খাতা নিয়ে যেতে আজ সকাল থেকে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ থেকে অভিভাবকদের জানানো হয়।
ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকের পাশের একতলা ভবনের একটি কক্ষে শিক্ষার্থীদের ব্যাগ সারি করে রাখা হয়। ব্যাগের ওপর শিক্ষার্থীদের নাম-রোল, শ্রেণি ও শাখা লিখে একটি কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া রয়েছে।
কক্ষটিতে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাগের মধ্যে একটি কালো রঙের ব্যাগ আলাদা করে নজরে পড়ে। দেখে বোঝা যাচ্ছে, ব্যাগটি আগুনে পুড়েছে। আধা পোড়া ব্যাগটির ওপর এক টুকরা কাগজে লেখা রয়েছে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী মো.
বেলা তিনটার দিকে সন্তানদের স্কুলব্যাগ নিতে ক্যাম্পাসে আসেন পপি আক্তার। তাঁর ছেলে মাহাথির মোহাম্মদ স্কুলের ইংলিশ ভার্সনে সপ্তম শ্রেণিতে আর মেয়ে সামিহা জামান অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে।
পপি আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার ছেলে এবং মেয়ে তাদের “ডিটেনশন ক্লাসের (নিয়ম ভাঙলে শাস্তিমূলক বাড়তি ক্লাস)” জন্য ওই বিল্ডিংয়ে (যে ভবনে বিমান বিধ্বস্ত হয়) গিয়েছিল। ক্লাস শুরু হতে দেরি হওয়ায় ছেলে মাঠে খেলতে গিয়েছিল। আর মেয়ে তার বান্ধবীদের জোরাজুরিতে বের হয়। তারা বলেছে, তারা অনেক জোরে শব্দ শুনতে পায়। এরপর তারা একে অপরকে খুঁজতে থাকে।’
যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের স্থানে ধ্বংসাবশেষ ও আলামত সংগ্রহ করছেন বিমানবাহিনীর সদস্যরা। আজ রোববার রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ম ন ব ধ বস ত র র একট
এছাড়াও পড়ুন:
দুবাই থেকে দেশে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ৫৭ মামলার আসামি
চট্টগ্রামে বাড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে ৫৭টি মামলা। তবে তিনি প্রায় পাঁচ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন দুবাইয়ে। গ্রেপ্তার এড়াতে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে দেশে ফিরছিলেন। এরপরও তাঁর রক্ষা হয়নি তাঁর। সিলেটে বিমানবন্দর থেকেই পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন পলাতক এই আসামি।
গতকাল শনিবার বিকেল চারটার দিকে গ্রেপ্তার হওয়া এই ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ রুহুল আমিন (৫৫)। বিমানবন্দরে নিয়োজিত ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। আজ রোববার সকালে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বাড়ি পটিয়া উপজেলার জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের পাইরোল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আবদুস সালাম। চট্টগ্রাম নগরের চাক্তাইয়ে ফিশারিঘাটে মাছের আড়ত ছিল রুহুল আমিনের।
পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলোর বেশির ভাগই চেক প্রতারণার অভিযোগে করা। এর মধ্যে ১০টি মামলায় তাঁর সাজা হয়েছে। বাকি মামলা বিচারাধীন। বিদেশভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরোয়ানাভুক্ত এই আসামি সাজা ও গ্রেপ্তার এড়াতে দুবাইয়ে পালিয়ে যান। পাঁচ বছর পর সেখান থেকে গোপনে সিলেট হয়ে দেশে ফিরছিলেন তিনি।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, পটিয়া থানার পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার রুহুল আমিনকে গতকাল রাতেই সিলেট থেকে পটিয়ায় নিয়ে আসা হয়। এরপর আজ সকালে পটিয়া জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।