গাজীপুরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে কালিয়াকৈর থানায় মামলাটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মান্নান।

নিহত ব্যক্তির নাম ইলিম হোসেন (৪৩)। তিনি কালিয়াকৈরের রাখালিয়াচালা এলাকার বাসিন্দা এবং পেশায় ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর সহযোদ্ধা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আবু সাইদ (রাজু) নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি উপজেলার হরিণহাটি এলাকার সেকান্দার আলীর ছেলে। এ তথ্য জানিয়েছেন ওসি আবদুল মান্নান।

এজাহারে বাদী বলেন, গত বছরের ৫ আগস্ট ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে সফিপুর আনসার ভিডিপি একাডেমির সামনে অবস্থান নেওয়া অবস্থায় ইলিম হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। ওই দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হামলা চালান। গুলিবিদ্ধ ইলিম হোসেনকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের সদস্যরা তাঁর মরদেহ দাফন করেন।

মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের ৪২ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক বেলায়েত হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মিজান হোসেন, রতনপুর মহল্লা আওয়ামী লীগের সভাপতি চান্দু মেম্বার, মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোহসিন, সদস্য আবদুর রাজ্জাক, মধ্যপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা হাসান মৃধা, যুবলীগ সদস্য রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ইলিম হোসেনের স্ত্রী সোনিয়া বলেন, ‘আমরা কোনো মামলা করিনি। গতকাল সকালে থানা থেকে পুলিশ এসেছিল। তাদের বলে দিয়েছি, আমরা মামলা করতে চাই না। কে মামলা করেছে, সেটাও আমাদের জানা নেই।’

এ বিষয়ে আজ সোমবার মুঠোফোনে মামলার বাদী বলেন, ‘নিহত ইলিম হোসেন আমার সহযোদ্ধা ছিলেন। তাঁর পরিবার মামলা করতে চায়নি। আমি ওই হত্যাকাণ্ডের বিচাই চাই, তাই মামলা করেছিল। নিহত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনসহ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অন্যান্য নেতা-কর্মী ও স্থানীয় জনগণের সহিত আলাপ-আলোচনা করে মামলা করতে দেরি হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ