আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে সাগরে দু–একটি লঘুচাপ ও একটি নিম্নচাপ হতে পারে। আর ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের তিন অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপ ও নিম্নচাপের পাশাপাশি এ মাসে বিচ্ছিন্নভাবে দু–একটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।

এই পূর্বাভাসে গত জুলাই মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। গত মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ২৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত ৭ জুলাই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ১৪ জুলাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়। এটি ঘণীভূত হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিম উপকূল এলাকায় স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরদিন স্থল নিম্নচাপটি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে।

পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ, লঘুচাপ ও নিম্নচাপের প্রভাবে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ সারা দেশে মাসের অধিকাংশ সময় বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়। ৮ জুলাই ফেনীতে দৈনিক সর্বোচ্চ বৃষ্টি ৩৯৯ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়। ১২ থেকে ১৩ এবং ২৩ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে দেশের কোথাও কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ জুলাই নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৫°ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুলাই মাসে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা যথাক্রমে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি°সেলসিয়াস এবং শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি°সেলসিয়াস বেশি এবং সারা দেশে গড় তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স লস য় স এল ক য় দশম ক

এছাড়াও পড়ুন:

‎ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১.০৪ শতাংশ

‎দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (১৪ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ১.০৪ শতাংশ।

‎শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

‎তথ্য মতে, বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই রেশিও ছিল ১০.৬১ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৫০ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.১১ পয়েন্ট বা ১.০৪ শতাংশ।

‎এর আগের সপ্তাহের (৭ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর) পিই রেশিও ছিল ১০.৭৩ পয়েন্টে। আর সপ্তাহ শেষে তা অবস্থান করছে ১০.৬১ পয়েন্টে। ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর পিই রেশিও কমেছে ০.১২ পয়েন্ট বা ১ শতাংশ।

খাতভিত্তিক পিই রেশিওগুলোর মধ্যে- জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে ৬.২৯ পয়েন্টে, ব্যাংক খাতে ৬.৯০ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ১১.১৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতে ১১.৩৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতে ১১.৬১ পয়েন্ট, টেক্সটাইল খাতে ১২.১১ পয়েন্টে, আর্থিক খাতে ১২.২৪ পয়েন্টে, সাধারণ বিমা খাতে ১২.৯৮ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতে ১৩.৫৪ পয়েন্টে, টেলিযোগাযোগ খাতে ১৪.৮০ পয়েন্টে, বিবিধ খাতে ১৬.৬০ পয়েন্টে, আইটি খাতে ১৭.৬৯ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৯.৭১ পয়েন্ট, মিউচুয়াল ফান্ড খাতে ২০.৬৮ পয়েন্টে, খাদ্য ও আনুসঙ্গিক খাতে ২১.০৪ পয়েন্টে, ট্যানারি খাতে ২৫.৯২ পয়েন্টে, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে ২৯.২৯ পয়েন্টে, পাট খাতে ৩১.৮৮ পয়েন্টে এবং সিরামিক খাতে ৫৮.৪৩ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

ঢাকা/এনটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ