জুলাইয়ে বৃষ্টি কতটা হয়েছে, আগস্টে আবহাওয়া কেমন যাবে
Published: 4th, August 2025 GMT
আগস্ট মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে। এ মাসে সাগরে দু–একটি লঘুচাপ ও একটি নিম্নচাপ হতে পারে। আর ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের তিন অঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যার সৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে। গতকাল রোববার এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়।
ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপ ও নিম্নচাপের পাশাপাশি এ মাসে বিচ্ছিন্নভাবে দু–একটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে ভারী বৃষ্টির কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।
এই পূর্বাভাসে গত জুলাই মাসের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। গত মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা ২৩ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গত ৭ জুলাই গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়। ১৪ জুলাই উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর কাছাকাছি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হয়। এটি ঘণীভূত হয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণ–পশ্চিম উপকূল এলাকায় স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়। পরদিন স্থল নিম্নচাপটি বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ আকারে ঝাড়খন্ড ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ, লঘুচাপ ও নিম্নচাপের প্রভাবে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ সারা দেশে মাসের অধিকাংশ সময় বৃষ্টির রেকর্ড করা হয়। ৮ জুলাই ফেনীতে দৈনিক সর্বোচ্চ বৃষ্টি ৩৯৯ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়। ১২ থেকে ১৩ এবং ২৩ থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে দেশের কোথাও কোথাও মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এ মাসে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ জুলাই নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৩৮ দশমিক ৫°ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুলাই মাসে দেশের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক অপেক্ষা যথাক্রমে শূন্য দশমিক ২ ডিগ্রি°সেলসিয়াস এবং শূন্য দশমিক ১ ডিগ্রি°সেলসিয়াস বেশি এবং সারা দেশে গড় তাপমাত্রা শূন্য দশমিক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স লস য় স এল ক য় দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
ত্রাণ নিতে গিয়ে চোখে গুলি খেল ফিলিস্তিনি শিশুটি
আবদুল রহমান আবু জাজারের বয়স ১৫ বছর। ক্ষুধায় কাতর পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবারের সন্ধানে বেরিয়েছিল শিশুটি। কিন্তু কপাল মন্দ। চোখে গুলি খেয়ে ফিরতে হয়েছে জাজারকে। ঘটনাটি ঘটেছে ফিলিস্তিনের গাজা নগরীতে। জাজারের বাঁ চোখে গুলি করেছেন ইসরায়েলি সেনারা।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল-সমর্থিত জিএইচএফ ত্রাণকেন্দ্রে গিয়ে চোখে গুলিবিদ্ধ জাজারের চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, নির্বিচার বোমা হামলার শিকার অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দারা অনাহারে রয়েছেন।
আরও পড়ুননিরস্ত্রীকরণে সম্মতির খবর নাকচ: হামাস বলল, দখলদারির মোকাবিলা জাতীয় ও আইনি অধিকার০৩ আগস্ট ২০২৫বাঁ চোখে সাদা রঙের ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকা জাজার আল-জাজিরাকে জানায়, একবার গুলি লাগার পরও ইসরায়েলি সেনারা তাঁকে লক্ষ্য করে অনবরত গুলি ছুড়তে থাকেন। তখন জাজারের মনে হয়েছিল, ‘এই বুঝি শেষ। মৃত্যু সন্নিকটে।’
দিবাগত রাত প্রায় দুইটার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বলে জানায় জাজার। সে বলে, ‘এবার প্রথম আমি ত্রাণ সরবরাহকেন্দ্রে গিয়েছিলাম। আমার ও ভাইবোনদের খাওয়ার মতো কিছু ছিল না। আমরা খাওয়ার জন্য কিছুই পাইনি। তাই সেখানে গিয়েছিলাম।’
অনেক ভিড়ের মধ্যে গাজা নগরীর আল-মুনতাজাহ পার্কের ওই কেন্দ্রে পৌঁছাতে জাজারের প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সময় লেগেছিল। জাজার বলে, ‘আমরা দৌড়াচ্ছিলাম। ঠিক তখন ওরা (ইসরায়েলি সেনারা) গুলি করা শুরু করে। আমি আরও তিনজনের সঙ্গে ছিলাম। তিনজন আহত হই।’
আরও পড়ুনসিডনির হারবার ব্রিজে ফিলিস্তিনের পক্ষে ইতিহাসের বৃহত্তম মিছিল, অংশ নেন বাংলাদেশিরাও১৫ ঘণ্টা আগেজাজার আরও বলে, ‘গুলি চালানোর পরপরই শরীরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার মতো কিছু অনুভব করলাম। এরপর আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ি, জ্ঞান হারাই। জ্ঞান ফেরার পর আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞেস করেছি, আমি কোথায়?’
তখন আশপাশের লোকজন জাজারকে জানান, সে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। জাজার আরও বলে, ‘ওরা অনবরত গুলি ছুড়ছিল। আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। দোয়া পড়ছিলাম।’
জাজারের চোখে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে। তবে প্রত্যাশার কথা জানিয়ে শিশুটি বলে, ‘আশা করি, আমার দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসবে।’
আরও পড়ুনখেলাধুলায় ‘চ্যাম্পিয়ন’ ফিলিস্তিনি কিশোরকে মরতে হলো খাবারের অভাবে১৮ ঘণ্টা আগে