Prothomalo:
2025-11-05@04:55:09 GMT

‘বেসবলে’ ৬৭৫০ স্বাক্ষর

Published: 5th, August 2025 GMT

যুক্তরাষ্ট্রে ৮ ফুট ব্যাসের বিশাল আকৃতির একটি বেসবল একটার পর একটা মাঠ ঘুরে বেড়াচ্ছে, ভক্ত-দর্শকেরা হইহই করে সেটি দেখতে যাচ্ছেন, বলের গায়ে নিজেদের নাম সই করছেন। এই সই করতে করতেই বলটি নতুন এক বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।

বিশাল বলটি তৈরি এবং সেটিতে স্বাক্ষর গ্রহণের এ উদ্যোগ মাইনর লিগ বেসবল কর্তৃপক্ষের। গত ২৪ জুন ইন্ডিয়ানাপোলিস ইন্ডিয়ানস দলের মাঠ ভিক্টরি ফিল্ড থেকে বলটি যাত্রা শুরু করে। এরপর এটি যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ১৫টি মাইনর লিগ মাঠে ঘুরে বেড়ায়।

বলটির শেষ গন্তব্য ছিল নিউইয়র্ক শহরে মাইনর লিগ বেসবলের মূল মাঠ (ফ্ল্যাগশিপ)। গত মঙ্গলবার বলটি সেখানে পৌঁছায়। এরপর সেখানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের একজন প্রতিনিধি বলটি পরীক্ষা করেন এবং এক এক করে গুণে দেখে নিশ্চিত করেন, এর গায়ে মোট ৬ হাজার ৭৫০টি স্বাক্ষর রয়েছে। একক কোনো ক্রীড়া স্মারকে এটিই এখন সর্বাধিক স্বাক্ষরের রেকর্ড। সেদিনই গিনেস রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে বলটির এ বিশ্ব রেকর্ড গড়ার স্বীকৃতি দেয়।

এর আগে এ রেকর্ড ছিল যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ ইউনাইটেড ফুটবল ক্লাবের, যাঁরা একটি বিশাল জার্সিতে ২ হাজার ১৪৬টি স্বাক্ষর নিয়েছিলেন। নতুন রেকর্ডটি সেই সংখ্যাকে অনেকটাই ছাড়িয়ে গেছে।

বিশ্ব রেকর্ড গড়া বলটি শুধু আকারেই বিশাল নয়, ওজনেও ভারী। সেটির ওজন প্রায় ১ হাজার ২০০ পাউন্ড। এটি বিশেষভাবে তৈরি স্বচ্ছ অ্যাক্রিলিক কেসে এক মাঠ থেকে আরেক মাঠে ভ্রমণ করেছে। উদ্দেশ্য ছিল, এটিকে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মানুষ যেন দেখতে পায় এবং আনন্দ উপভোগ করতে পারে।

মাইনর লিগ বেসবলের এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগের পেছনে ছিল একটি চিন্তা। তাদের বিপণন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন সাটন বলেন, ‘সাধারণত খেলোয়াড়েরা বল সই করেন, এবার আমরা চেয়েছি উল্টোটা হোক। ভক্তরা সই করবে আর সেই বল ইতিহাস গড়বে।’

ছয় সপ্তাহ ধরে বলটি ২ হাজার ৬০০ মাইল পথ পাড়ি দিয়েছে। যাত্রাপথে বলটি যে ১৫টি মাঠ ঘুরেছে, সেগুলোর মধ্যে আছে ফোর্ট ওয়েইন, ডেটন, লুইসভিল, সিরাকিউজ, বাফেলো, ইরি, আলটুনাসহ আরও বেশ কয়েকটি শহরের বেসবল মাঠ। নিউইয়র্কে শেষ দিনে ৬৮৪ দর্শনার্থী বলে সই করেন। সবশেষ স্বাক্ষরটি করেন মাইনর লিগ বেসবলের কমিশনার রব ম্যানফ্রেড।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকালে তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকালে দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বড় তিনটি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটরা বিপুল জয় পেয়েছেন।

গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচন হয়। ‘বিশ্বের রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত এই শহরের মেয়র নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি।

মামদানি নিউইয়র্ক শহরের ১১১ তম মেয়র নির্বাচিত হলেন। তিনি নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের সাবেক গভর্নর, স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো ও রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াকে পরাজিত করে ইতিহাস গড়েছেন। এই জয়ের মধ্য দিয়ে মামদানি নিউইয়র্ক শহরের প্রথম মুসলিম মেয়র নির্বাচিত হলেন।

মামদানি নিউইয়র্ক শহরের প্রথম দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ও আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী মেয়র। এক শতাব্দীর মধ্যে তিনি নিউইয়র্ক শহরের সর্বকনিষ্ঠ মেয়র।

নিউইয়র্কের আদি বাসিন্দা ট্রাম্প কোনোভাবেই চাননি, মামদানি এই শহরের মেয়র নির্বাচিত হোন। তিনি আগেই হুমকি দিয়েছেন, মামদানির মতো লোক নির্বাচিত হলে তিনি নিউইয়র্ক শহরের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল আটকে দেবেন। মামদানি অবৈধ অভিবাসী বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। এ নিয়েও তিনি হুমকি দিয়েছেন।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়ায় গভর্নর নির্বাচন হয়। এই দুই নির্বাচনেও ডেমোক্র্যাট প্রার্থীরা জয়ী হচ্ছেন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই আভাস দিয়েছে।

নিউজার্সিতে শেরিল

সিএনএনের আভাস অনুযায়ী, নিউজার্সির গভর্নর পদে জয়ী হচ্ছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী মাইকি শেরিল।

শেরিল নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম নারী ডেমোক্র্যাট গভর্নর হতে যাচ্ছেন। তিনি রিপাবলিকান প্রার্থী জ্যাক সিয়াতারেল্লিকে পরাজিত করতে যাচ্ছেন।

সিয়াতারেল্লি অঙ্গরাজ্যের সাবেক আইনপ্রণেতা। তিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি তৃতীয়বারের মতো গভর্নর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন।

ভার্জিনিয়ায় স্প্যানবার্গার

সিএনএনের আভাস অনুযায়ী, ভার্জিনিয়ায় গভর্নর পদে নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক প্রার্থী এবিগেইল স্প্যানবার্গার জয়ী হচ্ছেন।

স্প্যানবার্গার সাবেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস সদস্য। তিনি সিআইএর সাবেক কর্মকর্তা। স্প্যানবার্গার হতে যাচ্ছেন ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের প্রথম নারী গভর্নর।

রিপাবলিকান লেফটেন্যান্ট গভর্নর উইনসাম আর্ল-সিয়ার্সকে পরাজিত করছেন স্প্যানবার্গার। তাঁর নির্বাচনী প্রচারের কেন্দ্রে ছিল মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় সহনীয় রাখা। ফেডারেল চাকরিতে কাটছাঁটসহ শাটডাউনের প্রভাব নিয়ে অঙ্গরাজ্যের মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করা।

স্প্যানবার্গার তাঁর প্রচারে প্রায়ই উল্লেখ করেছেন যে, আর্ল-সিয়ার্স রিপাবলিকান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ, তাঁর অনুসারী। তবে ট্রাম্প নিজে এই নির্বাচনে আর্ল-সিয়ার্সকে সমর্থন জানাননি।

নিউজার্সি ও ভার্জিনিয়া—উভয় অঙ্গরাজ্য ডেমোক্রেটিক রাজনীতির সমর্থক, বা ‘ব্লু স্টেট’। তবে গত মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এই দুই অঙ্গরাজ্যেই ট্রাম্প হারেন। কিন্তু ২০১৬ সালের তুলনায় ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্প ভালো ফল করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকালে তিন নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের বিপুল জয়
  • নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি
  • নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে প্রথম মুসলিম মেয়র হলেন জোহরান মামদানি
  • নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ৩০ বছরে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিতি
  • নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে, ভোট দিয়েছেন মামদানি-কুমো
  • সর্বশেষ জরিপেও কুমোর চেয়ে ১৪.৩ পয়েন্ট এগিয়ে জোহরান
  • জোহরান মামদানির কতটা বিরোধী, কুমোকে সমর্থন দিয়ে সেটি বুঝিয়ে দিলেন ট্রাম্প
  • নিউইয়র্ক ছাড়িয়ে জাতীয় মুখ মামদানি
  • মামদানির উত্থান থেকে শিক্ষা নিচ্ছেন ইউরোপের বামপন্থীরা
  • অধ‍্যাপক অমর্ত‍্য সেন: আমাদের স্মৃতির পথযাত্রা