নতুন পত্রিকা আনছেন রুপার্ট মারডক, নাম দ্য ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট
Published: 5th, August 2025 GMT
খবরে ‘হেডলেস বডি ইন টপলেস বার’ (বাংলা অর্থ ‘উন্মুক্ত বারে মিলল মুণ্ডুহীন লাশ’)—এই ধরনের চটকদার শিরোনাম দিয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পাওয়া ট্যাবলয়েড দ্য নিউইয়র্ক পোস্টের ধাঁচে খবর পড়তে চলেছে ক্যালিফোর্নিয়াবাসী। রুপার্ট মারডকের নিউজ করপোরেশন প্রায় ১৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সবচেয়ে বড় দৈনিক পত্রিকা চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, যার লক্ষ্য এবার পশ্চিম উপকূল।
পত্রিকার নাম দেওয়া হয়েছে দ্য ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট, সদর দপ্তর হবে লস অ্যাঞ্জেলেসে। আগামী বছরের শুরুর দিকে পত্রিকাটির যাত্রা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন শন জিয়ানকোলা। তিনি নিউইয়র্ক পোস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। নতুন পত্রিকাটিও এ মিডিয়া গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত হবে।
ক্যালিফোর্নিয়ার সংবাদ শিল্পের বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ট্যাবলয়েডটি ডুবতে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের দুরবস্থার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের পাঠক এবং কর্মীর সংখ্যা উভয়ই দ্রুত কমছে।
শন জিয়ানকোলা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট সংবাদ উপস্থাপনে একটি পরিচিত মিশ্রণ নিয়ে আসবে। তাঁরা একে ‘কমনসেন্স জার্নালিজম’ বলছেন।
পত্রিকায় থাকবে তারকাদের নিয়ে খবর ও বিনোদন সংবাদ, খেলাধুলা নিয়ে খবর। মোবাইল, ডেস্কটপ, অডিও, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও প্রিন্টসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তা প্রকাশিত হবে।
আমরা এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে ৩০ লাখ মানুষের কাছে এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭০ লাখের বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তাই বলা যায়, সেখানে আমাদের এমন একটি পাঠক দল আছেন যাঁরা আগে থেকেই আমাদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত।শন জিয়ানকোলা, নিউইয়র্ক পোস্ট মিডিয়া গ্রুপের প্রকাশক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাজিয়ানকোলা বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলেসে ৩০ লাখ মানুষের কাছে এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় ৭০ লাখের বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি। তাই বলা যায়, সেখানে আমাদের এমন একটি পাঠক দল আছেন যাঁরা আগে থেকেই আমাদের ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত।’
এ বিষয়ে জানেন এমন একটি সূত্র বলেছে, নিউজ করপোরেশনের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রুপার্ট মারডক ক্যালিফোর্নিয়াকে একটি নতুন সম্ভাবনার বাজার হিসেবে দেখছেন এবং এ উদ্যোগে তাঁর আশীর্বাদ জানিয়েছেন।ওই সূত্র আরও বলেন, ‘আপনি তো এই ব্যবসায় সেরাদের একজনের মতামত না নিয়ে কোনো পত্রিকা চালু করতে পারেন না।’
ক্যালিফোর্নিয়ার সংবাদপত্রশিল্পের বিশ্লেষকদের মতে, নতুন এই ট্যাবলয়েডটি ডুবতে থাকা লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের দুরবস্থার সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করছে। লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের পাঠক এবং কর্মীর সংখ্যা উভয়ই দ্রুত কমছে।নিউইয়র্ক পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক নিউজ করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ যে সংবাদমাধ্যমটি চালু করেছিল, তাঁর না ছিল দ্য ডেইলি। সে সময়ে অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড ট্যাবলেটের জন্য সেটি ছিল একটি ডিজিটাল সংবাদপত্র। দ্য ডেইলি চালু হয়েছিল ২০১১ সালে, পরের বছরই তা বন্ধ হয়ে যায়।
নিউইয়র্ক পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মালিক নিউজ করপোরেশন যুক্তরাষ্ট্রে সর্বশেষ যে সংবাদমাধ্যমটি চালু করেছিল, তার নাম ছিল দ্য ডেইলি। সে সময়ে অ্যাপলের নতুন আইপ্যাড ট্যাবলেটের জন্য সেটি ছিল একটি ডিজিটাল সংবাদপত্র। দ্য ডেইলি চালু হয়েছিল ২০১১ সালে, পরের বছরই তা বন্ধ হয়ে যায়।বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পোস্ট নিয়ে মন্তব্য জানাতে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমসের একজন মুখপাত্রকে অনুরোধ জানানো হলেও তাতে সাড়া মেলেনি।
আরও পড়ুনরুপার্ট মারডক ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ট্রাম্প১৯ জুলাই ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন উইয়র ক প স ট র প র ট ম রডক আম দ র ট য বল
এছাড়াও পড়ুন:
আজ বন্ধু দিবস
‘‘বন্ধুত্ব গড়তে ধীর গতির হও। কিন্তু বন্ধুত্ব হয়ে গেলে প্রতিনিয়ত তার পরিচর্যা করো।’’— উক্তিটি সক্রেটিসের। সত্যকথা বলতে বন্ধুত্ব বাঁচে পরিচর্যায়। এ এমন এক সম্পর্ক যাকে অবহেলায় ফেলে রাখলে চলে না। আজ বিশ্ব বন্ধু দিবস।
কবে, কখন এই দিনটি প্রচলন হয়েছিলো তা নিয়ে নানা মত আছে। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মত হলো, ‘‘১৯৩৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এক বন্ধুর আত্মত্যাগের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আগস্ট মাসের প্রথম রোববারকে ‘ফ্রেন্ডশিপ ডে’ ঘোষণা করে মার্কিন কংগ্রেস। এরপর ২০১১ সালে জাতিসংঘ ৩০ জুলাইকে বিশ্ব বন্ধু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।’’
বাংলাদেশে আগস্ট মাসের প্রথম রোববার দিবসটি পালিত হয়। আবেগ-ভালোবাসায় পালিত হয় এই দিন। বন্ধুরা একে অপরকে উপহার দেন, একসঙ্গে সময় কাটান, স্মৃতি রোমন্থন করেন।
আরো পড়ুন:
৩০ বছরের হিমায়িত ভ্রুণ থেকে জন্ম নিলো জীবিত শিশু
ছবিটি দেখে মিলিয়ে নিন আপনি আবেগনির্ভর নাকি যুক্তিনির্ভর
জানা যায়, এই দিবসটি বাণিজ্যিক কারণে আরও বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। ১৯৩০ সালের ২ আগস্ট বিশ্বখ্যাত উপহারসামগ্রী ও কার্ড বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান হলমার্কের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জয়েস হল বন্ধু দিবসের আয়োজন করেন। ওই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিলো যেন সবাই একসঙ্গে মিলে বন্ধুত্বের উৎসব পালন করতে পারেন।
কার্ড আদান-প্রদানের মাধ্যমে বন্ধু দিবস পালন করার চল শুরু হয়। যদিও আয়োেজনের পেছনে ছিলো- জয়েসের গ্রিটিংস কার্ড বিক্রির একটি কৌশল।
বন্ধু দিবস উদযাপন করার বিষয়ে বিশ্বের একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সময়ে-সময়ে উদ্যোগ নিয়েছে। ১৯৫৮ সালের ২০ জুলাই বিশ্বব্যাপী বন্ধুত্ব দিবস পালনের চিন্তা ডা. র্যামন আর্টেমিও ব্রাকোর মাথায় আসে। তিনি প্যারাগুয়ে শহরের পুয়ের্তো পিনাস্কোয়ে নিজের বন্ধুদের সঙ্গে নৈশভোজে বসেছিলেন তিনি। আর তিনিই বন্ধুদের সঙ্গে মিলে গড়ে তোলেন মেরি গ্রুপ ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ক্রুসেড।
এই সংস্থাটি জাতি, বর্ণ, ধর্ম, ভাষা, লিঙ্গ নির্বিশেষে নিঃস্বার্থ ও মানবদরদী বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরপর ১৯৯৮ সালে রাষ্ট্রসংঘ তৎকালীন সাধারণ সচিব কফি আনানের স্ত্রীর নাম ন্যান লেগারগ্রেন উইনি দ্য পু কার্টুন চরিত্রকে বন্ধুত্বের দূত হিসেবে চিহ্নিত করেন।
১৯৫৮ সালের ৩০ জুলাই প্রথম ফ্রেন্ডশিপ ডে উদযাপিত হওয়ার পর ‘জেনারেল অ্যাসেম্বলি অব দ্য ইউনাইটেড নেশন’ ২০১১ সালের ৩০ জুলাই দিনটি আন্তর্জাতিক বন্ধু দিবস হিসেবে ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। মূলত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ জাতি, বর্ণ, লিঙ্গ, ধর্ম ইত্যাদি নির্বিশেষে বিভিন্ন দেশের মানুষের বন্ধুত্বের একটি শক্তিশালী বন্ধন তৈরি করার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক বন্ধুত্ব দিবস ঘোষণা করে।
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশেও এরপর ছড়িয়ে যায় দিবসটি। বন্ধু দিবসে বন্ধুদের ফুল, কার্ড, রিস্ট ব্যান্ড ইত্যাদি উপহার দিয়ে বন্ধুদের প্রতি ভালোবাসা জ্ঞাপন করা হয়। একেক দেশে একেক তারিখে বন্ধু দিবস পালিত হয়। যেদিনই হোক বন্ধু দিবস, আপনার জন্য এটি হতে পারে একটি বিশেষ দিন। অনেকদিন যে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, আজ দেখা করুন, পছন্দের জায়গায় আড্ডা দিন, খেতে পারেন একসঙ্গে হলে যে খাবারগুলো খেতেন প্রতিদিন।
বন্ধুত্ব মানে চির সবুজ এক সম্পর্ক । যা সময় গড়িয়ে গেলেও পুরোনো হয় না। বিশ্ব বন্ধুত্ব দিবস আমাদের সবাইকে বন্ধুত্বের শক্তিকে মনে করিয়ে দেয়, সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দেয় যে মানবতা আমাদের সবার এবং বন্ধুত্বের মাধ্যমেই একটি শান্তিপূর্ণ ও সংযুক্ত বিশ্ব গড়ে তোলা সম্ভব।
ঢাকা/লিপি