পরিবারের সদস্যদের বেঁধে দুটি ঘরে ডাকাতি
Published: 5th, August 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে দুটি ঘরের বাসিন্দাদের দড়ি ও কাপড় দিয়ে বেঁধে রেখে ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ আজম নগর এলাকায় এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাত দল সোনার গয়না, টাকাসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঘর দুটি বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ডাকাতি হওয়া ঘর দুটিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিন ভাই থাকেন। গতকাল রাতে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি সশস্ত্র ডাকত দল ঘর দুটিতে হানা দেয়। মুখে কালো মুখোশ ও হাফপ্যান্ট পরা ডাকাতদের হাতে রিভলবার, চাপাতি এবং বিভিন্ন দেশি অস্ত্র ছিল। তারা ঘরে থাকা নারী-পুরুষ-শিশুদের কাপড় ও দড়ি দিয়ে হাতমুখ বেঁধে ফেলে। এরপর ঘরের আলমারিসহ অন্যান্য আসবাব ভেঙে তছনছ করে মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পর ভোরে দুটি ঘরের বাসিন্দাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা তাঁদের উদ্ধার করেন। কয়েক বছর আগেও একই বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল।
আজ মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ আজম নগর এলাকায় সরেজমিন দেখা যায়, বাড়ির দুই পাশে দুটি পাকা ঘর। দুটি ঘরের ভেতরেই খোলা অবস্থায় পড়ে আছে ভাঙা আলমারি। অন্যান্য আসবাব ও কাপড়চোপড় এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ। যে তিন ভাইয়ের ঘরে ডাকাতি হয়েছে, তাঁদের মা বলেন, ডাকাত দল দুই ভরির বেশি সোনার গয়না, প্রায় ৮৫ হাজার টাকা, ২টি মুঠোফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করেছে। এ বিষয়ে তাঁর ছেলেরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ডাকাতির বিষয়টি এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ঘর দুটি গ্রামের একপাশে কিছুটা বিচ্ছিন্ন এলাকায়। দুটি ঘর থেকে ডাকাত দল মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে গেছে। এর আগেও সেখানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তবে ডাকাতির বিষয়ে আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি বলে জানান জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এ বিষয়ে পুলিশ খোঁজখবর নিচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কে এই জোহরান মামদানি?
নিউইয়র্ক পেলো প্রথম মুসলিম মেয়র। যার নাম জোহরান মামদানি। তিনি ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট দলের একজন নেতা। জোহরান মামদানির জন্ম উগান্ডার কাম্পালায় একটি ভারতীয় পরিবারে। তার বাবা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ মাহমুদ মামদানি এবং মা চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার।
জোহরান মামদানির বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন তার পরিবার দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যায় এবং সাত বছর বয়সে তারা নিউ ইয়র্ক সিটিতে বসতি স্থাপন করে। এই সিটিতেই বেড়ে উঠেছেন জোহরান মামদানি।
ইংরেজি ছাড়াও, তিনি হিন্দি-উর্দু, বাংলা, স্প্যানিশ এবং চীনা ভাষায় কথা বলতে পারেন, যা তিনি তার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করেছেন।
আরো পড়ুন:
নিউইয়র্কের প্রথম মুসলিম মেয়র হয়ে ইতিহাস গড়লেন জোহরান মামদানি
নিউ ইয়র্কে মেয়র নির্বাচন আজ, কুওমোকে সমর্থন ট্রাম্পের
জোহরান মামদানি একজন ডেমোক্র্যাটিক সোশ্যালিস্ট হিসেবে শ্রমিক শ্রেণির অধিকারের জন্য লড়াই করেন। ট্যাক্সি ড্রাইভারদের ঋণ মুক্তির জন্য অনশন ধর্মঘটেও অংশ নিয়েছিলেন। জোহরান মামদানি তার প্রগতিশীল রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে নিউ ইয়র্কের রাজনীতিতে বেশ আলোচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের, বিশেষ করে ভারতীয় বাংলাদেশি অভিবাসী সম্প্রদায়ের কাছে বেশ পরিচিত ও জনপ্রিয়।
একসময়ের আন্ডারডগ থেকে মূল ধারার রাজনীতিকে পরিণত হওয়া এই নেতার অসাধারণ উত্থান দেখলো পৃথিবী।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান ও বিবিসি অবলম্বনে
ঢাকা/লিপি