নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীতে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবে দুই শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন। সোমবার (৪ আগস্ট) রাত ৩টার দিকে উপজেলার ছেঁছরাখালী বাজারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বিকেল ৫টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান মেলেনি। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তাদের দাবি, ভরী বৃষ্টি এবং নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

নিখোঁজ শ্রমিকরা হলেন- জেলার পূর্বধলা উপজেলার মো.

জিয়া (২০) ও মো. মারুফ (২৪)। 

আরো পড়ুন:

মানিকগঞ্জে প্লাস্টিক কারখানার আগুন, ৬০ কোটি টাকার ক্ষতি

টঙ্গীতে খোলা ম্যানহোলে পড়ে নারী নিখোঁজ, চলছে উদ্ধার অভিযান

মোহনগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কামরুজ্জামান সুমন জানান, সোমবার রাতে পূর্বধলা থেকে বালুবাহী নৌ যানটি মোহনগঞ্জের ছেঁছরাখালী যাচ্ছিল। গন্তব্যের কাছাকাছি ধলাই নদীর প্রবল স্রোতে বাল্কহেডটি ডুবে যায়। নৌ যানে থাকা তিনজনের মধ্যে একজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও অন্য দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেছে। ভারী বৃষ্টি ও নদীতে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ঢাকা/ইবাদ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর নদ

এছাড়াও পড়ুন:

নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি

নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার বিরামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিন ছাত্রীকে পেটানোর অভিযোগে খণ্ডকালীন শিক্ষক স্মরণ তালুকদারকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

রবিবার (২ নভেম্বর) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম এ তথ্য জানিয়েছেন।

আরো পড়ুন:

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ করতে ২ কমিটি

পিএইচডি গবেষকদের জন্য বৃত্তি চালু করা হবে: জবি উপাচার্য

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে স্কুল চলাকালীন নবম শ্রেণির ক্লাসে শিক্ষক স্মরণ তালুকদার তিন ছাত্রীকে বেত্রাঘাত করেন। এতে তারা আহত হয়। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাদের মধ্যে এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে এলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। 

প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম বলেন, ‘‘এ ঘটনায় শিক্ষার্থী বা অভিভাবকরা লিখিত অভিযোগ দেননি। তবে শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে খণ্ডকালীন পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’’

অভিযুক্ত শিক্ষক স্মরণ তালুকদারের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, শিক্ষকের কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) এম এ কাদের বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/ইবাদ/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নেত্রকোণায় ৩ ছাত্রীকে বেত্রাঘাত, শিক্ষককে অব্যাহতি