বিএনপি শহীদদের আত্মত্যাগের রক্তের ঋণশোধ করবে : সজল
Published: 5th, August 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আজকে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদের পতনের দিন। ছাত্র - জনতার আন্দোলনের তোপের মুখে ফ্যাসিস শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
আজকের এই দিনে জুলাই- আগস্টের আন্দোলনে যে সকল শহীদদের রক্ত দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আহতদের সুস্থতা কামনা করছি। এবং এই ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ বছর জাতীয়তাবাদী আদর্শের নেতা কর্মীরা আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে খুন গুম ও হত্যার শিকার হয়েছে সে সকল শহীদ নেতাকর্মীদেরও রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
৩৬ জুলাই (৫আগস্ট) গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহরের হাজীগঞ্জে নির্মিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ।
বুধবার ( ৫ আগস্ট) সকাল এগারোটায় গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহরের হাজীগঞ্জে নির্মিত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে মহানগর যুবদলের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তাহলে আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শহীদদের পরিবারদেরকে যথাযথ মর্যাদা দিবেন। শহীদদের যে আত্মত্যাগের রক্তের ঋণশোধ করবে জাতীয়তাবাদী দল।
আমাদের যুবদল নেতা শহীদ আবুল হোসেন স্বজনসহ যে সকল নেতাকর্মীরা শহীদ হয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান বলেছেন ওনি শহীদ পরিবারের পাশে আছেন এবং আমরা তাদের পরিবারের পাশে আছি এবং থাকবো।
আগামী দিনে একটি গণতান্ত্রিক শোষণমুক্ত গণতান্ত্রিক স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুত ঘটে তার জন্য আমাদের নেতা তারেক রহমান সকল পরিকল্পনা নিয়েছেন। ইনশাল্লাহ আমরা জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তার সমস্ত নির্দেশনা আগামী দিনে অক্ষর অক্ষরে পালন করব।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের নেতৃত্বে এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ গণঅভ য ত থ ন ল ইসল ম স র ল ইসল ম র রহম ন আম দ র আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জে দেশের প্রথম জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তর ও রাজনৈতিক দল এবং শহীদ পরিবারের সদস্যরাসহ সর্বস্তরের মানুষ এ শ্রদ্ধা জানান।
প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা শহীদ পরিবারদের নিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময়ে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয়।
এরপর শ্রদ্ধা জানান জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের নেতৃত্বে জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মুশিউর রহমানের নেতৃত্বে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার, নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, পিবিআই, এলজিইডি, গণপূর্ত বিভাগসহ সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
এরপর একে একে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ও জেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও তাদের অঙ্গ সংগঠন, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পক্ষ থেকে জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ২০২৪ সালের আজকেই এই দিন যা আমরা ৩৬ জুলাই হিসেবে বলে থাকি এটি ঐতিহাসিক একটি দিন। হাজারও ছাত্রজনতার রক্তের বিনিময়ে এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। দীর্ঘ দেড় দশকের জুলুম, অত্যাচারের বিরুদ্ধে এই গণঅভ্যুথান হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা এমন একটি দেশ চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ঘটবে। কারো অধিকার হরণ হবে না। দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। দেশের প্রতিটি সিস্টেম একটি নির্দিষ্ট গতিতে চলবে। আমরা এই গণঅভ্যুথানে শহীদ হওয়া সকল শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।