৩৬ জুলাইয়ের অর্জনকে ধরে রাখতে হবে: ডিএসসিসি প্রশাসক
Published: 5th, August 2025 GMT
ডিএসসিসির প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়া বলেছেন, “৩৬ জুলাই বিশ্বের অন্য কোনো ক্যালেন্ডারে নেই, কেবল আমাদের আছে। এই অর্জনকে ধরে রাখতে হবে।”
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণ–অভ্যুত্থান দিবস উদযাপন উপলক্ষে মঙ্গলবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর সৃষ্ট নাগরিক প্রত্যাশা পূরণে জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে নাগরিক সেবা প্রদানের জন্য ডিএসসিসিতে কর্মরত সবাইকে আহ্বান জানান।
আরো পড়ুন:
ঢাকা দক্ষিণের ৩৮৪১ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন
৪৩ দিন পর নগর ভবনে ফিরলেন ডিএসসিসি প্রশাসক
এছাড়া, এ উপলক্ষে র্যালি, বৃক্ষরোপণ, বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করা হয়। ডিএসসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশগ্রহণে জুলাই র্যালিটি নগর ভবন থেকে শুরু করে বঙ্গবাজার মোড় প্রদক্ষিণ করে নগর ভবনে এসে শেষ হয়। র্যালি শেষে বৃক্ষরোপণ ও শহীদদের স্মরণে ডিএসসিসি প্রকাশিত ‘অগ্নিঝরা জুলাই, অতঃপর.
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো. জহিরুল ইসলাম, সচিব মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ড এসস স ড এসস স
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘‘একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে ফ্যাসিবাদের মূলোৎপাটন করে জুলাইয়ের চেতনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছিল— দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অত্যাচার, নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও আপামর জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ। এই বৈষম্যমূলক ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, জনগণের ক্ষমতায়ন এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সুনিশ্চিত করাই ছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য।’’
সোমবার (৪ আগস্ট) জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন। খবর ইউএনবির।
আরো পড়ুন:
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দেশে ফিরেছেন
আবদুল হামিদের বিদেশ যাওয়া তদন্তে উচ্চপর্যায়ের কমিটি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘‘আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সকল শহীদকে, যারা দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করতে গিয়ে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। এই গণ–অভ্যুত্থানে আহত, পঙ্গুত্ব বরণ করা ও দৃষ্টিশক্তি হারানো সকল বীর জুলাই যোদ্ধার ত্যাগ ও অবদানকে আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবার ও আহতদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের পবিত্র দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্র অঙ্গীকারবদ্ধ।’’
তিনি বলেন, ‘‘জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র একটি ব্যাপকভিত্তিক সংস্কারপ্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে গণ–অভ্যুত্থানের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, প্রকৃত গণতান্ত্রিক উত্তরণের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠবে একটি ন্যায় ও সাম্যভিত্তিক নতুন বাংলাদেশ।’’
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘‘বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও ফ্যাসিবাদী অপশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-শ্রমিক-জনতা সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।’’
‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে নেওয়া সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেন তিনি।
ঢাকা/রাজীব