বরিশালে নদীতে গোসলে নেমে একটি শিশুর মৃত্যু, দুজন নিখোঁজ
Published: 6th, August 2025 GMT
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা ও গজারিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ অন্য দুই শিশুর সন্ধানে আজ বুধবার ভোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
গতকাল দুপুরে উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের দুটি পৃথক স্থানে ওই তিন শিশু পানিতে ডুবে যায়। তাদের মধ্যে আবিদা ইসলাম (৬) নামে এক শিশুর লাশ গতকাল বেলা তিনটার দিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। সে চরএককরিয়া ইউনিয়নের কোলচর এলাকার বাদশা দেওয়ানের মেয়ে এবং স্থানীয় শান্তিরহাট ফোরকানিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
আবিদার বড় বোন আয়েশা বেগম বলেন, ‘আবিদা সব সময় আমাদের সঙ্গে গজারিয়া নদীতে গোসল করত। কিন্তু মঙ্গলবার সবার অগোচরে একা একা গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে খবর দেন। ততক্ষণে ও আর বেঁচে ছিল না।’
নিখোঁজ অপর দুই শিশু হলো উত্তর দাদপুরচর এলাকার আবদুর রশীদ দেওয়ানের ছেলে তাহসিন দেওয়ান (৬) ও শহিদ বিশ্বাসের ছেলে রেজাউল করিম (৭)। তারা স্থানীয় কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
রেজাউলের মা রুমানা বেগম বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি আসে রেজাউল। এরপর নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল। আমি থালায় ভাত নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম। অনেকক্ষণ পরও না আসায় খুঁজতে বের হই। তখন শুনি নদীতে ডুবে গেছে আমার সোনা।’
মেহেন্দীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ আলী আশরাফ জানান, গতকাল বেলা ৩টা ২০ মিনিটে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান এবং বরিশাল থেকে ডুবুরি দলকে তলব করেন। তাঁর ধারণা, শিশুরা সাঁতার না জানায় নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায় এবং প্রবল স্রোতের কারণে পানিতে তলিয়ে যায়।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বরিশালে নদীতে গোসলে নেমে একটি শিশুর মৃত্যু, দুজন নিখোঁজ
বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলায় মেঘনা ও গজারিয়া নদীতে গোসল করতে নেমে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ অন্য দুই শিশুর সন্ধানে আজ বুধবার ভোর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
গতকাল দুপুরে উপজেলার চরএককরিয়া ইউনিয়নের দুটি পৃথক স্থানে ওই তিন শিশু পানিতে ডুবে যায়। তাদের মধ্যে আবিদা ইসলাম (৬) নামে এক শিশুর লাশ গতকাল বেলা তিনটার দিকে উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। সে চরএককরিয়া ইউনিয়নের কোলচর এলাকার বাদশা দেওয়ানের মেয়ে এবং স্থানীয় শান্তিরহাট ফোরকানিয়া মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী।
আবিদার বড় বোন আয়েশা বেগম বলেন, ‘আবিদা সব সময় আমাদের সঙ্গে গজারিয়া নদীতে গোসল করত। কিন্তু মঙ্গলবার সবার অগোচরে একা একা গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করে খবর দেন। ততক্ষণে ও আর বেঁচে ছিল না।’
নিখোঁজ অপর দুই শিশু হলো উত্তর দাদপুরচর এলাকার আবদুর রশীদ দেওয়ানের ছেলে তাহসিন দেওয়ান (৬) ও শহিদ বিশ্বাসের ছেলে রেজাউল করিম (৭)। তারা স্থানীয় কেরাতুল কোরআন মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
রেজাউলের মা রুমানা বেগম বলেন, ‘পরীক্ষা শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বাড়ি আসে রেজাউল। এরপর নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল। আমি থালায় ভাত নিয়ে অপেক্ষায় ছিলাম। অনেকক্ষণ পরও না আসায় খুঁজতে বের হই। তখন শুনি নদীতে ডুবে গেছে আমার সোনা।’
মেহেন্দীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ইনচার্জ আলী আশরাফ জানান, গতকাল বেলা ৩টা ২০ মিনিটে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান এবং বরিশাল থেকে ডুবুরি দলকে তলব করেন। তাঁর ধারণা, শিশুরা সাঁতার না জানায় নদীর পাড়ে খেলতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে যায় এবং প্রবল স্রোতের কারণে পানিতে তলিয়ে যায়।
মেহেন্দীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফখরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।