জাপানি শিল্পকলাকে প্রভাবিত করেছে আণবিক বোমা
Published: 6th, August 2025 GMT
আজ ৬ আগস্ট হিরোশিমা দিবস। ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে এই দিনে জাপানের হিরোশিমা নগরে বিশ্বে প্রথমবারের মতো ব্যাপক বিধ্বংসী মারণাস্ত্র আণবিক বোমা হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের হিরোশিমা শহরে আণবিক বোমা হামলার ঘটনা দেশটির শিল্পকলাকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছে। দেশটির চলচ্চিত্র, অ্যানিমেশন সিরিজে আণবিক বোমা বিস্ফোরণের পর বিকিরণ অসুস্থতার মর্মান্তিক চিত্রায়ণ করা হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে গত ৮০ বছরে ধ্বংস ও রূপান্তরের গল্পগুলো জাপানের মানুষের ভয়ের সঙ্গে মিশে গেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং সাম্প্রতিক ফুকুশিমা সংকটের বিষয়গুলো। এমনই চিত্র দেখানো হয়েছে গডজিলা চলচ্চিত্রে।
ধ্রুপদি মাঙ্গা ও অ্যানিমে সিরিজ অ্যাস্ট্রো বয়তে দেখানো হয়েছে পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের দৃশ্য। জাপানি ভাষায় এ সিরিজ ‘মাইটি অ্যাটম’ নামে পরিচিত। অন্যদিকে আকিরা, নিওন জেনেসিস ইভ্যাঞ্জেলিয়ন এবং অ্যাটাক অন টাইটান-এর মতো সিরিজে শহর ধ্বংসকারী বিস্ফোরণের চিত্রায়ণ করা হয়েছে।
অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক উইলিয়াম তসুতসুই বলেন, ‘মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে বেঁচে থাকা’ এবং ‘আঘাত কাটিয়ে ওঠা’ এই থিমটি জাপানের সাংস্কৃতিক মনোভাব প্রকাশে বারবার ফিরে আসতে দেখা যায়, যা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে।
হিরোশিমায় আণবিক বোমা ফেললে প্রায় এক লাখ ৪০ হাজার মানুষ নিহত হয়। কয়েক দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে আরেকটি বোমা হামলায় প্রায় ৭৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। লেখক ইয়োকো তাওয়াদা বলেছেন, কিছু কবিতায় পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের মুহূর্তের নিখাদ ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। তবে অনেক উপন্যাস ও শিল্পকর্মে এ বিষয়টি পরোক্ষভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আণব ক ব ম
এছাড়াও পড়ুন:
জেন-জি সাজপোশাকের কোন স্টাইল ফলো করছে
নিজেকে নিজের মতো করেই তৈরি করতে চান এখন কিশোর-তরুণেরা। আর কাজটা করতে গিয়ে নিখুঁত হওয়ার কোনো চেষ্টাই তাঁরা করছেন না। পরিবর্তে সাজে, পোশাকে, জীবনযাপনে বেছে নিচ্ছেন অকৃত্রিমতা। বিদেশি ফ্যাশনের মধ্যেই ধারণ করছেন দেশীয়পনা। আর সবার ওপরে রাখছেন নিজস্বতা। যা ভালো লাগে, তা–ই জীবনের সঙ্গে জুড়ে নিচ্ছেন মুক্তমনা এই কিশোর-তরুণেরা।
স্টাইলে প্রাধান্য পাচ্ছে আরাম