ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের ঘোষণা ঐতিহাসিক, গণতন্ত্র উত্তরণের পথ সুগম করবে: বিএনপি
Published: 6th, August 2025 GMT
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া ভাষণে নির্দিষ্ট করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করে একে স্বাগত জানিয়েছে বিএনপি।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব আনুষ্ঠানিকভাবে দলীয় এই প্রতিক্রিয়া জানান। তিনি বলেন, বিএনপি মনে করে, এই ঐতিহাসিক ঘোষণায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা কেটে যাবে, গণতন্ত্র উত্তরণের পথকে সুগম করবে।
আরও পড়ুনফেব্রুয়ারিতে রোজার আগেই ভোট ১৮ ঘণ্টা আগেমির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি আশা করছে, এই নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করার জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। একটি কার্যকরী জাতীয় সংসদ গঠনের জন্য বিএনপি সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।
এই নির্বাচন অতি জরুরি বলে উল্লেখ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, এখন এই নির্বাচনটা দেশের জনগণই চায়। জনগণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সবচেয়ে বড় প্রহরী হয়ে দাঁড়াবে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণের পরে রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এতে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থায়ী কমিটির বৈঠকের পরে আজ সংবাদ সম্মেলনে এলেন বিএনপির মহাসচিব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আরও পড়ুনরমজানের আগে নির্বাচন ভালো পদক্ষেপ, স্বাগত জানাল ৪টি দল১৪ ঘণ্টা আগেগতকাল মুহাম্মদ ইউনূস জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি এই ঘোষণাপত্রকে স্বাগত জানায়। বিএনপি বিশ্বাস করে, এই ঘোষণাপত্রে রাজনৈতিক দলগুলো যে অঙ্গীকার করেছে, তা পালনের মধ্য দিয়ে এক নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রূপান্তরের কাজ শুরু হবে। সুযোগ সৃষ্টি হবে একটি সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে সত্যিকারের প্রগতিশীল সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণের প্রক্রিয়া।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন সরকার একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোকে নতুন করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করে রাষ্ট্রব্যবস্থা সংস্কারের কাজ শুরু করে বলে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল।
তারেক রহমান কবে দেশে আসবেন—এমন প্রশ্নে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। আমরা ওয়েটিংয়ে আছি।’
আরও পড়ুননির্বাচন নিয়ে দোদুল্যমানতা কেটে গেছে: সালাহউদ্দিন আহমদ১৬ ঘণ্টা আগেএক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, নির্বাচিত সংসদ সংবিধানের যাবতীয় সংস্কার বা সংশোধনী বাস্তবায়ন করবে। এটাই আইন ও সাংবিধানিক প্রক্রিয়া। এর বাইরে অন্য কোনো প্রক্রিয়ার কথা জানা নেই।
আরও পড়ুনগণ–অভ্যুত্থানের রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া হবে: প্রধান উপদেষ্টা১৮ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র জন ত ক ব এনপ র কম ট র ফখর ল
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যূত্থান গণতন্ত্র, সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিক : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, ২০২৪ এর অভ্যূত্থান কেবল একটি রাজনৈতিক পরিবর্তন নয়, নয় একটি স্বৈরাচারের পতন।
এই অভূত্থান তরুন সমাজের অদম্য সাহস, ছাত্র-জনতার অপ্রতিরোধ্য আন্দোলন এবং দেশপ্রেমের যে কাব্য রচনা করেছিলো সেই বীর শহীদদের আত্মত্যাগের এক ভয়ঙ্কর বিস্ফোরন। এই অভ্যূত্থান গণতন্ত্র, সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিক।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস-২০২৫ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সম্মিলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সম্মিলন অনুষ্ঠিত হয়। কুরআন তেলাওয়াত ও বিভিন্ন ধর্মীয় গ্রন্থ পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এতে অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা ২৪ জুলাইয়ের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
এ সময় মো. জাহিদুল ইসলাম মিঞা আরও বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের অত্যাচার, নিপীড়ন, নির্যাতন, জুলুম, যার বিরুদ্ধে দেশ প্রেমিক জনতা, ছাত্রসমাজ, তরুন প্রতিরোধের যে দেয়াল তৈরি করেছিলো আমরা সেই ঐক্য ধরে রাখতে চাই।
এই ঐক্য যদি না থাকে তাহলে যারা শহীদ হয়েছিলো তাদের পরিবারের কাছে আমরা কি জবাব দিবো। তাই নতুন নতুন বাংলাদেশ গড়তে আপনাদের সকলের মাঝে ইস্পাত কঠিন ঐক্য চাই। ’
তিনি বলেন, ১৯৫২, ১৯৭১, ১৯৮৯ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে রক্ত ঝরেছে আমাদের। আর কত রক্ত ঝরবে, আর কত মায়ের বুক খালি হবে। আমরা সেই রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করতে চাই যা ছিলো আমাদের শহীদ ভাইদের কাঙ্ক্ষিত চাওয়া।
বক্তব্য শেষে শহীদ পরিবারের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট ও উপহার প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এর পূর্বে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসক ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এসময় জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন কোর্ট মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা হাসানুজ্জামান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ আলমগীর হোসেন, সিভিল সার্জন ডাঃ মশিউর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাইনুদ্দিন আহমেদ, মহানগর জামায়াতের আমীর আব্দুল জব্বার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মহানগরের সভাপতি মুফতি মাসুম বিল্লাহ সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।