ফেনীতে পাউবো কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
Published: 6th, August 2025 GMT
বারবার বাঁধ ভেঙে বন্যার কবলে পড়ে ফেনী। কোটি কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়ার পরও দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাচ্ছেন না ফেনীবাসী। অভিযোগের তীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দিকে। তাই, পাউবো কর্মকর্তাদের দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৬ আগস্ট) সকালে দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমানের নেতৃত্বে একটি দল ফেনী পাউবো কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় উপ-সহকারী পরিচালক মো.
দুদক জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্ত শেষে ফুলগাজী ও পরশুরামের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করা হবে। অভিযান শেষে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
গত কয়েক বছরে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বাঁধ ভেঙে ফেনীর বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় প্রাণ হারান ২৯ জন, ক্ষতি হয় শত কোটি টাকার। এ বছরও দুই দফা বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৩৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ ছিল দায়সারা। প্রকল্পে বরাদ্দ থাকলেও মাঠ পর্যায়ে কার্যকর সংস্কার হয়নি। বছরের পর বছর একই জায়গায় বারবার বাঁধ ভাঙার পরও স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে গত ২৩ জুলাই ‘ফেনীর নাগরিক সমাজ’ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘেরাও করে। দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত এবং অনিয়মে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, “বিভিন্ন মহল থেকে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালাচ্ছি। প্রাথমিকভাবে নথিপত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। এরপর সরেজমিন পরিদর্শন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন
রোদ ঘন হয়ে আসছে
রোদ ঘন হয়ে আসছে, সেই গাঢ়ত্বে হেঁটে বেড়ানো শালিকের দুপুর—
এখন উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন।
সুন্দর বিষণ্নতায় হেলে পড়ছে সূর্য, সমুদ্রের ঢেউ ছাড়া সব চুপচাপ। শিশির শুকিয়ে যাওয়ার সময় যে অন্ধ লোকটি সেতারা বাজাত, চোখভর্তি কুয়াশা নিয়ে সে বসেছে চোখ ফিরে পাওয়ার আরাধনায়। যে তরুণ পাখির খামার করতে চেয়েছিল অরণ্যে, সে এখন অজস্র ঝরে যাওয়া পাতা, উড়ে যাওয়া পাতা।
বদলে যাচ্ছে সব, তুষার ও বরফের মধ্যবর্তী তাপমাত্রা হয়ে বসে আছি।
রোদ ঘন হয়ে আসছে, নতুন অতিথি দিয়ে ভরে যাচ্ছে আমার শ্মশান।
তুমি শুয়ে রবে, পাশে শিশুর ত্বকের ঘ্রাণে আমি বিস্মৃত হলে—
চোখের মতো দুটো আগুনের জাহাজ ডুবে যাবে অবিশ্বস্ত বরফে।
সংসার কখনোই ক্ষমা করবে না।
সুখের শেকলে একদিন টের পাবে,
কত দূরে চলে গেছো চিবুক ছেড়ে। পুরুষের বুকের ভেতর প্রতিদিন মিথ্যা মিথ্যা ঘুম—
ঘুমের গভীরে জেগে উঠে মানচিত্র এঁকে নেবে শীতের।
নকশিকাঁথার মতো দুঃখকে আলগোছে টেনে নিয়ে গায়ে;
তিন বা তেরো বছর পর টের পাবে,
আমার শীতের শিশিরে ডুবে গেছে তোমার দ্বিধান্বিত সবুজ পা।