১ আগস্ট ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে রোমান্টিক ড্রামা সিনেমা ‘ধড়ক ২’। শাজিয়া ইকবাল পরিচালিত সিনেমাটি বক্স অফিসে প্রথম দিন খুব একটা ব্যবসা করেনি। সাড়ে তিন কোটি রুপির কিছু বেশি আয় করছে। কিন্তু এরপরও সমালোচক থেকে শুরু করে অনেক সাধারণ দর্শক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কথা বলছেন সিনেমাটি নিয়ে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, এ সিনেমাটি নিয়েও ‘সাইয়ারা’র মতো আলোচনা হতে পারে। এদিকে এক সপ্তাহ পর ‘ধড়ক’ ছবিটির ব্যবসা চাঙা হয়েছে; গড়ছে একের পর এক রেকর্ডও। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের

চতুর্বেদী ও তৃপ্তি দিমরি অভিনীত ‘ধড়ক ২’ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১৬.

৭০ কোটি রুপি আয় করার পর, শুক্রবার ছবিটির আয়ের গ্রাফটি সামান্য নিচে নেমে আসে। গতকালের আয় ছিল মাত্র ৬০ লাখ রুপি। সব মিলিয়ে ছবিটির মোট আয় এখন ১৭ কোটি ৩০ লাখ রুপি।

যত রেকর্ড
শাজিয়া ইকবাল পরিচালিত রোমান্টিক থ্রিলারটি এখন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদীর সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা। সিদ্ধান্তর আরও বেশি আয় করা সিনেমা আছে বটে, কিন্তু সেগুলোর কোনোটিতেই তিনি প্রধান চরিত্রে ছিলেন না। সিদ্ধান্তের ‘বান্টি অউর বাবলি ২’ (১২.৫০ কোটি রুপি), ‘ফোন ভূত’ (১৪.০১ কোটি রুপি) ও ‘ইয়ুধরা’র (১১.৩১ কোটি রুপি) আয়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে ‘ধড়ক-২’।

আরও পড়ুনকোন মন্ত্রে মাত করল ‘সাইয়ারা’০৬ আগস্ট ২০২৫

‘ধড়ক ২’–এ ৪০ কোটি রুপি ব্যয় করা হয়েছে। ছবিটি এখনও তার খরচ তুলতে পারেনি। তবে মনে করা হচ্ছে আরও কিছুদিন চললে ছবিটি তার খরচ তুলে আনতে পারবে।
‘ধড়ক ২’ সিনেমাটি আলোচিত তামিল সিনেমা ‘পারিয়েরুম পেরুমাল’-এর হিন্দি রিমেক। মুক্তির পর সমালোচকদের প্রশংসাও পেয়েছে সিনেমাটি। দ্য হলিউড রিপোর্টার ইন্ডিয়া লিখেছে, ‘শাজিয়া ইকবালের রিমেকটি জাতবৈষম্যবিরোধী গল্প বলার ধারায় একটি সাহসী সংযোজন।’

‘ধড়ক ২’–এর দৃশ্য। এক্স থেকে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড ধড়ক ২

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় জলাবদ্ধতা নিরসনে যুবদল নেতা রনির উদ্যোগে খাল খনন

ফতুল্লা এলাকায় জলাবদ্ধতা এখন নিত্যদিনের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে লালপুর, পৌষা পুকুরপাড়, টাগারপাড়, পুলিশ লাইন, ইসদাইর, বুড়ির দোকান, সস্তাপুর, মাসদাইর, শিয়াচর লালখা, ও কুতুবপুরের প্রায় গোটা এলাকা কোমরসমান পানিতে ডুবে আছে।

অলি-গলিতে এমন দৃশ্য, যেন বড় ধরনের বন্যা চলছে। কেউ কাজে যাচ্ছেন ভ্যানে, কেউবা নৌকা বেয়ে। এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে লালপুর ও আলামিন বাগ টাগারপাড়,ইসদাইর সহনআশোশ এলাকার ভুক্তভোগী বাসিন্দারা সড়ক অবরোধ ও মানববন্ধন করেছেন। তাদের একটাই দাবি, জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান। 

প্রসঙ্গত, ডিএনডি প্রকল্পের আওতায় সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ১,৩০০ কোটি টাকার কাজ শেষ হলেও প্রকল্পের বাইরে রয়ে গেছে বিশাল অংশ, আর খালগুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় এর সুফলও পাওয়া যাচ্ছে না।

এমন পরিস্থিতিতে এলাকাবাসীর দুর্ভোগের সংবাদে  নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি নিজে এলাকায় যান। তিনি সরেজমিনে খালগুলোর বেহাল অবস্থা দেখে নিজস্ব উদ্যোগে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভেকু  দিয়ে খাল পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেছেন। রোববার (১০ আগস্ট) থেকে কাজ শুরু হবে। তার এই উদ্যোগে স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেছেন, অন্তত কিছুটা হলেও পানি নিষ্কাশনের পথ খুলবে এবং দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান মিলবে।

এ সময় মশিউর রহমান রনি বলেন, বিগত সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং শামীম ওসমান-এর গাফিলতির কারণে ফতুল্লার মানুষ বছরের পর বছর ধরে পানিবন্দী জীবন কাটাচ্ছে। তাদের কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। তাই মানুষের কষ্ট লাঘবে আমি নিজেই জলাবন্ধতা নিরসনে এই উদ্যোগ নিয়েছি। ইনশাআল্লাহ, খালটি খনন সম্পন্ন হলে এ বছর আর জলাবদ্ধতা হবে না।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ