অ্যাপোলো-১৩-এর নভোচারী জিম লোভেল আর নেই
Published: 9th, August 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান নাসার নভোচারী ছিলেন। মহাকাশে গিয়েছিলেন একাধিকবার। ‘অ্যাপোলো–১৩’ নামের মহাকাশ অভিযানে চাঁদে পা রাখার কথা ছিল। লক্ষ্যের কাছাকাছিও গিয়েছিলেন। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ফিরতে হয়েছিল পৃথিবীতে। তিনি জিম লোভেল। গত বৃহস্পতিবার ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণার খ্যাতনামা এই চরিত্রের।
জিম লোভেলের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে নাসা। তাতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের লেক ফরেস্ট এলাকায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন লোভেল।
লোভেলের জন্ম ওহাইও অঙ্গরাজ্যে—১৯২৮ সালের ২৫ মার্চ। ১৯৬২ সালে নাসায় নভোচারী হিসেবে যোগ দেন তিনি। ‘জেমিনি–৭’, ‘জেমিনি–১২’ ও ‘অ্যাপোলো–৮’ মহাকাশ অভিযানে অংশ নিয়েছিলেন। ১৯৬৮ সালে অ্যাপোলো-৮ অভিযানে প্রথম চাঁদের কক্ষপথে গিয়েছিল মানুষ। তবে লোভেলকে আলাদাভাবে বিখ্যাত করে তুলেছিল অ্যাপোলো–১৩ অভিযান। সে এক শ্বাসরুদ্ধকর ঘটনা।
চাঁদের পৃষ্ঠে মানুষের প্রথম পা পড়েছিল ‘অ্যাপোলো–১১’ অভিযানের মাধ্যমে। ১৯৭০ সালে অ্যাপোলো–১৩ অভিযানে তৃতীয়বারের মতো মানুষের চাঁদে যাওয়ার কথা ছিল। ওই অভিযানে লোভেলের সঙ্গে ছিলেন আরও দুই নভোচারী—জন সুইগার্ট ও ফ্রেড হাইস। পৃথিবী থেকে যখন তাঁরা ৩ লাখ ২২ হাজার কিলোমিটার দূরে, তখনই ঘটে এক দুর্ঘটনা। মহাকাশযানের একটি অক্সিজেন ট্যাংক ফেটে যায়।
বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পৃথিবীতে নিয়ন্ত্রণকক্ষে জানান লোভেল। ট্যাংকে বিস্ফোরণের কারণে মহাকাশযানের বড় ক্ষতি হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় অভিযান বাতিল করার। অত্যন্ত ঝুঁকির মুখে জিম লোভেল ও নাসার কর্মকর্তাদের দক্ষতায় শেষ পর্যন্ত তিন দিন পর প্রশান্ত মহাসাগরে নিরাপদে অবতরণ করে মহাকাশযানটি। অ্যাপোলো–১৩ অভিযানকে বলা হয় ‘সাকসেসফুল ফেইলর’। অর্থাৎ, যে ব্যর্থতার মধ্যে ছিল সফলতা।
সে বছরই যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ পেয়েছিলেন জিম লোভেল। এর ২৫ বছর পর অ্যাপোলো–১৩ অভিযান নিয়ে ১৯৯৫ সালে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছিল। অ্যাপোলো–১৩ নামে ওই চলচ্চিত্রে লোভেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন খ্যাতনামা অভিনেতা টম হ্যাংকস। লোভেলের মৃত্যুর পর গতকাল শুক্রবার হ্যাংকস বলেন, ‘কিছু মানুষ সাহস দেখাতে জানেন। স্বপ্ন দেখতে জানেন। তাঁরা মানুষকে এমন জায়গায় নিয়ে যান, যেখানে আমরা একাকী যেতে পারি না।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতে বাদীকে মারপিট করায় ২ আসামির কারাদণ্ড
মামলায় জামিন পাওয়ার পর মুন্সীগঞ্জের আদালত প্রাঙ্গণে ওই মামলার বাদী জাকিয়া আক্তারকে মারপিট করেছেন আসামি রাইসুল ইসলাম ও শাকিলা আক্তার। পরে রাইসুল ইসলামকে তিন দিনের এবং শাকিলা আক্তারকে দুই দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুন্সীগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশীকুর রহমান তাদেরকে এ দণ্ড দেন।
আরো পড়ুন:
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে পালানো আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় আদালত চত্বর থেকে জোড়া খুনের আসামির পলায়ন
সাজাপ্রাপ্ত রাইসুল ইসলাম (৩০) মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বড় রায়পাড়া গ্রামের ইসমাইলের ছেলে এবং শাকিলা আক্তার (৩২) একই উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামের ইন্দিরা আলীর মেয়ে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গজারিয়া উপজেলার বড় রায়পাড়া গ্রামের জগির মিয়ার মেয়ে জাকিয়া আক্তার (২৯) বাদী হয়ে শাকিলা আক্তারসহ পাঁচজনের নামে গজারিয়া আমলি আদালতে মামলা করেন (সিআর মামলা নং ১১৩/২৫)। ওই মামলায় আসামিরা সমন পেয়ে মঙ্গলবার স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করলে শুনানি শেষে তাদেরকে জামিন দেওয়া হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাদী জাকিয়া আক্তার আদালত প্রাঙ্গণে গেলে সেখানে আসামি শাকিলা ও রাইসুল ইসলাম তাকে মারপিট করেন। আদালতে দায়িত্ব পালনরত পুলিশ সদস্যরা এসে বাদীকে উদ্ধার করেন। শাকিলা ও রাইসুলকে ফের আদালতে নিলে বিচারক মো. আশীকুর রহমান তাদেরকে দণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজিব বর্মন সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/রতন/রফিক