ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা
Published: 10th, August 2025 GMT
আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের সময় ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের জন্য কমপক্ষে ৪০ হাজার বডিওয়্যার ক্যামেরা (বডিক্যাম) সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
গতকাল শনিবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চপর্যায়ের সভায় এ নিয়ে আলোচনা হয়। আজ রোববার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ৪০ হাজার বডি ক্যামেরা (যা সাধারণত বডিক্যাম নামে পরিচিত) সংগ্রহের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। এই ডিভাইসগুলো হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা জোরদার করবে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা অক্টোবরের মধ্যে বডিক্যামগুলো সংগ্রহ করতে চাই, যেন পুলিশ বাহিনী এসব বডিক্যামের এআই সক্ষমতাসহ মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর ওপর পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ পেতে পারেন।’
বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ক্যামেরা সরবরাহের জন্য। পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলরা নির্বাচনের সময় ডিভাইসগুলো তাঁদের বুকে পরবেন।
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস এ সময় বডিক্যামগুলো দ্রুত ক্রয় ও হাজার হাজার পুলিশ সদস্যের জন্য যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সব ভোটকেন্দ্রে সম্পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খরচ যা-ই হোক না কেন। আমাদের লক্ষ্য হলো, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করা।’
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আসন্ন ভোটের জন্য একটি নির্বাচনী অ্যাপ চালু করার পরিকল্পনার কথা জানান।
অ্যাপটি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের ওপর বিশদ তথ্য প্রদান করবে। এর মধ্যে প্রার্থীর বিবরণ, ভোটকেন্দ্রের আপডেট ও অভিযোগ জমা দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা কর্মকর্তাদের অ্যাপটি দ্রুত চালু করার এবং দেশের ১০ কোটির বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহারবান্ধব কি না, তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভ টক ন দ র র জন য স গ রহ
এছাড়াও পড়ুন:
হেফাজতকে কাছে পেতে তৎপর বিএনপি
অরাজনৈতিক সংগঠন হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামকে কাছে পেতে তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজনীতিতে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের নির্বাচনী সমঝোতা করতে যাচ্ছে। এখানে কয়েকটি দল আছে হেফাজতে ইসলাম-সংশ্লিষ্ট। তারা অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
এমন পটভূমিতে নির্বাচন সামনে রেখে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বিএনপি যোগাযোগও বাড়িয়েছে। আবার হেফাজতের আমিরও এর মধ্যে কয়েকটি বক্তব্যে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
সব মিলিয়ে কওমি মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ‘ভোটব্যাংক’ লক্ষ্য করে রাজনৈতিক দলগুলোর হেফাজতকেন্দ্রিক আগ্রহ বেড়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের নির্বাচনী সমঝোতা করতে যাচ্ছে। এখানে কয়েকটি দল আছে হেফাজতে ইসলাম-সংশ্লিষ্ট। তারা অভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় হেফাজতের আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে গত ১ আগস্ট বিএনপির দুই নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ ও নজরুল ইসলাম খান চট্টগ্রামে গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন।
হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ চার নেতা ‘আল্লামা শাহ আহমাদ শফী, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, আল্লামা নূর হুসাইন কাসেমী ও আল্লামা নূরুল ইসলাম জিহাদীর নেতৃত্ব, ত্যাগ ও সংগ্রাম’ শীর্ষক জাতীয় কনফারেন্সে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। গত শনিবার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে