এক দশক পর সরাসরি ভোটে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে সভাপতি পদে সিরাজুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মেহেদী হাসানের নাম ঘোষণা করা হয়।

দলীয় সূত্র জানায়, এত দিন উপজেলা বিএনপির কার্যক্রম আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল। নতুন নেতৃত্ব বেছে নিতে গতকাল তারাগঞ্জ ও/এ বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে দলের দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি পদে ৩ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২ জন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৩ জনসহ মোট ৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বেলা ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলে। এতে ৩৫৩ জন ভোটার অংশ নেন।

সভাপতি পদে ১৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন সিরাজুল ইসলাম। সাধারণ সম্পাদক পদে ২৩৭ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন মেহেদী হাসান। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাহবুবার রহমান পান ২১৮ ভোট ও কোবায়েদ হোসেন পান ১৯০ ভোট, ফলে দুজনই সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আনিছুর রহমান ও সদস্য আফতাব উদ্দিন।

নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর পর নেতা-কর্মীরা সরাসরি ভোটে নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। এতে তৃণমূলে নতুন উদ্দীপনা ও চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে, যা সাংগঠনিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

নারীর ভোটাধিকার বাতিল চেয়ে যাজকদের মন্তব্যে হেগসেথের সমর্থন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট

নারীর ভোটাধিকার নিয়ে যাজকদের করা নেতিবাচক মন্তব্যের ভিডিও সমর্থন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ। এতে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।

ভিডিওতে একটি খ্রিষ্টান জাতীয়তাবাদী গির্জার একাধিক যাজক মত দেন, নারীদের আর ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া উচিত নয়।

গত বৃহস্পতিবার রাতে এক্সে পুনঃপ্রকাশ করা হেগসেথের পোস্টে দেখা গেছে, তিনি খ্রিষ্টান জাতীয়তাবাদী এক যাজকের সঙ্গে গভীর ও ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখেন, যাঁর ধর্ম ও নারীর ভূমিকা বিষয়ে চরমপন্থী দৃষ্টিভঙ্গি আছে।

হেগসেথ তাঁর পোস্টে সিএনএনের প্রায় সাত মিনিটের এক প্রতিবেদন নিয়ে মন্তব্য করেন। কমিউনিয়ন অব রিফর্মড ইভানজেলিক্যাল চার্চেসের (সিআরইসি) সহপ্রতিষ্ঠাতা ডগ উইলসনের কর্মকাণ্ড নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে সিএনএন। প্রতিবেদনে উইলসনস চার্চের একজন যাজক মার্কিন সংবিধান থেকে নারীর ভোটাধিকার বাতিলের পক্ষে মত দেন। অন্য আরেকজন যাজক বলেন, তাঁর প্রত্যাশিত ‘আদর্শ সমাজে’ মানুষ পরিবারভিত্তিক ভোট দেবে। ভিডিওতে একজন নারী সদস্যকেও বলতে শোনা যায়, তিনি তাঁর স্বামীর প্রতি অনুগত।

ভিডিওটি পোস্ট করে হেগসেথ লিখেছেন, জীবনের সব ক্ষেত্রে খ্রিষ্টধর্মের বিধান প্রভাব বিস্তার করবে। হেগসেথের পোস্টে ১২ হাজারের বেশি লাইক ও ২ হাজারের বেশি শেয়ার হয়। কিছু ব্যবহারকারী ভিডিওতে থাকা যাজকদের মতের সঙ্গে একমত হলেও অনেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর খ্রিষ্টান জাতীয়তাবাদী ধারণা প্রচারের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

তবে প্রগ্রেসিভ ইভানজেলিকাল সংগঠন ‘ভোট কমন গুড’-এর নির্বাহী পরিচালক ও যাজক ডগ পাগিট বলেন, ভিডিওতে প্রচারিত মতামত শুধু ‘খ্রিষ্টানদের এক ক্ষুদ্র প্রান্তিক অংশের’ ধারণা এবং হেগসেথের এগুলো প্রচার করাকে তিনি ‘খুবই বিরক্তিকর’ বলে উল্লেখ করেন।

পেন্টাগনের প্রধান মুখপাত্র শন পারনেল গত শুক্রবার অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, হেগসেথ এমন ‘একটি চার্চের গর্বিত সদস্য’, যা সিআরইসির সঙ্গে যুক্ত। তিনি উইলসনের অনেক লেখা ও শিক্ষাকে অত্যন্ত মূল্যায়ন করেন।

গত মে মাসে হেগসেথ তাঁর ব্যক্তিগত যাজক ব্রুকস পোটেইগারকে পেন্টাগনে আমন্ত্রণ জানান। সেখানে তিনি সরকারি কর্মঘণ্টায় একাধিক খ্রিষ্টান প্রার্থনাসভার প্রথমটি পরিচালনা করেন। প্রতিরক্ষা দপ্তরের কর্মী ও সামরিক সদস্যরা বলেন, তাঁরা এ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র সরকারি ই–মেইলে পেয়েছিলেন।

সিএনএনের প্রতিবেদনে উইলসন বলেন, ‘আমি এ দেশকে একটি খ্রিষ্টান দেশ হিসেবে দেখতে চাই এবং চাই বিশ্বও খ্রিষ্টান বিশ্ব হোক।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ