সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসির দালাল মাসুম আতংকে সাংবাদিক সেলিম ও তার পরিবার
Published: 14th, September 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের ডিপিডিসির নোটিশ বোর্ডে তালিকাভুক্ত দালাল/অননুমোদিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত আল হেলাল মাসুম দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠেছে। নানা প্রকার অবৈধ ও অপরাধমুলক কর্মকান্ডে ডিপিডিসির নোটিশ বোর্ডে তালিকাভুক্ত দালাল/অননুমোদিত ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত হলেও থেমে নেই তার কর্মকান্ড।
তার হাত থেকে রক্ষা পাননি জাতীয় দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রতিনিধি সিদ্ধিরগঞ্জ আটি এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক সেলিম আহমেদ। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত রূপগঞ্জের একটি জমি জোরপূর্বক দখলে নিতে সাংবাদিক সেলিমকে পথরোধ করে নির্যাতন করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়।
এতে করেও ক্ষ্যান্ত হননি আল হেলাল মাসুম। নিত্য ওই জমি তাকে বুজিয়ে দিতে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। নির্যাতন ও পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারার আতংকে দিনাতিপাত করছে সাংবাদিক সেলিম ও তার পরিবার। অভিযুক্ত আল হেলাল মাসুম নাসিক ৫ নং ওয়ার্ড পশ্চিম কলাবাগ এলাকার বাসিন্দা।
এসব ঘটনায় পুলিশ সুপার নারায়ণগঞ্জ, অধিনায়ক র্যাব-১১, সহকারী কমিশনার (ভূমি) , পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেল, রুপগঞ্জ, অফিসার ইনচার্জ রুপগঞ্জ থানা, অফিসার ইনচার্জ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও কোন প্রতিকার পাননি সাংবাদিক সেলিম।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ আগস্টের পর সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসি অফিস ও নাসিক ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডে আতংকের একটি নাম আল হেলাল মাসুম। তার অবেধ ও কর্মকএন্ড ওই এলাকার জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
বিএনপির কতিপয় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে বেপরোয়া হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিসে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের হুমকি-ধুমকি ও গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল কমবেশি করা ও নতুন মিটার সংযোগ বিষয়ে হয়রানি করছে । তার অবৈধ কর্মকান্ডে ৪ নং ও ৫ নং ওয়ার্ডের জনগণ জিম্মি হয়ে পড়েছে।
সাংবাদিক সেলিম আহমেদ জানান, রূপগঞ্জ মৌজাস্থিত এসএ ৪৪৯ আরএস ৫৫৩ নং দাগের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠছে আল হেলাল মাসুম। তাকে পখরোধ করে নির্যাতন করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি সে। প্রায় সময়ই জমি থেকে দখল উচ্ছেদ করতে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। জমি না দিলে প্রানে মেরে ফেলবে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যের।
আল হেলাল মাসুমের এসব অপরাধ মূলক কর্মকান্ডে এরআগেও সিদ্ধিরগঞ্জ ও রূপগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন তিনি।
এসব অভিযোগ দায়েরের পর আল হেলাল মাসুম দম্ভ করে বলেন, পত্রিকায় লিখে কিম্বা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কোন সাংবাদিক কিছুই করতে পারবে না। আমি আওয়ামী লীগের সময়ে সবাইকে ম্যানেজ করে চলেছি। বর্তমান সরকারের সময়ও সবাইকে ম্যানেজ করে চলছি।
স্থানীয়দের আশংকা, আইনশৃংখলা বাহিনী আল হেলাল মাসুমের এসব অপরাধ কর্মকান্ড সুষ্ঠু ও নিরেপক্ষ তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে এলাকার আইনশৃংখলা অবনতিসহ যে কোন বড় ধরণের নাশতকার ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে, আল হেলাল মাসুমের নির্যাতন ও পৈত্রিক ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা থেকে রক্ষা পেতে র্যাব, পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সাংবাদিক সেলিম।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আল হ ল ল ম স ম স দ ধ রগঞ জ র পগঞ জ এল ক র
এছাড়াও পড়ুন:
ওষুধ আনতে বেরিয়ে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত
হাসপাতাল থেকে ওষুধ আনতে বাসা থেকে স্ত্রীসহ বেরিয়েছিলেন আবদুর রশীদ (৭৯)। তবে হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছানো হয়নি তাঁর। এর আগেই পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আবদুর রশীদ পরিবারের সঙ্গে ডেমরার ডগাইর পশ্চিমপাড়ায় থাকতেন।
আবদুর রশীদের নাতি তাহসিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর দাদা-দাদি সকালে ডেমরার কোনাপাড়ার বাসা থেকে বের হন। তাঁরা রিকশায় ডেমরার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ডে যান। সেখানে রিকশা থেকে নেমে বঙ্গবাজারসংলগ্ন সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ওষুধ নিতে যাওয়ার জন্য বাসে উঠতে হাঁটতে থাকেন। একপর্যায়ে বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ড ভ্যান বৃদ্ধ রশীদকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন।
তাহসিন জানান, তাঁর দাদির সামনে দাদা দুর্ঘটনার শিকার হন। তবে তিনি অক্ষত আছেন। তাঁর দাদাকে প্রথমে সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে বেলা আড়াইটার দিকে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, বৃদ্ধ রশীদকে ধাক্কা দেওয়া যানটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।