মোটা অং‌কের উৎ‌কোচ নি‌য়ে সরকা‌রি বাসা বরা‌দ্দ দি‌তেন গণপূর্ত আবাসন প‌রিদপ্ত‌রের তিন কর্মকর্তা। সি‌ন্ডি‌কেট ক‌রে হা‌তি‌য়ে‌ছেন মোটা অং‌কের টাকা। হ‌য়ে‌ছেন অবৈধ সম্পদের মা‌লিক। অপকর্ম কর‌তে গি‌য়ে অব‌শে‌ষে ধরাও প‌ড়ে‌ছে।

উৎ‌কোচ অনিয়ম সি‌ন্ডি‌কেট ক‌রে বাসা বরাদ্দে অনিয়মসহ দুর্নীতির অভিযোগে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের তিন কর্মকর্তা‌কে সাম‌য়িক বরখাস্ত করা হ‌য়ে‌ছে। তারা হ‌লেন-আবাসন পরিদপ্তরের উপ-পরিচালক রাশেদ আহম্মেদ সাদী, সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইন ও সহকারী হিসাবরক্ষক মো.

নজরুল ইসলাম।

শুক্রবার গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন এসব তথ‌্য জানান।

তিনি ব‌লেন, “দুর্নী‌তির অভিযোগে তিন কর্মকর্তা‌কে সাম‌য়িক বরখাস্ত ক‌রে বৃহস্প‌তিবার মন্ত্রণালয় থে‌কে পৃথক প্রজ্ঞাপন জা‌রি করা হ‌য়ে‌ছে। সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২ (১) অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরাখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।”

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আবাসন পরিদপ্তরের উপপরিচালক রাশেদ আহম্মেদ সাদী ও সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইন সরকারি বাসা বরাদ্দ সিন্ডিকেটের মাধ্যেম বিপুল অর্থ ও স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের অভিযোগ তদন্তনাধীন এবং তা স্পর্শকাতর।

তারা চাকরিতে বহাল থাকলে আরো বেশি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে পারেন এবং তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্তকার্যে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাশেদ আহম্মেদ সাদী এবং বিলাল হোসাইনকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ১২ (১) অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে বরাখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

এছাড়া সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত আরেক অফিস আদেশে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নাম ব্যবহার করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের বাসা বরাদ্দের নামে আবেদনকারীগণের নিকট হতে মোটা অংকের উৎকোচ দাবি করাসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অসদাচরণের অভিযোগ সরকারি আবাসন পরিদপ্তরের সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত  অভিযোগসমূহ তদন্তনাধীন এবং স্পর্শকাতর হওয়ায় সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি-১২(১) অনুযায়ী চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তিনি বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ত ন কর মকর ত নজর ল ইসল ম বরখ স ত ক খ স ত কর অন য য র চ লক সহক র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ বিয়ের খবর দিলেন শবনম ফারিয়া

বিয়ে করলেন আলোচিত মডেল ও অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া। আজ শুক্রবার বাদ আসর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফারিয়া।
শবনম ফারিয়া জানালেন তাঁর পাত্রের নাম তানজিম তৈয়ব, তিনি রাজশাহীর ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস থেকে ফিন্যান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
বিয়ের পর প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে আমার অনুভূতি বরাবরই জটিল—আতঙ্কের চেয়ে কিছু কম নয়। বিবাহবিষয়ক বিভিন্ন জটিল ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর মনে করেছিলাম, এই অধ্যায় হয়তো আমার জীবনে আর আসবে না। তবে সময়ের প্রবাহে এবং পরিবারের আকস্মিক সিদ্ধান্তে এই পরিণয়।
শবনম ফারিয়া জানালেন, ঢাকার অদূরে মাদানী অ্যাভিনিউতে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় নিকট আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সবশেষে ফারিয়া জানালেন, বিয়ের সিদ্ধান্তটি হঠাৎ হওয়ায় তাঁর একমাত্র ননদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ, তিনি দেশের বাইরে আছেন। বললেন, ‘তবে ভবিষ্যতে সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে একটি বিয়ে–পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের নতুন যাত্রার জন্য সবার দোয়া ও শুভকামনা প্রত্যাশা করছি।’
প্রসঙ্গত, শবনম ফারিয়া এর আগে ২০১৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে, যিনি  তখন একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ