অক্সফোর্ড–কেমব্রিজ নেই সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩২ বছরে প্রথম ঘটনা
Published: 20th, September 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকায় নেই অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। ৩২ বছরের মধ্য এ ঘটনার প্রথমবারের মতো ঘটল যে কোনো র্যাংকিংয়ে জায়গা পেল না অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়। দ্য টাইমস ও সানডে টাইমস গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ এ প্রথম তিনে জায়গা পায়নি এ দুই বিশ্ববিদ্যালয়।
এদিকে গত সপ্তাহে প্রকাশিত দ্য গার্ডিয়ান ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬-এ অক্সফোর্ড প্রথম ও কেমব্রিজ তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
গুড ইউনিভার্সিটি গাইড ২০২৬ অনুযায়ী, টানা দ্বিতীয় বছরের মতো লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) তালিকার শীর্ষেই আছে। এরপরে দ্বিতীয় স্থানে আছে সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় অবস্থানে আছে ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়।
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ২ লাখ টাকার প্রশিক্ষণ, নন-আইটি স্নাতক শিক্ষার্থীদের সুযোগ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫যুক্তরাজ্যর গণমাধ্যমে ইনডিপেনডেন্টের খবরে বলা হয়েছে, অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছে, যা গুড ইউনিভার্সিটি গাইডের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠান দুটিকেই সেরা তিনের বাইরে ঠেলে দিয়েছে। ৩২ বছর ধরে করা এই গুড ইউনিভার্সিটি গাউড প্রথমবার এমনটা হলো যে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ প্রথম তিনে নেই।
গত বছর অক্সফোর্ড ছিল তৃতীয় এবং কেমব্রিজ ছিল চতুর্থ। গত বছরই লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিকস চতুর্থ স্থান প্রথম স্থানে চলে এসেছিল। গত বছর সেন্ট অ্যান্ড্রুজ ছিল দ্বিতীয়; যার ফলে অক্সফোর্ড ও কেমব্রিজ দুটোই একধাপ নিচে নেমে গিয়েছিল।
পঞ্চম স্থান থেকে তৃতীয়তে উঠে আসা ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়কে এবার ‘ইউনিভার্সিটি অব দ্য ইয়ার ২০২৬’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ ড ইউন ভ র স ট প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
বাজুসের নতুন সভাপতি এনামুল হক খান
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনে (বাজুস) বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভাস’র এনামুল হক খান। সংগঠনটির ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য তিনি দায়িত্ব পালন করবেন ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে বাজুস কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাজুস নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে কোনো প্রার্থী তাদের মনোনয়পত্র প্রত্যাহার না করায় বাণিজ্য সংগঠনের বিধিমালা-২০২৫ এর ২৪(১) ধারা মোতাবেক বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা নির্বাচনযোগ্য পদের সমান হওয়ায় ৩৫ জন প্রার্থীকে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বাজুসের ২০২৫-২৬ এবং ২০২৬-২৭ মেয়াদের একজন সিনিয়র সহ-সহভাপতি, ৩ জন সহ-সভাপতি, একজন কোষাধ্যক্ষ এবং ২৯ জন পরিচালক নির্বাচিত হয়েছে। এদের সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এখন থেকে আর কেউ থাকবেন না। ফলে সাধারণ সম্পদ পদে কেউ নির্বাচিত হননি। বাজুস প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম সাধারণ সম্পদ পদ বিলুপ্ত করা হলো।
বাজুসের নবনির্বাচিত সভাপতি এনামুল হক খান বলেন, আমরা সোনার ব্যবসা করি। মানুষকে বোঝাতে হবে ব্যবসায়ীরা কিন্তু চোরাকারবারী না। একটি আলোর পথ অন্যটি অন্ধকার পথ। আমরা আলোর পথে আছি। যারা চোরাকারবারী করে তারা কোনোদিন সোনা ব্যবসায় আসবে না। আর যারা সোনা ব্যবসা করে তারা কোনোদিন চোরাকারবারীতে জড়াবে না।
তিনি বলেন, আমাদের সোনা আমদানির প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে। সোনা আমদানির ব্যবস্থা আছে, কিন্তু এতো কঠিন প্রক্রিয়া যে, এই কঠিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সোনা আমদানি করতে গেলে যেই দাম দাঁড়ায়, সেই দাম দিয়ে কেউ সোনা কিনতে আগ্রহী না। আর এজন্য যতদিন সোনা আমদানি সহজ না হয়, ততোদিন পর্যন্ত ব্যাগেজ রুলসের মাধ্যমে সোনা যে সহজে আসতো, সেটা চালু করার জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে ভ্যাট ৫ শতাংশ অথচ আমাদের পাশের দেশে ভ্যাট অনেক কম। আমরা ভ্যাট কমানোর জন্য কাজ করবো।
বাজুসের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রা.) এর রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি পদে আপন ডায়মন্ড হাউজের আজাদ আহমেদ, জড়োয়া হাউজ (প্রা.) লিমিটেডের অভি রায় এবং জেসিএক্স গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডের ইকবাল হোসেন চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত হয়েছেন নিউ ফেন্সী জুয়েলার্স’র অমিত ঘোষ।
বাজুসের পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগোওরালা, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, বাবুল দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিনাজুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তাফা কামাল, ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহমেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।
ঢাকা/নাজমুল/ফিরোজ