জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামের সব বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আইসিটি (ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন অ্যান্ড টেকনোলজি) বিষয়ে তত্ত্বীয় ও একটি ব্যবহারিক কোর্স আবশ্যিক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ আদেশটি অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।

পড়ানোর দায়িত্বে শিক্ষকেরা

১.

ওই কোর্স পাঠদানে আইসিটি বা কম্পিউটার সায়েন্স বা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষকেরা অগ্রাধিকার পাবেন।

২. এ ছাড়া আইসিটি বিষয়ে টিওটি/সিইডিপি/এনএসডিএ/বিটিইবি/বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রশিক্ষণ পাওয়া ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের স্বীকৃত কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইসিটিতে পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমাধারী শিক্ষকেরাও পাঠদান করতে পারবেন।

৩. যেখানে উল্লিখিত (আইসিটি) বিষয়ের শিক্ষক নেই, সেখানে পদার্থবিজ্ঞান, গণিত, রসায়ন, পরিসংখ্যান, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, প্রাণরসায়ন, ভূগোল ও পরিবেশ ও পরিবেশবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকেরা পাঠদান করবেন।

আরও পড়ুনঅক্সফোর্ড–কেমব্রিজ নেই সেরা তিন বিশ্ববিদ্যালয়ে, ৩২ বছরে প্রথম ঘটনা১ ঘণ্টা আগে

৪. যদি উল্লিখিত (আইসিটি) বিষয়ের শিক্ষক না পাওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বা বেসরকারি কলেজের গভর্নিং বডি ইচ্ছা করলে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জেলা বা উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত কম্পিউটার প্রোগ্রামার বা সহকারী প্রোগ্রামার (এপি) অথবা আইসিটি বিষয়ে পারদর্শী রিসোর্সপারসনকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করতে পারবেন।

# বিস্তারিত তথ্য জানতে ওয়েবসাইট: www.na.ac.bd

আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন সিলেবাসে আইসিটি সংযোজন: করণীয় কী২৮ আগস্ট ২০২৫

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইস ট

এছাড়াও পড়ুন:

রাকসুতে শিবিরের ইশতেহার, ১২ মাসের ২৪ প্রস্তাবনা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেছে ইসলামি ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’। প্রতি মাসে দুইটি করে দফা বাস্তবায়ন করতে চায় প্যানেলটি।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরে এ ইশতেহার ঘোষণা করেন প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ।

তাদের ইশতেহারের বিষয় গুলো হলো- জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন, মানসম্মত খাবারের নিশ্চয়তা, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের অধিকার সংস্কার, শিক্ষা ও গবেষণায় গুরুত্বারেপ, লাইব্রেরি ও রিডিং রুম সম্প্রসারণ ও সংস্কার, শিক্ষা কারিকুলাম আন্তর্জাতিকীকরণ, প্রশাসনিক কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন, চিকিৎসা কেন্দ্রর আধুনিকীকরণ, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা, নিরাপদ ক্যাম্পস, পরিবহন ব্যবস্থা সহজীকরণ, নারী শিক্ষার্থীদের অধিকার ও নিরাপত্তা, টিচার্স ইভ্যালুয়েশন, তথ্যসেবা নিশ্চিতকরণ, অন ক্যাম্পস জব, পূর্ণাঙ্গ টিএসসিসি বাস্তবায়ন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের অধিকার রক্ষা, সংস্কৃতির বৈচিত্র্যায়ন, হাইজেনিক স্যানিটাইজেশন, ক্রীড়া উন্নয়ন, সাহিত্য, প্রকাশনা ও সামাজিক সংগঠন, ক্লিন অ্যান্ড গ্রীন ক্যাম্পাস এবং অপরাধ দমন।

এছাড়া ইশতেহারে সাতটি বিষয়কে ‘হ্যাঁ’ বলে জোর দিয়েছে প্যানেলটি। সেগুলো হলো, শিক্ষা ও গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশ, আবাসন সংকট নিরসন, মানসম্মত খাবার নিশ্চিতকরণ, নিরাপদ ক্যাম্পাস, তথ্যসেবা ও আধুনিকায়ন, সকল অংশীজনের মাঝে সুসম্পর্ক বৃদ্ধি, সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ।

অন্যদিকে সাতটি বিষয়কে ‘না’ বলেছে এই প্যানেল। সেগুলো হলো- ৫০ টাকা হল ফি, হল দখল ও সিট-বাণিজ্য, ট্যাগিং ও ফ্রেমিংয়ের রাজনীতি, ফ্লাটশেমিং-সাইবার বুলিং ও শারীরিক নির্যাতন, ধর্মীয় বিদ্বেষ, মাদক ও ছিনতাই, সন্ত্রাস ও সহিংসতা।

এ সময় সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, “আমরা যেই ইশতেহারটা দিয়েছি তার একটি চার্ট আমরা ক্যাম্পাসে টানিয়ে দিব। প্রতি মাসে যেই দুইটা ইশতেহার পূরণ করা হবে, সেখানে আমরা টিক চিহ্ন দিয়ে দিব। আমরা কথা দিয়ে কথা রাখতে চাই। এটি আকাশ কুসুম কোনো প্রস্তাবনা নয় । আমরা এই সংস্কার বাস্তবায়ন করবো। এছাড়া এর জবাবদিহিতার জন্য আমরা সবসময় প্রস্তুত থাকবো।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ