কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ গল্প অবলম্বনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা তুলে আনা হয়েছে ‘নকশিকাঁথার জমিন’ সিনেমায়। আকরাম খান পরিচালিত সিনেমাটি গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল। এবার আসছে ওটিটিতে। আইস্ক্রিন জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষের দিকে তাদের প্ল্যাটফর্মে দেখা যাবে সিনেমাটি।

সিনেমার চিত্রনাট্যে দেখা যাবে, মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দুই বোন রাহেলা ও সালেহার গল্প। যুদ্ধের সময় তাদের পরিবারের মধ্যে একটা বিভক্তি তৈরি হয়। নিজেদের বাড়ির মধ্যেই যেন যুদ্ধটা চলতে থাকে। যুদ্ধের পর তারা দেখতে পায় মুক্তির সংগ্রামে তাদের জীবনের সবই হারিয়ে গেছে। পরে তারা নকশিকাঁথার বুননে তাদের জীবনের সংগ্রামের আখ্যানটা নকশায় ফুটিয়ে তোলে।

আরও পড়ুনগোয়ার উৎসবে পুরস্কারের দৌড়ে ‘নকশিকাঁথার জমিন’১৭ নভেম্বর ২০২২

এতে দুই বোনের চরিত্রে জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি কাজ করেছেন; দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান। গুরুত্বপূর্ণ আরও দুই চরিত্রে আছেন দুই ভাই দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি।

সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির সময় নিজের চরিত্রটি নিয়ে জয়া আহসান বলেছিলেন, ‘আমার রাহেলা চরিত্রের একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। চরিত্রটি এমন—বড় বোন রাহেলা হবে পাথরের মতো একটা মানুষ। তার কোনো অভিব্যক্তি নেই, সে কখনো কাঁদে না। রাহেলা খুশি হলেও বোঝা যাবে না, দুঃখ পেলেও বোঝার উপায় নেই। তার কোনো অনুভূতি থাকবে না।’ সিনেমাটি নিয়ে তিনি আগে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, ‘এই চরিত্র করতে গিয়ে আমার চ্যালেঞ্জ এটাই ছিল যে আমি কখনোই চোখের পাতা ফেলতে পারব না। শুটিংয়ে এই জিনিসটা মাথায় রেখে কাজ করতে হতো। আমাদের স্বভাবতই কয়েকবার করে আমরা চোখের পাতা ফেলি; কিন্তু সেটা না করাই ছিল চ্যালেঞ্জ।’

‘নকশিকাঁথার জমিন’ সিনেমার একটি দৃশ্য.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চর ত র নকশ ক

এছাড়াও পড়ুন:

ছয় ম্যাচে ছয় জয় রিয়ালের, বার্নাব্যুতে উৎসব হলো অন্য কারণেও

রিয়াল মাদ্রিদ ২-০ এস্পানিওল

ছয় ম্যাচ, ছয় জয়। এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ এখনো অপরাজিত।
রিয়ালের সর্বশেষ জয়টা এসেছে আজ, সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারিয়েছে জাবি আলোনসোর দল। লা লিগায় এটি রিয়াল মাদ্রিদের পাঁচ ম্যাচে পঞ্চম জয়।

ম্যাচে রিয়াল কোচ আলোনসোর একাদশ কিছুটা চমকে দেয় ফুটবলপ্রেমীদের। কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে আক্রমণভাগে জুটি গড়তে তিনি দলে নেন গঞ্জালো গার্সিয়াকে। তবে ম্যাচের প্রথম গোলটা এই দুজনের কেউ করতে পারেননি। করেছেন অপ্রত্যাশিত একজন—এদের মিলিতাও!

প্রথম ২৩ মিনিট রিয়াল মাদ্রিদ গোলের পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। প্রথম গোলটাকেও হয়তো তেমন পরিষ্কার সুযোগ বলা যাবে না। ৩০ গজ দূর থেকে বল নিয়ে এদের মিলিতাও এগিয়ে যান, মনে হচ্ছিল যেকোনো সময় আক্রমণটা রুখে দেবে এস্পানিওল। কিন্তু সেটা হয়নি, মিলিতাওয়ের বুলেট গতির এক শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক মার্কো দিমিত্রোভিচ।

এদের মিলিতাওয়ের গোল উদযাপন

সম্পর্কিত নিবন্ধ