চট্টগ্রামে চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী সৈয়দাবাদ এলাকায় গ্যাস সিলিন্ডারের একটি গুদামে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ঢাকার জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তাঁদের মৃত্যু হয়।

নিহত দুই শ্রমিক হলেন মো. ইদ্রিস (২৭) ও মো. ইউসুফ (৩০)। তাঁদের মধ্যে ইদ্রিস চন্দনাইশ উপজেলার বৈলতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা। ইউসুফের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়, তবে তিনি চন্দনাইশের বৈলতলীতে বসবাস করে আসছিলেন।

এর আগে গত বুধবার ভোরে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামটিতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ওই গুদামের মালিক মাহাবুবুল আলমসহ ১০ জন আহত হন। বিস্ফোরণের পর আগুন ছড়িয়ে পড়ায় গুদামটিও পুড়ে যায়। গুদামটিতে অবৈধভাবে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস ভরা (রিফিল) হতো বলে জনপ্রতিনিধিদের সূত্রে জানা গেছে।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে মুঠোফোনে নিহত ইদ্রিসের ছোট ভাই মো.

আবু তালহা বলেন, গতকাল রাতে তাঁর ভাইসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। একই দুর্ঘটনায় আহত আরও দুজন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুনচট্টগ্রামে গ্যাস সিলিন্ডারের গুদামে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জানতে চাইলে চন্দনাইশে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সোলাইমান ফারুকী প্রথম আলোকে বলেন, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ও আগুনে দগ্ধ ১০ জনের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের লাশ এলাকায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাইবান্ধায় গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

গাইবান্ধায় এক গৃহবধূর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কাটাবাড়ি ইউনিয়নের বাগদা বাজার এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত গৃহবধূর শিউলি বেগম (৩৫)। তিনি একই ইউনিয়নের বোগদহ এলাকার শরীফ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী ফরিদ উদ্দিন (৪৫) পলাতক।

পুলিশ জানায়, কয়েক বছর আগে বাগদা বাজার এলাকার ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে বোগদহ এলাকার শিউলি বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলিকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। গতকাল সন্ধ্যায় ওই দম্পতির মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলিকে মারধর ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। রাত ৯টার দিকে বাগদা বাজার এলাকার বাড়ির পাশে কলাবাগানে শিউলির লাশ পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আজ রোববার সকালে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত শিউলির বাবা শরীফ মিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁর মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন ফরিদ। পরিকল্পিতভাবেই শিউলিকে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছেন ফরিদ।

গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বুলবুল ইসলাম বলেন, নিহত নারীর গলা ও পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযুক্ত ফরিদ উদ্দিন ঘটনার পর থেকে পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ