স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বেশ ধীরগতির হয়ে যায়। সাধারণ মানের স্মার্টফোনের পাশাপাশি নামকরা ব্র্যান্ডের হালনাগাদ মডেলের স্মার্টফোনও কিছুদিন পর ধীরে কাজ করে। ফলে দরকারের সময় স্মার্টফোন ঠিকমতো কাজ না করলে বিরক্ত হন অনেকেই। কিন্তু সবার পক্ষে হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেমে চলা দামি স্মার্টফোন কেনা সম্ভব হয় না। বিষয়টি মাথায় রেখে যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরোনো স্মার্টফোন বদলে অনার ব্র্যান্ডের নতুন স্মার্টফোন কেনার সুযোগ দিচ্ছে অনার বাংলাদেশ। আজ রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আওতায় যেকোনো ব্র্যান্ডের পুরোনো স্মার্টফোনের বাজারদর নির্ধারণ করা হবে। এরপর তা ক্রেতাদের পছন্দের স্মার্টফোনের বাজার মূল্য থেকে বাদ দেওয়া হবে। এর ফলে ক্রেতারা কম খরচে নিজেদের পছন্দমতো নতুন মডেলের অনার স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।

অনার বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস আবদুল্লাহ আল বলেন, ‘সাধারণত স্মার্টফোন বদলানোর পথে সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে অর্থনৈতিক সামর্থ্য। আর আমাদের এই এক্সচেঞ্জ অফার সেই বাধা দূর করবে। ক্রেতাদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে আমরা যেকোনো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন গ্রহণ করছি। ক্রেতাদের সুবিধাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

আরও পড়ুনব্যবহৃত ফোন বিক্রির আগে যে ১০ কাজ না করলে বিপদ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩

প্রসঙ্গত, পুরোনো স্মার্টফোনের বাজারদর নির্ধারণের জন্য শীর্ষস্থানীয় ডিভাইস মূল্যায়ন প্রতিষ্ঠান ‘ফ্লিপার’–এর সঙ্গে চুক্তি করেছে অনার। এর ফলে ফ্লিপারের মূল্যায়নপদ্ধতি অনুসরণ করে অনার ব্র্যান্ড স্টোরের কর্মীরা পুরোনো ফোনের বর্তমান বাজার মূল্য মূল্যায়ন করবেন। পুরোনো স্মার্টফোনের বদলে নতুন স্মার্টফোন কেনার সুযোগ শুধু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা অনার ব্র্যান্ড স্টোরেই পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন মেরামত করতে দেওয়ার আগে যে ৫ বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে১৪ জানুয়ারি ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অন র ব

এছাড়াও পড়ুন:

সমাজসেবা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাবেক সমাজসেবা কর্মকর্তা ও বর্তমান বাগেরহাট জেলা সমাজসেবা অফিসের প্রবেশন কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধীর নামে ভিক্ষুক পুনর্বাসন খাতের বরাদ্দকৃত ৩০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

কালীগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের চরদাহ গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার বরাদ্দকৃত টাকা ফেরত এবং সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমানের বিচারের দাবিতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভাগীয় পরিচালক ও জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরে আবেদন করেছেন।

সমাজসেবা প্রবেশন কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন। তিনি জানান, ৩০ হাজার টাকা আলমগীর কবিরের মাকে দিয়েছেন। 

প্রতিবন্ধী আলমগীর কবির তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন, ‘‘কালীগঞ্জ উপজেলা ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর সমাজসেবা অফিস হতে ট্রাই সাইকেল কেনার জন্য আমার নামে ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়। ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে সমাজসেবা কর্মকর্তা শহিদুর রহমান আমার কাছ থেকে দরখাস্ত নিয়ে তার অফিসের হুমায়ন কবিরকে দিয়ে প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র, সাতক্ষীরা থেকে আমার নামে একটি ট্রাই সাইকেল গ্রহণ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে আমাকে ওই বছরের ২৮ নভেম্বর একটি ট্রাই সাইকেল দেওয়া হয়। ভিক্ষুক পুনর্বাসন প্রকল্প হতে বরাদ্দকৃত ৩০ হাজার টাকা আমাকে না দিয়ে সমাজসেবা কর্মকর্তা শহিদুর রহমান আত্মসাৎ করেছেন।’’

সমাজসেবা কর্মকর্তা শেখ শহিদুর রহমান বলেন, ‘‘ভিক্ষুক পুনর্বাসন খাতের বরাদ্দকৃত ট্রাই সাইকেল বাবদ ৩০ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী আলমগীর কবিরের মায়ের হাতে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র হতে প্রাপ্ত ট্রাই সাইেকেলটি তার হাতে দেওয়া হয়েছে।’’ 

ঢাকা/শাহীন/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ