রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের জন্য বিশ্বব্যাংকের ৭০ কোটি ডলারের প্রকল্প চালু
Published: 21st, September 2025 GMT
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে চালু হলো ‘ইনক্লুসিভ সার্ভিসেস অ্যান্ড অপরচুনিটিস ফর হোস্ট কমিউনিটি অ্যান্ড ডিসপ্লেসড রোহিঙ্গা পপুলেশন (আইএসও)’ এবং ‘হোস্ট অ্যান্ড রোহিঙ্গা এনহ্যান্সমেন্ট অব লাইভস (হেল্প)’ প্রকল্প। ৭০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প দুটি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ সরকার।
এ উপলক্ষে আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে যৌথভাবে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংক। এতে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশপাশে বসবাস করা স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মৌলিক সেবা ও সুযোগ নিশ্চিতে পূর্বের অভিজ্ঞতা, বর্তমান চ্যালেঞ্জ, সমাধান এবং লক্ষ্য নিয়ে বক্তারা আলোচনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ও ভুটানে বিশ্বব্যাংকের নতুন ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেম। তিনি বলেন, এই দীর্ঘ আট বছরের সংকটে রোহিঙ্গা জনগণ যেমন সহনশীলতা দেখিয়েছে, তেমনি স্থানীয় জনগণও অসাধারণ সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। তবে এই সংকট সেবা, অবকাঠামো এবং সামাজিক জীবনে বড় চাপ সৃষ্টি করেছে। এতে বিশ্বব্যাংক শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে আছে।
স্বল্পমেয়াদি জরুরি সহায়তার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন নিশ্চিত করাই বিশ্বব্যাংকের লক্ষ্য জানিয়ে জ্যঁ পেম বলেন, এই প্রচেষ্টায় সরকারের নেতৃত্ব, জাতিসংঘ সংস্থা, এনজিও এবং অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের ঘনিষ্ঠ সমন্বয় অপরিহার্য। জাতীয় ও স্থানীয় কাঠামোর সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, তাঁরা অনেক দিন ধরে এ দুটি প্রকল্প এবং স্বাস্থ্য প্রকল্পের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কারণ, গত বছর থেকেই অর্থসংকট দেখা দিয়েছে। সামনে কী হবে, তা এখনো অনিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাংকের এই প্রকল্পগুলো ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব য প রকল প র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন
রোদ ঘন হয়ে আসছে
রোদ ঘন হয়ে আসছে, সেই গাঢ়ত্বে হেঁটে বেড়ানো শালিকের দুপুর—
এখন উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন।
সুন্দর বিষণ্নতায় হেলে পড়ছে সূর্য, সমুদ্রের ঢেউ ছাড়া সব চুপচাপ। শিশির শুকিয়ে যাওয়ার সময় যে অন্ধ লোকটি সেতারা বাজাত, চোখভর্তি কুয়াশা নিয়ে সে বসেছে চোখ ফিরে পাওয়ার আরাধনায়। যে তরুণ পাখির খামার করতে চেয়েছিল অরণ্যে, সে এখন অজস্র ঝরে যাওয়া পাতা, উড়ে যাওয়া পাতা।
বদলে যাচ্ছে সব, তুষার ও বরফের মধ্যবর্তী তাপমাত্রা হয়ে বসে আছি।
রোদ ঘন হয়ে আসছে, নতুন অতিথি দিয়ে ভরে যাচ্ছে আমার শ্মশান।
তুমি শুয়ে রবে, পাশে শিশুর ত্বকের ঘ্রাণে আমি বিস্মৃত হলে—
চোখের মতো দুটো আগুনের জাহাজ ডুবে যাবে অবিশ্বস্ত বরফে।
সংসার কখনোই ক্ষমা করবে না।
সুখের শেকলে একদিন টের পাবে,
কত দূরে চলে গেছো চিবুক ছেড়ে। পুরুষের বুকের ভেতর প্রতিদিন মিথ্যা মিথ্যা ঘুম—
ঘুমের গভীরে জেগে উঠে মানচিত্র এঁকে নেবে শীতের।
নকশিকাঁথার মতো দুঃখকে আলগোছে টেনে নিয়ে গায়ে;
তিন বা তেরো বছর পর টের পাবে,
আমার শীতের শিশিরে ডুবে গেছে তোমার দ্বিধান্বিত সবুজ পা।