উদ্যোক্তা থেকে ‘সুযোগসন্ধানী নারী’ অপবাদ, ডেটিং অ্যাপ প্রতিষ্ঠাতার অবিশ্বাস্য গল্প
Published: 21st, September 2025 GMT
ডেটিং-অ্যাপ দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটানো নাম হুইটনি ওলফ হার্ড। টিন্ডার অ্যাপের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হুইটনি, পরে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে খবরের শিরোনামে আসেন। মামলা, হুমকি, অপবাদ আর পুরুষতান্ত্রিক করপোরেট সংস্কৃতির ভেতরেও হাল ছাড়েননি তিনি। বরং নিজের ভাঙন থেকেই গড়ে তুলেছেন নতুন সাম্রাজ্য—বাম্বল। সেই সিদ্ধান্তই তাঁকে বানিয়েছে বিশ্বের কনিষ্ঠতম স্বোপার্জিত নারী কোটিপতি। হুইটনির বৈচিত্র্যময় জীবনের গল্প নিয়ে তৈরি হয়েছে ওয়েব সিনেমা ‘সোয়াইপড’। টরন্টো উৎসবে প্রিমিয়ারের পর ১৯ সেপ্টেম্বর হুলুতে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। র্যাচেল লি গোল্ডেনবার্গের সিনেমাটিতে হুইটনির চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিলি জেমস।
টিন্ডারের সূচনা
২০১২ সালে যৌথভাবে টিন্ডার প্রতিষ্ঠা করেন হুইটনি। তরুণ প্রজন্মের জন্য সহজে ব্যবহারযোগ্য অ্যাপ বানানোর আইডিয়া তখনো নতুন। নামকরণ, বিপণন কৌশল আর অ্যাপটিকে জনপ্রিয় করতে ক্যাম্পাস থেকে ক্যাম্পাসে ছুটে বেড়ানো—সব একা হাতে করেছেন হুইটনি। সিনেমার একটি দৃশ্যে দেখা যায়, হুইটনি কীভাবে শিক্ষার্থীদের কাছে অ্যাপ ব্যবহার করতে অনুরোধ করছেন। তাঁর পরিশ্রম বৃথা যায়নি; দ্রুতই তরুণদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে টিম্বার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ইটন
এছাড়াও পড়ুন:
উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন
রোদ ঘন হয়ে আসছে
রোদ ঘন হয়ে আসছে, সেই গাঢ়ত্বে হেঁটে বেড়ানো শালিকের দুপুর—
এখন উপশহরের শ্মশানের মতো নির্জন।
সুন্দর বিষণ্নতায় হেলে পড়ছে সূর্য, সমুদ্রের ঢেউ ছাড়া সব চুপচাপ। শিশির শুকিয়ে যাওয়ার সময় যে অন্ধ লোকটি সেতারা বাজাত, চোখভর্তি কুয়াশা নিয়ে সে বসেছে চোখ ফিরে পাওয়ার আরাধনায়। যে তরুণ পাখির খামার করতে চেয়েছিল অরণ্যে, সে এখন অজস্র ঝরে যাওয়া পাতা, উড়ে যাওয়া পাতা।
বদলে যাচ্ছে সব, তুষার ও বরফের মধ্যবর্তী তাপমাত্রা হয়ে বসে আছি।
রোদ ঘন হয়ে আসছে, নতুন অতিথি দিয়ে ভরে যাচ্ছে আমার শ্মশান।
তুমি শুয়ে রবে, পাশে শিশুর ত্বকের ঘ্রাণে আমি বিস্মৃত হলে—
চোখের মতো দুটো আগুনের জাহাজ ডুবে যাবে অবিশ্বস্ত বরফে।
সংসার কখনোই ক্ষমা করবে না।
সুখের শেকলে একদিন টের পাবে,
কত দূরে চলে গেছো চিবুক ছেড়ে। পুরুষের বুকের ভেতর প্রতিদিন মিথ্যা মিথ্যা ঘুম—
ঘুমের গভীরে জেগে উঠে মানচিত্র এঁকে নেবে শীতের।
নকশিকাঁথার মতো দুঃখকে আলগোছে টেনে নিয়ে গায়ে;
তিন বা তেরো বছর পর টের পাবে,
আমার শীতের শিশিরে ডুবে গেছে তোমার দ্বিধান্বিত সবুজ পা।