৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, বলছে পিএসসি
Published: 23rd, September 2025 GMT
৪৫তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ৬ হাজার ৫৫৮ জন প্রার্থী। তাঁদের মৌখিক পরীক্ষা ইতিমধ্যে চলছে। সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী ১০ ডিসেম্বর এই বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মতিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘পিএসসি প্রকাশিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর ৪৫তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
আরও পড়ুনপ্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকেরা ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে পাচ্ছেন উচ্চতর স্কেল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫৪৫তম বিসিএসের মাধ্যমে ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে মোট ২ হাজার ৩০৯ জনকে। নন-ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে আরও ১ হাজার ২২ জনকে। ক্যাডারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিয়োগ হচ্ছে চিকিৎসা ক্যাডারে। সহকারী ও ডেন্টাল সার্জন মিলিয়ে নিয়োগ পাবেন ৫৩৯ জন। চিকিৎসার পর সবচেয়ে বেশি শিক্ষা ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে ৪৩৭ জনকে। এরপর প্রশাসনে ২৭৪, পুলিশে ৮০ এবং কাস্টমসে ৫৪ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। প্রাথমিক ধাপের প্রতিযোগিতা ছিল তীব্র। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় আবেদন করেছিলেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে অংশ নেন ২ লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। অনুপস্থিত ছিলেন ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। উপস্থিতির হার ছিল ৭৭ দশমিক ২৪ শতাংশ।
আরও পড়ুনবাংলাদেশ বিমানে চাকরি, নেবে ৪৬ কর্মী২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন যাঁরা, তাঁদের সবার দৃষ্টি এখন ১০ ডিসেম্বরের দিকে। সেদিনই নির্ধারিত হবে কারা পাবেন কাঙ্ক্ষিত বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সুযোগ।
আরও পড়ুনখাদ্য অধিদপ্তরের ৩য় পর্যায়ে বাছাই পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুন৪৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল চলতি মাসেই২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর পর ক ষ য় ব স এস র প এসস
এছাড়াও পড়ুন:
বাসদের ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিল, ‘বাম বিকল্প’ গড়ার আহ্বান
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং সোভিয়েত সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৮তম বার্ষিকী আজ ৭ নভেম্বর, শুক্রবার। দিনটি উপলক্ষে আজ বিকেলে রাজধানী ঢাকায় লাল পতাকা মিছিল করেছে বাসদ। এর আগে দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশে মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় ‘বাম বিকল্প’ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সমাবেশ হয়। সমাবেশ শেষে লাল পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাব, পল্টন, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার, গোলাপ শাহ মাজার, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ ও বায়তুল মোকাররম ঘুরে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
১৯৮০ সালের ৭ নভেম্বর বাসদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সময়ের পরিক্রমায় দলটি কয়েক ভাগে বিভক্ত হয়েছে। আজ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে লাল পতাকা মিছিলের আগে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদের সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ। আরও বক্তব্য দেন দলের কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস ও সদস্য জুলফিকার আলী। তাঁরা মুক্তিযুদ্ধ ও গণ-অভ্যুত্থানের চেতনায় বাম বিকল্প গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
সমাবেশে নেতারা বলেন, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র, শ্রমিক, জনতা রক্ত দিয়ে অভ্যুত্থান করে স্বৈরাচারী সরকারকে হটাল। এরপর অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও গণমানুষের স্বার্থের বদলে সংস্কার, আদেশ, গণভোট ইত্যাদি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কে সময়ক্ষেপণ করছে।
বাসদের নেতারা বলেন, চব্বিশের অভ্যুত্থানের পরও বৈষম্যবিরোধী চেতনার বিপরীতেই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, শ্রমিকের চাকরি, মজুরি, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, বেকারত্ব দূর করা, নারীদের লাঞ্ছনা, অপমান ও নির্যাতন রোধ এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষদের নিরাপত্তা নিয়ে রাষ্ট্র কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
সমাবেশে নেতারা আরও বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হলেও সম্প্রতি নির্বাচন বানচালের নানামুখী ষড়যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। খুনোখুনিসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমেই অবনতি ঘটছে।
নেতারা মনে করেন, নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র দেশকে আরও ভয়ানক সংকটে ঠেলে দেবে। দেশবাসীকে গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করতে হবে।