রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ‘রক্তের ফেরিওয়ালা’ নিহত
Published: 23rd, September 2025 GMT
বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন আরাফাত মোল্লা (২৫)। কিছু দূর এগোতেই বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সোমবার রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান।
গতকাল রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মাখন রায়পাড়া পর্যটনকেন্দ্র নতুন ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় ওই দুর্ঘটনায় পড়েন আরাফাত।
আরাফাত মোল্লা উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা গ্রামের কৃষক কালাম মোল্লার ছেলে ও জাকের পার্টি ছাত্র ফ্রন্টের রাজবাড়ী জেলার সহসাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি প্রথম আলো (গোয়ালন্দ) বন্ধুসভা ও গোয়ালন্দ ব্লাড ডোনার ক্লাবের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে তিনি ‘রক্তের ফেরিওয়ালা’ নামে পরিচিত ছিলেন।
আরাফাতের চাচা আবদুস সালাম মোল্লা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আরাফাত স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গত শুক্রবার বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অংশ নেন। গতকাল বিকেলে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। সন্ধ্যার পর মাখন রায়পাড়া পর্যটনকেন্দ্র নতুন ব্রিজ এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা শেষে রাত ১০টার দিকে নিজে মোটরসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়ার গতির মোটরসাইকেলের সঙ্গে আরাফাতের মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় চালক আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে আরাফাতের অবস্থার অবনতি হয়। একপর্যায়ে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
এদিকে দুর্ঘটনায় আহত আরেক মোটরসাইকেল আরোহী মো.
গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা শরীফ ইসলাম বলেন, আরাফাতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ছিল। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণের ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আর ফ ত র দ র ঘটন উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে দুই দিনে এক ট্রাক ও চার ট্রাক্টরভর্তি পাথর জব্দ
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পাথর লুট থামছে না। সম্প্রতি পর্যটনকেন্দ্র সাদাপাথর থেকে পাথর লুটের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। মামলার পাশাপাশি লুট করা পাথর আটক করে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল পর্যটনকেন্দ্রে। অভিযানে নেমেছিল প্রশাসনের পাশাপাশি যৌথ বাহিনী। এরপরও পাথর লুটপাটকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্র এলাকায় লুটপাট কমলেও লুট থামছে না ‘পাথরের খনি’খ্যাত শাহ আরেফিন টিলায়। এরই মধ্যে এই টিলার প্রায় ৮৫ শতাংশ পাথর লুট হয়ে গেছে। টিলা কেটে লুট করা হয়েছে পাথরগুলো। এরপরও থামছে না পাথর লুট।
শাহ আরেফিন টিলা থেকে লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় গতকাল বুধবার রাতে চার ট্রাক্টরভর্তি পাথর ও আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করেছে পুলিশ। তবে উদ্ধার করা পাথরের পরিমাণ জানা যায়নি।
এক ট্রাকভর্তি পাথর জব্দ করে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে পুলিশের তল্লাশিচৌকিতে