‘শাটডাউন’ কর্মসূচির পর আইআইইউসি বন্ধ, ফটকে অবস্থান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের
Published: 24th, September 2025 GMT
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) শিক্ষার্থীদের ১৫ দফা দাবি ঘিরে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করলে গভীর রাতে কর্তৃপক্ষ নোটিশ দিয়ে আজ বুধবার এক দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে।
এর ফলে সকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি। ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পরে মূল ফটকে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থী কর্তৃপক্ষের প্রতীকী গায়েবানা জানাজা পড়েন।
আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ সমস্যার সমাধানে আন্তরিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণার পরপরই তারা বন্ধ ঘোষণা করেছে। আজকের ছুটির পর দুই দিন সাপ্তাহিক ছুটি এবং তার পর আরও তিন দিনের পূজার ছুটি রয়েছে। তারা ভেবেছে, সাত দিনের ছুটি শেষে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থেকে সরে যাবে। কিন্তু সেটা হবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
আন্দোলনের সমন্বয়কারীদের একজন জানান, আজ পরিবহন বন্ধ করে দেওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী গণপরিবহন ব্যবহার করে এলেও ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারেননি। আবাসিক শিক্ষার্থীদেরও বের হতে দেওয়া হয়নি। তাঁর ভাষ্য, ‘কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে আন্তরিকতা দেখালেও কাজে তার প্রতিফলন নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা মুনির চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে এক দিনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আলোচনায় না বসলে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।’
এর আগে গত রোববার থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। সোমবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত তাঁরা প্রশাসনিক ভবন অবরুদ্ধ করে রাখেন। মঙ্গলবার তাঁরা শাটডাউন কর্মসূচি দেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত সোমবার কর্তৃপক্ষ বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করে। এক দিনের মধ্যে সমাধানের রোডম্যাপ দিতে বলা হয় কমিটিকে। কমিটি সুপারিশমালা জমা দিলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তা শিক্ষার্থীদের জানানো হয়। শিক্ষার্থীরা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে শাটডাউন ঘোষণা করেন।
শিক্ষার্থীদের উল্লেখযোগ্য দাবির মধ্যে রয়েছে লেট ফি বাতিল, নতুন ল্যাব স্থাপন, হল রুম থেকে ক্লাসরুম সরানো, সব সেমিস্টারে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষার সুযোগ, পরিবহন আধুনিকায়ন ও মেডিকেল সেবা সংস্কার।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জি–২০ শীর্ষ সম্মেলন বর্জন করছে যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি কিংবা কোনো মার্কিন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করবেন না। এতে আবার বিতর্কিত ও প্রমাণহীন দাবি উত্থাপন করে ট্রাম্প বলেছেন, দেশটির শ্বেতাঙ্গ কৃষকেরা সরকারের দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছে। তিনি বলেন, এমনকি দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গরা হত্যারও শিকার হচ্ছে।
ট্রাম্প এর আগে সেপ্টেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি আগামী ২২ ও ২৩ নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন না, তবে তাঁর জায়গায় ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স যোগদান করবেন।