নিজের পরিচয় ভুলবেন না

বিয়ের পর দায়িত্ব বাড়লেও নিজের শখ–আগ্রহ বা লক্ষ্য ভুলে যাবেন না। গান শোনা, লেখালেখি, নতুন কিছু শেখা বা কর্মজীবনের পরিকল্পনা—যা আপনাকে আনন্দ দেয়, সেসব চালিয়ে যান।

একান্ত সময় রাখুন

প্রতিদিন বা অন্তত সপ্তাহে এক দিন নিজের জন্য কিছু সময় রাখুন। বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, সিনেমা দেখা বা বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা—এসব আপনাকে সতেজ রাখবে। মনে রাখবেন, একটু দূরত্বও সম্পর্কে নতুন উদ্যম আনে।

আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা

বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে আর্থিক চাপ থাকেই। তাই বাজেট, সঞ্চয় ও খরচে দুজনেরই অংশগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি সম্ভব হলে প্রত্যেকের একটি করে ব্যক্তিগত সঞ্চয় থাকা ভালো। এতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা থাকে, আবার একে অপরের ওপর চাপও কমে।

আরও পড়ুনশক্তিশালী দাম্পত্য সম্পর্কের এই ১২ লক্ষণের কয়টি আপনাদের মধ‍্যে আছে১৯ মে ২০২৫খোলামেলা যোগাযোগ

কোনো বিষয়ে অস্বস্তি লাগলে বা একান্তে সময় চাইলে সঙ্গীকে বলুন। ‘না’ বলার অভ্যাস গড়ে তুলুন—তবে সম্মান রেখে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই যদি খোলাখুলি কথা বলেন, তাহলে সীমা নির্ধারণ সহজ হয়।

নতুন কিছু শিখুন

বিয়ে মানেই শেখার ইতি নয়। বরং নতুন কোনো দক্ষতা, কোর্স বা শখ নিয়ে কাজ শুরু করুন। এতে আত্মবিশ্বাস বাড়বে, সম্পর্কও একঘেয়ে লাগবে না।

দাম্পত্য সম্পর্কে স্বাধীনতা মানে একে অপরের প্রতি উদাসীনতা নয়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা থেকে নায়ক হয়েছি: শুভ

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়ক আরিফিন শুভ। নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও সফল। তবে তার সাফল্যের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ পথচলার গল্প, রয়েছে সংগ্রাম, পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসের অনন্য উদাহরণ। 

সম্প্রতি মোটিভেশনাল ট্রেইনার ডন সামদানি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নেন শুভ। সেখানে নিজের জীবনের শুরুর দিনগুলোর কথা হাসিমুখে স্মরণ করেন। কীভাবে তিনি প্রডাকশনের একদম নিচের স্তর থেকে উঠে এসেছেন, সেই গল্প শুনিয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

দীপিকার লিভারের ২২ শতাংশ কেটে ফেলা হয়েছে

অকৃতজ্ঞ মানুষদের সাহায্য করা বন্ধ করুন: ভাবনা

স্মৃতিচারণ করে শুভ বলেন, “আমি একসময় প্রডাকশনে অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করতাম। কাজটা ছিল ছোট, কিন্তু শেখার আগ্রহ ছিল বিশাল। কখনো পানি দেওয়া, কখনো শিল্পীর স্যান্ডেল পরিষ্কার করা—এসবই ছিল আমার দায়িত্ব।” 

হাস্যরসের সুরে শুভ বলেন, “আমি তখন ছিলাম প্রডাকশনের ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চা!” 

এই ছোট্ট রসিকতার পেছনেই লুকিয়ে আছে এক গভীর বাস্তবতা। তখনকার সেই সহকারী কর্মী আজ দেশের অন্যতম নায়ক। শুভ বলেন, “জীবনের চক্র ঠিক এমনই—যদি স্বপ্ন বড় হয়, পরিশ্রম করলে সেটি একদিন বাস্তব হয়ে ওঠে।” 

মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা আরিফিন শুভ পরে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করে দর্শকের হৃদয় জয় করেন। ২০১৩ সালে ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তার। এরপর ‘ছুঁয়ে দিলে মন’, ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘মিশন এক্সট্রিম’, ‘ব্ল্যাক ওয়ার’সহ একাধিক সফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন শুভ।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ