তামিমকে নিয়ে আফসোস বাকি প্রার্থীদেরও
Published: 3rd, October 2025 GMT
শুক্রবার ছুটির দিনেও বিসিবিতে ছিল নির্বাচনী আমেজ। ৬ অক্টোবর পরিচালনা পর্ষদের ভোট সামনে রেখে কাল মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন প্রার্থীরা। নিজেদের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময়ের সঙ্গে প্রচারণার জন্য বিসিবিতে ব্যানার-ফেস্টুন লাগানোর পরিকল্পনা করতেও দেখা যায় কাউকে কাউকে।
পরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হওয়া প্রার্থীদের ভোট নিয়ে উচ্ছ্বাস থাকলেও তাঁদের কণ্ঠে কাল শোনা গেছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের প্রার্থিতা প্রত্যাহার নিয়ে হতাশা।
ঢাকা মেরিনার ইয়াং ক্লাবের কাউন্সিলর শানিয়ান তানিম তাঁদেরই একজন। তামিম ইকবাল তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু জানিয়ে তিনি বলছেন, ‘আমি অনেক বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে ওনার থাকা উচিত। কারণ, আমরা একসঙ্গে স্বপ্ন দেখেছিলাম। যাঁরা যাঁরাই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন—শুধু তামিম ইকবাল না, অনেক যোগ্য প্রার্থী ছিলেন, যাঁরা ডিজার্ভ করেন এখানে (পরিচালক হিসেবে) থাকা।’
আরও পড়ুনবিসিবি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে তামিম বললেন—নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন০১ অক্টোবর ২০২৫বিসিবি নির্বাচনে প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। সভাপতি হওয়ার আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে নির্বাচনে ‘ফিক্সিংয়ের’ অভিযোগ তুলে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন তামিম। তাঁর সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন আরও ১৫ জন। এই ঘটনা বেশ পীড়া দিয়েছে ক্যাটাগরি-৩ থেকে পরিচালক পদে প্রার্থী হওয়া দেবব্রত পালকে।
কাল মিরপুরে সাংবাদিকদের দেবব্রত বলেন, ‘তামিম ইকবালসহ আমাদের যাঁরা সাবেক অধিনায়ক ছিল, দীর্ঘদিন কাজ করার সুবাদে এবং একসঙ্গে খেলার সুবাদে আমার সঙ্গে কিন্তু তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। তামিমের অনুপস্থিতি ব্যক্তিগতভাবে আমাকে অত্যন্ত পীড়া দিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতি কখনোই কাম্য হতে পারে না।’
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল
এছাড়াও পড়ুন:
পাবনায় ঈদগাহের নাম নিয়ে দু’ গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২০
পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ঈদগাহের নামকরণ করা নিয়ে দুই গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (০৩ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের আটলংকা গ্রামে সংঘর্ষ হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন:
হবিগঞ্জে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, ৫০ জন আহত
ট্রেন ছাড়তে দেরি হওয়ায় ভাঙ্গুড়ায় যাত্রীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ
চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তিকৃত আহতরা হলেন, উপজেলার বন্যাগাড়ী গ্রামের আজিম উদ্দিন, সুরমান আলী, আরমান আলী, আবুল হোসেন, রাশেদ হোসেন, আফজাল প্রামাণিক, সেলিম হোসেন ও সাব্বির হোসেন। আহত কয়েকজনকে আটঘরিয়া ও পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, ‘‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মূলত ঈদগাহ মাঠের নামকরণ করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় ঈদগাহের নামকরণ করা নিয়ে আটলংকা ও বন্যাগাড়ী গ্রামের লোকজনের মধ্যে বিরোধ চলছে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকবার থানায় ও স্থানীয়ভাবে মীমাংসার জন্য দুই গ্রামের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিরা বসেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়। এরপর থেকে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে নামফলক লাগানো নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ লাঠিসোঁটা ও দেশীয় নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী, থানার ওসি মনজুরুল আলমসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর উভয় পক্ষের আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আটলংকা বাজারের পাশে অবস্থিত ঈদগাহ মাঠটি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে বন্যাগাড়ী ও আটলংকা গ্রামের মানুষ একসঙ্গে ব্যবহার করে আসছেন। ৫ আগস্টের পট পরিবর্তনের পর আটলংকা গ্রামের মানুষ ঈদগাহ মাঠটি নিজেদের দাবি করে এবং নামকরণ তাদের গ্রামের নামে ‘আটলংকা ঈদগাহ মাঠ’ করার চেষ্টা করে। এতে বন্যাগাড়ী গ্রামের মানুষ তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়।
বন্যাগাড়ী গ্রামের মানুষের দাবি, যেহেতু ঈদগাহ মাঠটি পূর্বপুরুষ থেকে একসঙ্গে ব্যবহার হয়ে আসছে, তাই নাম দিতে হলে দুই গ্রামের নামে ‘আটলংকা-বন্যাগাড়ী ঈদগাহ মাঠ’ করতে হবে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল