পবিত্র রমজানের সম্ভাব্য তারিখ কবে, জানালেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
Published: 4th, October 2025 GMT
সংযুক্ত আরব আমিরাতের জ্যোতির্বিজ্ঞান সংস্থার প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার। এর অর্থ, আমরা রমজান মাস থেকে ঠিক ১৩৯ দিন দূরে আছি।
সংস্থার চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান বলেন, রমজান মাস শুরু হবে নতুন চাঁদ ওঠার ভিত্তিতে। এ চাঁদ আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টা ১ মিনিটে আবুধাবির সময় অনুযায়ী জন্ম নেবে।
কিন্তু এ নতুন চাঁদ সূর্যাস্তের এক মিনিট পরই অস্ত যাবে। তাই সেই দিন সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা সম্ভব হবে না। তাই চাঁদ দেখা কমিটির আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণের পর রমজানের প্রথম দিন হতে পারে বৃহস্পতিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি।
আল জারওয়ান জানান, আবুধাবিতে রোজা রাখার সময় শুরুতে প্রায় ১২ ঘণ্টা ৪৬ মিনিট হবে এবং মাসের শেষের দিকে এটি ধীরে ধীরে বেড়ে ১৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিটে পৌঁছাবে। দিনের আলো শুরুতে ১১ ঘণ্টা ৩২ মিনিট থাকবে এবং মাস শেষে ১২ ঘণ্টা ১২ মিনিটে পৌঁছাবে।
আবুধাবিতে ওই মাসের শুরুতে তাপমাত্রা ১৬°ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২৮°ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত থাকতে পারে জানিয়ে আল জারওয়ান বলেন, এটি উত্তরের শীতকালীন বাতাসের কারণে প্রভাবিত হবে। রমজানের শেষ দিকে তাপমাত্রা বেড়ে ১৯°ডিগ্রি থেকে ৩২°ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। ওই সময় সাধারণত বসন্তকালীন আবহাওয়া ও পশ্চিমা বাতাস শুরু হয়।
আল জারওয়ান আরও জানান, পবিত্র রমজানের পুরো মাস বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময় বৃষ্টির পরিমাণ ১৫ মিলিমিটার ছাড়াতে পারে; যা মৌসুমি গড় আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’
মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।
হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’
সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।