বাংলাদেশে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, শিক্ষক ও ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ
Published: 4th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গত কয়েক দশকে শিক্ষা খাতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে এখনো আমাদের প্রাথমিক শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। স্কুলের বেঞ্চ থেকে শুরু হওয়া শিক্ষার যাত্রা যদি মজবুত না হয়, তাহলে পরবর্তী উচ্চশিক্ষা কিংবা পেশাগত জীবনে সেই ঘাটতি সহজে পূরণ করা সম্ভব হয় না। শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয় হলো জ্ঞান অর্জনের প্রথম পাঠশালা।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, গ্রামীণ ও শহুরে দুই প্রেক্ষাপটেই এখনো শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে বড় ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান। অনেক শিশু স্কুলে যায়, কিন্তু ভালো শিক্ষক, আধুনিক শিক্ষণপদ্ধতি ও কার্যকর পাঠ্যক্রমের অভাবে তাদের মেধা বিকাশে সীমাবদ্ধতা তৈরি হয়। এ কারণে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি দুর্বল থেকে যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত এসে সেই দুর্বলতার প্রতিফলন দেখা যায়।
আমি নিজে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে প্রতিদিনই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কাজ করি। সেখানে একটি বিষয় স্পষ্টভাবে বোঝা যায়—শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান আগের তুলনায় দুর্বল হয়ে পড়ছে।
অনেক শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, গণিত এমনকি বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মৌলিক ধারণা নিয়েই সমস্যায় পড়ে। উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পরও অনেকেই সাধারণ গাণিতিক সমীকরণ সমাধান করতে পারে না কিংবা বৈজ্ঞানিক যুক্তি দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান করতে হিমশিম খায়।
এর মূল কারণ হলো প্রাথমিক স্তরে তাদের শক্ত ভিত্তি তৈরি হয়নি। ফলে তারা নতুন ধারণা শেখার পরিবর্তে আগের ঘাটতি পূরণে সময় ব্যয় করে। এর ফলে উচ্চশিক্ষায় মানোন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে তারা চাকরির বাজারে প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়ে।
বাংলাদেশে শিক্ষকদের বেতনকাঠামো ও প্রশিক্ষণের অভাবও প্রাথমিক শিক্ষার মানকে দুর্বল করে দিচ্ছে। একটি দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি হলো শিক্ষক। অথচ আমাদের দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা এখনো পর্যাপ্ত মর্যাদা পান না, তাঁদের আর্থিক অবস্থাও খুব একটা উন্নত নয়। একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক যখন জীবিকার চিন্তায় ব্যস্ত থাকেন, তখন তাঁর পক্ষে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান গঠনে সর্বোচ্চ মনোযোগ দেওয়া সম্ভব হয় না। শুধু তা–ই নয়, অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা যথাযথ প্রশিক্ষণ পান না, ফলে আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদান করতে অক্ষম হন।
এবার যদি তুলনা করা হয় অন্যান্য দেশের সঙ্গে, তাহলে পরিস্থিতি আরও পরিষ্কার হবে। ভারত প্রাথমিক শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে ‘জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০২০’ এর মাধ্যমে। সেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে ‘ফাউন্ডেশনাল লিটারেসি অ্যান্ড নিউমেরেসি’ বা মৌলিক পড়া-লেখা ও গণিত দক্ষতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি শিক্ষকদের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ কর্মশালা চালু আছে। চীনে প্রাথমিক শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা অত্যন্ত উচ্চ। তাঁদের মাসিক বেতন গড়ে বাংলাদেশি টাকায় ৭০-৮০ হাজার টাকার সমান। শুধু তা–ই নয়, শিক্ষকতা পেশাকে সেখানে অন্যতম সম্মানজনক পেশা হিসেবে দেখা হয়। ফলে যোগ্য ও মেধাবী মানুষ শিক্ষকতায় আগ্রহী হয়।
শ্রীলঙ্কার শিক্ষাব্যবস্থা দক্ষিণ এশিয়ায় তুলনামূলকভাবে উন্নত। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার মান ভালো রাখার জন্য শিক্ষকদের বেতন ও প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এমনকি গ্রামীণ স্কুলগুলোতেও একাডেমিক তদারকি এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক। আর যদি ইউরোপীয় দেশগুলোর কথা বলা হয়, তাহলে দেখা যায় শিক্ষকেরা সেখানে উচ্চ মর্যাদা ভোগ করেন।
ফিনল্যান্ডকে উদাহরণ হিসেবে ধরলে দেখা যায়, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক হতে হলে মাস্টার্স ডিগ্রি আবশ্যক। নর্ডিক দেশগুলোতে শিক্ষক হতে চাইলে মাস্টার্স লেভেলের পেডাগজি ডিগ্রি প্রয়োজন, প্রবেশ অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক, এবং শিক্ষকেরা সমাজে উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন পেশাজীবী হিসেবে বিবেচিত। ফলে দেখা যায়, যেসব দেশে শিক্ষকের বেতন ও মর্যাদা উঁচু, সেসব দেশেই শিক্ষা ফলাফল দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই।
কিন্তু বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে এখনো অনেক অনিয়ম, দুর্বলতা ও রাজনৈতিক প্রভাব বিদ্যমান। শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ নেই বললেই চলে, আবার প্রশিক্ষণের মানও প্রশ্নবিদ্ধ। উন্নত বিশ্বের মতো যদি আমরা শিক্ষকদের বেতনকাঠামো বাড়াতে পারি, পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করতে পারি এবং নিয়মিত প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে পারি, তাহলে শিক্ষার মানোন্নয়ন হবে।
বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষকের বেতন এখনো আকর্ষণীয় পর্যায়ে নয়, যার ফলে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আগ্রহী হন না বা থেকে যান না। অথচ বেতনকাঠামো প্রতিযোগিতামূলক হলে ও পদোন্নতির সুস্পষ্ট পথ থাকলে শিক্ষকতা হতে পারে প্রতিভাবান তরুণদের প্রথম পছন্দের পেশা। উচ্চ বেতন শুধু আর্থিক সুবিধাই নয়—এটি মর্যাদা, আত্মমর্যাদাবোধ ও পেশার প্রতি দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকার তৈরি করে।
তবে বেতন বাড়ানোকে জবাবদিহি ও পেশাগত উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে—যেমন ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন না করলে ইনক্রিমেন্ট স্থগিত, সহকর্মী পর্যবেক্ষণ ও প্রতিফলনের মাধ্যমে উন্নয়ন, গ্রামীণ বা দুর্গম অঞ্চলে কাজ করলে বিশেষ ভাতা ও পদোন্নতির সুযোগ ইত্যাদি। এর সঙ্গে থাকতে হবে কার্যকর প্রশিক্ষণ মডিউল—যেখানে পড়া-লেখা-গণিতের ভিত্তি গড়ে তোলা, শিশু-মনস্তত্ত্ব, অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা, ধারাবাহিক মূল্যায়ন, লাইব্রেরি সংস্কৃতি, হাতেকলমে বিজ্ঞান-গণিত কার্যক্রম ও ডিজিটাল শিক্ষণপদ্ধতি থাকবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ক্লাস সাইজ, শিক্ষাসামগ্রীর ঘাটতি এবং পরীক্ষাভিত্তিক সংস্কৃতি শেখার প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। তাই ক্লাস সাইজ ৩০-৩৫–এ নামানো, সহকারী শিক্ষক বা রিসোর্স টিচার নিয়োগ, প্রতিটি স্কুলে লাইব্রেরি স্থাপন, সপ্তাহে অন্তত এক দিন পড়ার উৎসব আয়োজন এবং বিজ্ঞান-গণিতের জন্য সাশ্রয়ী পরীক্ষণ কিট সরবরাহ করা জরুরি। প্রাথমিক শিক্ষাকে কেবল ভবন নির্মাণ দিয়ে শক্তিশালী করা যাবে না, প্রয়োজন ‘শেখার অবকাঠামো’—লাইব্রেরি, ল্যাব, পাঠ্য উপকরণ, শান্ত পরিবেশ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক।
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব কেবল ব্যক্তিগত পর্যায়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও অপরিসীম। একটি শিশু যখন প্রাথমিক পর্যায়েই গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা ও নৈতিক শিক্ষার দৃঢ় ভিত্তি পায়, তখন সে ভবিষ্যতে উচ্চশিক্ষায় ভালো করে এবং দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে ওঠে। এর ফলে দেশের উৎপাদনশীলতা বাড়ে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় এবং দারিদ্র্য হ্রাস পায়। উন্নত দেশগুলোতে শিক্ষায় বিনিয়োগকে ব্যয় হিসেবে নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ হিসেবে দেখা হয়। বাংলাদেশেও এ দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করা জরুরি।
বাংলাদেশে সরকার প্রাথমিক শিক্ষায় নানা উদ্যোগ নিয়েছে, যেমন বিনা মূল্যে বই বিতরণ, স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম, বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন ইত্যাদি। এগুলো প্রশংসনীয়। তবে শুধু বই বিতরণ বা অবকাঠামো নয়, সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত শিক্ষকদের মানোন্নয়নে। শিক্ষক যদি যোগ্য না হন, তাহলে সুন্দর ভবন ও বই দিয়েও ভালো শিক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়।
এখানে আরও একটি বিষয় উল্লেখ করা জরুরি। বর্তমান যুগ হলো চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগ। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিকস, বায়োটেকনোলজি, কোয়ান্টাম কম্পিউটিং ইত্যাদির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রযুক্তিসচেতন হতে হবে। কিন্তু যদি প্রাথমিক স্তরেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মৌলিক জ্ঞান না দেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে এই প্রজন্ম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে। ভারত ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পর্যায়ে কোডিং, রোবোটিকস ও ডিজিটাল লার্নিং চালু করেছে। চীনে শিশুদের ছোটবেলা থেকেই বিজ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও উদ্ভাবনী চিন্তার দিকে উৎসাহিত করা হয়। বাংলাদেশেও এখনই সময় এসেছে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠ্যক্রমকে সময়োপযোগী করার।
সরকারের জন্য এখানে কয়েকটি সুপারিশ করা যেতে পারে। প্রথমত, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন দ্বিগুণ করতে হবে, যাতে মেধাবীরা শিক্ষকতায় আসতে আগ্রহী হয়। দ্বিতীয়ত, শিক্ষক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং তা আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। তৃতীয়ত, পাঠ্যক্রমকে সময়োপযোগী করে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সৃজনশীলতা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। চতুর্থত, প্রাথমিক স্তরের শিক্ষা তদারকি ও মূল্যায়নকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, যাতে কোনো অনিয়ম বা দুর্বলতা না থাকে।
সবশেষে বলা যায়, প্রাথমিক শিক্ষা হলো একটি দেশের জাতীয় উন্নয়নের ভিত্তি। আজ যদি আমরা এই ভিত্তিকে মজবুত না করি, তাহলে আগামী প্রজন্ম দুর্বল ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে এগোতে গিয়ে বারবার হোঁচট খাবে। শিক্ষককে মর্যাদা দেওয়া, তাঁদের যোগ্যতা বৃদ্ধি করা, সঠিক প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করা এবং আধুনিক পাঠ্যক্রম চালু করা—এসব মিলেই একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, তাই এই সময়েই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে বিনিয়োগ করা। কারণ, আজকের প্রাথমিক শিক্ষার্থীই আগামী দিনের ডাক্তার, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, প্রশাসক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব। যদি তাদের ভিত্তি শক্ত না হয়, তাহলে দেশের ভবিষ্যৎও শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে না। তাই উন্নত দেশগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এখনই সময় এসেছে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয় অগ্রাধিকারের প্রথম সারিতে নিয়ে আসার।
ড.
জিয়া আহমেদ শিক্ষক, ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব শ বব দ য শ ক ষকত পর য য ত ম লক আম দ র র জন য দ র বল
এছাড়াও পড়ুন:
২২০ বছরের পুরোনো এক আমগাছ তলায় এবার তাঁবুবাস করেছি
ক্লান্ত শরীর অথচ চোখে ঘুম নেই। অন্ধকারে তাঁবুর ভেতর শুয়ে আছি, হঠাৎই কানে এল তাঁবুর কাছে প্রাণীর হাঁটাচলা। তাদের ডাকে অরণ্যের গভীর নিস্তব্ধতা যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠল। বুঝতে বাকি থাকল না, দলটা শিয়াল পণ্ডিতদের। মুহূর্তেই পাহারায় থাকা কুকুর মহাশয় দৌড়ে এল গর্জন করতে করতে। শিয়ালরা এক ঝটকায় সটকে পড়ল।
ক্যাম্পসাইটে আসার পরই দেখেছি লেজ নেড়ে নেড়ে ঘুরে বেড়াতে, সেই কুকুর মহাশয়ই এখন অতন্দ্রপ্রহরী। চারদিকে চক্কর দিচ্ছে। জুয়েল হেসে বলল, ‘ওকে কিছু খাবার দিলেই সারা রাতের জন্য সবচেয়ে বিশ্বস্ত পাহারাদার হয়ে যাবে।’
সত্যিই তা–ই হলো। সামান্য খাবারের বিনিময়ে কুকুরটা যেন দায়িত্ব নিল পুরো ক্যাম্পসাইটের। রাতের নিস্তব্ধতা আর শিয়ালের ডাকের ভেতর কুকুরের উপস্থিতি এনে দিল এক অদ্ভুত নিরাপত্তার আশ্বাস।
এই মৌসুমের প্রথম ক্যাম্প। তাঁবু পেতেছি এক প্রাচীন অভিভাবকের ছায়ায়, আনুমানিক ২২০ বছরের পুরোনো এক সূর্যপুরী আমগাছ। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা হরিণমারীর এই গাছের নাম শুনেছি বহুবার, কিন্তু দেখা হয়নি কখনো। আজ অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান হলো।
দলেবলে