ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান
Published: 4th, October 2025 GMT
ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে শাহ ফাতেউল্লাহ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র পরিচালক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি'র পরিচালক আহমদুর রহমান তনু।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মোরশেদ সারোয়ার সোহেল বলেন, সাংবাদিকতার পেশাগত মানোন্নয়ন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সামাজিক দায়িত্ব পালনে রিপোর্টার্স ক্লাবের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব দীর্ঘদিন ধরে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সমস্যাগুলো তুলে ধরে ইতিবাচক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী বলেন, আমি আশা করি ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাব সামাজিক দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করবে এবং সমাজ থেকে অসঙ্গতিগুলো দূর করতে সচেষ্ট হবে।
মো. এ এইচ আশু ও আনোয়ার হোসেন সজিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সেলিম, ইউনাইটেড ক্লাব লিমিটেডের সভাপতি আলহাজ্ব তোফাজ্জল হোসেন তাপু, এ বি এফ নীটওয়্যার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আক্তারুল কবির সজল, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল ইসলাম নুরু, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবদুর রহিম, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোহাম্মদ মাসুম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক আবু ইসহাক, মাসদাইর প্রগতি সংঘের সাধারণ সম্পাদক হাজী জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, আলীগঞ্জ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাজী নুরুল ইসলাম মেম্বার, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান উম্মে তাহেরা আখিঁ, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার কাজী মঈনুদ্দিন, ফতুল্লা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলীম লিটন।
অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি সেলিম মুন্সি, ফতুল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ওবায়দুল্লাহ, দাপা আদর্শ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অপূর্ব কুমার সাহা, দৈনিক যুগান্তরের ফতুল্লা প্রতিনিধি আল-আমীন প্রধান, ফতুল্লা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারন সম্পাদক মো. সোহেল আহম্মদ, চেঞ্জ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য তালুকদার আবদুল্লাহ আল-ফারুক রিংকু, দৃঢ় বন্ধনের পঙ্কজ দাস, মাউন্ট ভিউ স্কুলের পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, সমাজকর্মী খালেদ মোশারফ, সাংবাদিক কামাল হোসেন, জাহাঙ্গির হোসেন, ফাহমিদা এ্যমি, জুয়েল, মোখলেসুর রহমান তোতা, আব্দুল গাফফার লিটন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ৫ জন সাংবাদিককে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের ২৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের সম্মাননা হিসেবে তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।
এসময় ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এস এ শামীম ও প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক মৃত মো. শাহীন চৌধুরীর পরিবারের সদস্যের হাতে সম্মাননা স্বারক তুলে দেওয়া হয়।
ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি মো. মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুল হক পলাশ, সহ-সভাপতি মো. আশরাফুল হক আশু, যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন সজীব, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আবু সাঈদ, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সরকার, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন মৃধা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. জুয়েল চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য রণজিৎ মোদক, সদস্য আজমীর ইসলাম, আমির হোসেন মোল্লা, সেলিম হোসেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ৩১ অক্টোবর ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি নিয়ে ফতুল্লা থানাধীন ফতুল্লা রিপোর্টার্স ক্লাবের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।''
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উপস থ ত ছ ল ন র ল ইসল ম ম হ ম মদ অন ষ ঠ ন সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
নবান্নের যে মেলায় এক দিনে কোটি টাকার মাছ বিক্রি হয়
রঙিন কাপড়ের বিশাল প্যান্ডেল বেলুন দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্যান্ডেলের নিচে থরে থরে সাজানো বড় বড় রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, বোয়ালসহ নানা প্রজাতির মাছ। কেউ মাছের দরদাম করছেন, কেউবা কিনছেন। নবান্ন উৎসব উপলক্ষে জয়পুরহাটের কালাই পৌর শহরের পাঁচশিরা বাজারে এই মাছের মেলা বসেছে।
প্রতিবছরের মতো আজ মঙ্গলবার এক দিনের জন্য এ মাছের মেলা বসে। এবার মেলায় প্রচুর মাছের আমদানি হয়। দাম একটু চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা জানান, এক দিনের মেলায় প্রায় কোটি টাকার মাছ বেচাবিক্রি হয়। মেলা ঘিরে সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন ভিড় করেন মেলা প্রাঙ্গণে। মেলার দিনে এলাকার লোকজন জামাইদের আমন্ত্রণ করা হয়। এ জন্য মেলাটি ‘জামাই মেলা’ নামেও পরিচিত।
মেলার আয়োজক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০০০ সাল থেকে প্রতিবছর পঞ্জিকা অনুযায়ী অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিনে নবান্ন উৎসব উপলক্ষে এ মেলা বসে। পাঁচশিরা বাজারের মাছ ব্যবসায়ীরাই মূলত এ মেলার আয়োজন করেন। মেলাকে কেন্দ্র করে কালাই পৌর শহরে মূলগ্রাম, দুরঞ্জ, আঁওড়া, সড়াইলসহ উপজেলার পুনট, মাদাই, পাঁচগ্রাম, মাদারপুর, বেগুনগ্রাম, হতিয়ার, ঝামুটপুর, হাতিয়র, মাত্রাইসহ আশপাশের ২৫ থেকে ৩০টি গ্রামে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। মেলা উপলক্ষে এসব গ্রামের জামাই ও স্বজনদের আগে থেকেই নিমন্ত্রণ জানানো হয়। জামাইদের মধ্যে বড় মাছ কেনার প্রতিযোগিতা চলে। এ ছাড়া দূরদূরান্ত থেকে লোকজন মেলায় মাছ কিনতে আসেন।
ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এবার মাছের আমদানি বেশি। দামও একটু বেশি। আকারভেদে সিলভার কার্প প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা, বিগহেড কার্প ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং কাতলা প্রতি কেজি ৪৫০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মেলায় সর্বোচ্চ ৩০ কেজি ওজনের সিলভার কার্প মাছ উঠেছে।
মেলায় মাছ কিনতে এসেছেন কালাই পৌর শহরের মূলগ্রামের সুরেষ চন্দ্র। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর মেলায় আসি। পছন্দসই মাছ কিনে নিয়ে যাই। এবার মেলায় মাছের দাম একটু বেশি মনে হচ্ছে। আমি ১৯ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ ২৪ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে কিনেছি।’
উপজেলার আহমেদাবাদের হাতিয়র গ্রাম থেকে মেলায় বেড়াতে এসেছেন নার্গিস বেগম। তিনি বলেন, ‘পাঁচশিরা বাজারের মাছের মেলার নাম অনেক আগে থেকেই জানি। কিন্তু কখনো আসা হয়নি। এবার স্বামীকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। বড় বড় মাছ দেখছি। অনেক ভালো লাগছে। মেলা থেকে পছন্দের একটি বড় মাছ ৭ হাজার ৩০০ টাকায় কিনেছি।’
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার শফিকুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি কালাইয়ের মাত্রাই গ্রামে। তিনি বলেন, ‘আমি শ্বশুরবাড়িতে এসেছি। এবার মেলায় বড় বড় মাছ উঠেছে। আমি মেলা থেকে ৬ কেজি ওজনের একটি কাতলা মাছ কিনেছি।’
মেলা ঘিরে সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন ভিড় করেন মেলা প্রাঙ্গণে। মঙ্গলবার সকালে পাচশিরা বাজারে