সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও আধিপত্যবাদবিরোধী রাজনৈতিক বোঝাপড়া নিয়ে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শনিবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর কামরাঙ্গীচরে খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মতবিনিময় বৈঠক হয়। খেলাফত আন্দোলনের পক্ষ থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান হয়। 

আরো পড়ুন:

মেহেরপুরের উন্নয়ন ভাবনা নিয়ে এনসিপির ১৩ দফা

শাপলাই কেন লাগবে, যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি

মতবিনিময় বৈঠকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়া, জাতীয় সংসদে উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি, জুলাই গণহত্যা ও শাপলা চত্বরে হত্যাকাণ্ডের দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের কার্যক্রম স্থগিত বিষয়ে ঐকমত্য হয়। এছাড়া বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার রক্ষায় যেকোনো আধিপত্যের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে ইতিবাচক আলোচনা হয়।

এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও রাজনৈতিক লিয়াঁজো প্রধান আরিফুল ইসলাম আদীবের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে যুগ্ম আহ্বায়ক ড.

আতিক মুজাহিদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ উদ্দীন মাহদি ও সংগঠক সানাউল্লাহ খান মতবিনিময় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, নায়েবে আমির মাওলানা সাঈদুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা সানাউল্লাহ হাফেজ্জী, সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, শিক্ষা দীক্ষা সম্পাদক মুফতি ইলিয়াস মাদারীপুরী প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এনস প এনস প

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান নাম নিয়ে যারা ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বদদ্বীনি, কুফরি ও ভ্রান্ততার বিরুদ্ধে উলামায়ে কেরামকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে যারা মুসলমান নাম নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে হেফাজত আমির এ কথা বলেন। জাতীয় উলামা কাউন্সিল বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে ‘জাতীয় উলামা সম্মেলন-২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

জাতীয় উলামা কাউন্সিলের সভাপতি ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়ার মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে অনেক আলেম-উলামা অংশ নেবেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচনে উলামায়ে কেরামের পরস্পরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা কাম্য নয়।’

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, ‘ইসলামি রাজনীতিতে সব সময় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি দাঁড়ানো যায় না। সঠিক সময়ের অপেক্ষা করে লক্ষ্য অর্জনের জন্য ভূমিকা রাখতে হয়। আজ ইসলামি রাজনীতির সোনালি সময় চলছে। আমরা যদি সুযোগ কাজে না লাগাই, তাহলে সামনে বড় ধরনের ভোগান্তি তৈরি হবে।’

মুন্সিগঞ্জের জামি’আ ইসলামিয়া হালীমিয়া মাদ্রাসার প্রধান ও মধুপুরের পীর মাওলানা আবদুল হামিদ বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনে বাতিলের বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়তে লড়তে মরব, কিন্তু বিভক্ত হব না ইনশা আল্লাহ।’ তিনি বলেন, ১৬ নভেম্বরের কাদিয়ানিবিরোধী আন্দোলন শেষ হয়নি, শুরু হয়েছে মাত্র। সরকারকে সুযোগ দেওয়া হয়েছে, পরেরবার আর সুযোগ দেওয়া হবে না।

হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকব। যারা কাজ করতে চায়, তাদের বাধা দেব না। আমরা নিজেরা নিজেদের শত্রু হব না, ইনশা আল্লাহ।’

সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমাদ, জাতীয় উলামা কাউন্সিলের মহাসচিব মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা নূরুল ইসলাম ওলিপুরী, মাওলানা সালাহুদ্দীন নানুপুরী, মাওলানা মুশতাক আহমদ প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ