কালজানি নদী দিয়ে ভেসে এসেছে হাজারো গাছের গুঁড়ি
Published: 5th, October 2025 GMT
ভারতের অভ্যন্তর থেকে কালজানি নদী হয়ে ভেসে আসছে হাজারো গাছের গুঁড়ি। এলাকাবাসীর ধারণা, উজানে ভারী বৃষ্টি হওয়ায় পানির স্রোতে এসব গাছের গুঁড়ি ভেসে আসছে। কাটা গাছের গুঁড়ির সঙ্গে বন থেকে শেকড়সহ উপড়ে আসা গাছও পাওয়া যাচ্ছে।
ভুটান উৎপত্তি হওয়া কালজানি নদী ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) বিকেল থেকে ভেসে আসা গুঁড়ি নানা উপায়ে নদী থেকে তুলে আনতে দেখা গেছে স্থানীয় মানুষদের।
আরো পড়ুন:
রাজশাহী সার্কিট হাউসের গাছ না কাটার দাবিতে স্মারকলিপি
বৃষ্টি থাকবে টানা পাঁচ দিন
বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলখুড়ি ইউনিয়নের ঢলডাঙা, শালঝোড় এলাকায় কালজানি নদীর পাড় থেকে গাছ তুলতে দেখা যায় স্থানীয়দের। তারা জানান, ভেসে আসা বেশির ভাগ গাছ কেটে রাখা। কিছু গাছ শেকড়সহ আসছে। কালজানীর উজানে ভারতের হাসিমারা বনাঞ্চল রয়েছে। সেখানে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করেছে এবং তীব্র স্রোত দেখা দিয়েছে জানান তারা।
কালজানি নদী তীরের বাসিন্দা মনিরুজ্জামান জানান, পানির ওপরে খালি গাছ আর গাছ। মাঝে মধ্যে মরা গরুও আসছে। মনে হচ্ছে, অলৌকিক ঘটনা।
নদীর ঘাটিয়াল আবু সাইদ বলেন, “বিকেল ৩ টার দিক থেকে গাছগুলো আসছে। যে যেভাবে পারছেন এই গাছগুলো তুলে আনছেন নদী থেকে। নদীর পানি বাড়েনি। আশা করছি, বন্যা হবে না।”
শিলখুড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ আলী বলেন, “শুধু গাছে গাছ দেখা যাচ্ছে। লোকজন নৌকা দিয়ে গাছ নিয়ে আসছে। গাছগুলো ভারত থেকে আসতেছে এটা সিওর (নিশ্চিত)।”
এদিকে নদ-নদীর উজানে ভারতের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টি পাতের ফলে কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত দুধকুমার, ধরলা ও তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লেভানদোভস্কির হ্যাটট্রিক, দারুণ জয়ে রিয়ালের সাথে ব্যবধান কমাল বার
রিয়াল মাদ্রিদের ড্রয়ের সুযোগটা বেশ ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে বার্সেলোনা। রবার্ট লেভানদোভস্কির দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে কাতালানরা রবিবার রাতে (০৯ নভেম্বর) ৪-২ ব্যবধানে হারিয়েছে সেল্টা ভিগোকে। আর এই জয়ে লা লিগার পয়েন্ট টেবিলে তারা মাদ্রিদের ঠিক পরেই অবস্থান নিয়েছে। পয়েন্ট ব্যবধান কমে হয়েছে মাত্র তিন।
এক মাসের ইনজুরির বিরতি শেষে গত সপ্তাহেই বদলি হিসেবে মাঠে ফিরেছিলেন লেভানদোভস্কি। আর এই ম্যাচেই যেন জানিয়ে দিলেন- তিনি ফিরে এসেছেন নিজের পুরোনো ছন্দে। সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম গোল পেলেন, তাও একসঙ্গে তিনটি!
তার প্রথম গোল আসে ম্যাচের ১০ মিনিটেই। ফেরমিন লোপেজের শটে হাত ছোঁয়ান মার্কোস আলোনসো, পেনাল্টি পায় বার্সা। রাদু ঠিক দিকেই ঝাঁপিয়েছিলেন। কিন্তু লেভানদোভস্কির জোরালো শট ঠেকানো অসম্ভব ছিল।
পেনাল্টির এক মিনিটেরও কম সময় পরই র্যাশফোর্ডের পা থেকে আরেকটি সুযোগ আসে। কিন্তু তার শট ফিরিয়ে দেন রাদু। আর মাত্র ১৯ সেকেন্ড পরই সেই সুযোগ কাজে লাগায় সেল্টা। বার্সার উচ্চ রক্ষণভাগ পেরিয়ে বোরহা ইগলেসিয়াসের থ্রু পাসে এগিয়ে গিয়ে গোল করেন সের্হিও কারেইরা। কিন্তু ৩৭ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় বার্সা। ডান দিক থেকে র্যাশফোর্ডের নিখুঁত ক্রসে গোলমুখে দাঁড়িয়ে থাকা লেভানদোভস্কি শুধু ছোঁয়াটুকু দেন, বল জড়িয়ে যায় জালে।
তবে প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আবারও সমতায় ফেরে সেল্টা। এবার বক্সের বাইরে থেকে ইগলেসিয়াসের নেওয়া শটে কোনোভাবেই হাত লাগাতে পারেননি বার্সার গোলরক্ষক শেজনি। কিন্তু হাফটাইমের আগেই আবার এগিয়ে যায় বার্সা। র্যাশফোর্ডের ক্রস ডিফ্লেক্ট হয়ে যায় ইয়ামালের সামনে। আর ১৭ বছর বয়সী এই বিস্ময়বালক ঠান্ডা মাথায় বল পাঠিয়ে দেন জালের ভেতর।
বিরতির পর র্যাশফোর্ড ও দানি ওলমো- দু’জনেই চেষ্টা চালিয়ে যান। অবশেষে ৭৩ মিনিটে আসে সেই মুহূর্ত। র্যাশফোর্ডের ইনসুইং কর্নারে নিখুঁত হেডে বল জালে পাঠান লেভানদোভস্কি। পূর্ণ করেন নিজের হ্যাটট্রিক।
এই মৌসুমে এটাই তার নবম গোল, আর বার্সার জার্সিতে এক বছরেরও বেশি সময় পর প্রথম হ্যাটট্রিক। ইংলিশ তারকা র্যাশফোর্ডের এটি ছিল মৌসুমের ষষ্ঠ অ্যাসিস্ট। লা লিগায় ইয়ামাল বা ভিনিসিউস জুনিয়রের চেয়েও ভালো রেকর্ড।
ম্যাচের একদম শেষ দিকে ফ্রেংকি ডি ইয়ং দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন, যা বার্সার এই দুর্দান্ত জয়ের একমাত্র দুঃখের দিক। তবুও দিনের শেষ হাসিটা বার্সেলোনারই। মাদ্রিদের হোঁচট, লেভার জাদু আর র্যাশফোর্ডের ছোঁয়ায় কাতালানরা যেন ঘোষণা দিল- লা লিগার লড়াই জমিয়ে তুলেছে তারা।
ঢাকা/আমিনুল