চুয়াডাঙ্গা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শিপলু মারা গেছে
Published: 5th, October 2025 GMT
চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু (৪৭) মারা গেছে। শিপলু চুয়াডাঙ্গা শহরের কোর্টপাড়ার মরহুম আব্দুল হকের ছেলে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকার ধানমণ্ডির একটি বাসভবনে ঘুমন্ত অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তিনি তিন ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়।
আরো পড়ুন:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাপের কামড়ে ৩ জনের মৃত্যু
বগুড়ায় ইছামতীর তীরে বজ্রপাতে নারীর মৃত্যু
শিপলুর মৃত্যুতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শোক জানিয়েছেন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় টাউন ফুটবল মাঠে শিপলুর জানাজা শেষ রেলবাজার সংলগ্ন জান্নাতুল মাওলা কবরস্থানে দাফন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মতিউর রহমান কিশোর জানান, মির্জা শিপলু বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যান। চিকিৎসা শেষে কিছু মেডিকেল টেস্ট করার কথা ছিল। রাতে ছোট ভাইয়ের বাসভবনে একাই অবস্থান করছিলেন তিনি। রাত দেড়টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়। সকালে পরিবারের সদস্যরা অনেকবার ফোন কল করলেও তিনি রিসিভ করেছিলেন না। পরে তার ছোট ভাই রাতুল ও পরিবারের সদস্যরা ধানমণ্ডির বাসভবনের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার শোক বার্তায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে গভীরভাবে আস্থাশীল মরহুম মির্জা শিপলু চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপিকে শক্তিশালী, গতিশীল ও সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করতে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সক্রিয় অংশ নেন।’’
মির্জা ফখরুল তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
ঢাকা/মামুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি: মির্জা ফখরুল
ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে শঙ্কা নেই জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান যেভাবে নির্দেশ দিয়েছেন, সেভাবেই আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। গণতন্ত্র উত্তরণের এই প্রক্রিয়ায় গোটা পৃথিবীর সমর্থন রয়েছে, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক বিশ্বের পূর্ণ সমর্থন আমাদের সঙ্গে আছে।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন শেষে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১টায় তিনি দেশে ফেরেন।
যুক্তরাষ্ট্র সফর সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “দেশের ইতিহাসে এটি বিরল ঘটনা যে, সরকার প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় ঐক্য প্রদর্শনের জন্যই সবাইকে নিয়ে এ সফর। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।”
তিনি বলেন, “বিদেশ সফরে গিয়ে বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। যারা গিয়েছিলেন তাদের সঙ্গেই আলাপ হয়েছে, এটা তো স্বাভাবিক। আমাদের প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।”
তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা কয়েকটি দলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। এতে জাতীয় ঐক্যের একটি দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের অধিবেশনের বাইরেও বিভিন্ন সভা হয়েছে, বিশেষ করে প্রবাসীদের উপস্থিতিতে, যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক।”
গণতন্ত্রের স্বার্থে এসব আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। সফর চলাকালে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলেও তা বড় করে দেখার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এর আগে, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশনে যোগ দিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এ সময় তার সফরসঙ্গী হিসেবে সেখানে যান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও এনসিপির সদস্য সচিবসহ ৩টি রাজনৈতিক দলের ৬ নেতা।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা