রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে কেবিন ক্রু নিয়োগে অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্যরা দেখতে পেয়েছেন, মৌখিক পরীক্ষার ঠিক আগমুহূর্তে হঠাৎ একটি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার সব কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বিমান মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিকে।

শুধু তা-ই নয়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রথমে ৫০ জনের কথা বলা হলেও পরে সেটি সংশোধন করে ১০০ জন করা হয়। চূড়ান্তভাবে আরও একজন বাড়িয়ে মোট ১০১ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শারীরিক মাপদণ্ড পূরণ না হওয়া প্রার্থী যেমন নিয়োগ পেয়েছেন, তেমনি অবিবাহিত হওয়ার শর্ত থাকলেও বিবাহিত প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজ.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কমেছে তিস্তার পানি, দুর্ভোগে মানুষ

ভারী বৃষ্টি ও উজানের ঢলে বিপৎসীমা অতিক্রম করার পর তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) পানি কমে আসায় নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন লালমনিরহাটে এই নদীর তীরে বসবাসকারী মানুষজন। তবে, কমেনি তাদের কষ্ট, এখনো নিম্নাঞ্চলে পানি রয়েছে। নদী পাড়ে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতংক। 

আরো পড়ুন:

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫ দিন ধরে বন্ধ টিকাসেবা

৬ ঘণ্টা পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আজ দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১০ মিটার। যা বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচে। গতকাল রাতে পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র জানায়, গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টি আর উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পরে রাত ৯টায় পানি বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

তিস্তাপাড়ে রেডএলার্ট জারি করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। অতিরক্ত পানির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে ফ্লান্ড বাইপাস কেটে দিয়ে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে তারা। ফলে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। নির্ঘুম রাত কাটে তিস্তাপাড়ের লাখো মানুষের। লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার কিছু অংশ প্লাবিত হয়। পানির চাপে ঝুঁকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। বিশেষ করে আদিতমারী উপজেলার সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ এর ব্রিজ অংশের নিচে সুরঙ্গ হয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বাঁধটি ধ্বসে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি কিছু রাস্তা পানিতে তলিয়ে গেছে।

সিন্দুর্না এলাকার রইচ উদ্দিন বলেন, “বাড়ির উঠানে কোমড় পানি। রাতে ঘুমাতে পারিনি। শিশুদের কোলে নিয়ে রাত কাটাতে হয়েছে। কখন কোনো সন্তান বিছানা থেকে পড়ে পানিতে ডুবে যায়, সেই আতংকে রাত কেটেছে।” 

গোবর্দ্ধন গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, “সবখানে পানি আর পানি। আমন ধানের পাশাপাশি নানা ধরনের ফসলের ক্ষেত ডুবে গেছে। পুকুরে থাকা মাছ পানিতে ভেসে গেছে।” 

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনিল কুমার বলেন, “তিস্তার পানি বেড়ে গতকাল রাতে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকালে তা বিপৎসীমার নিচে নেমে এসেছে। বৃষ্টির পানি থাকায় পানি নেমে যেতে একটু সময় লাগছে। উজানের চাপ কমে যাওয়ায় বিকেলে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে। আমরা সবকিছু নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।”

ঢাকা/সিপন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ