কেন এতটা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠল খাগড়াছড়ির পাহাড়ি জনপদ
Published: 6th, October 2025 GMT
বাংলাদেশে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী কখনোই তেমন একটা স্বস্তিতে ছিল না। তাদের জমি, সম্পদ, ধর্ম, সংস্কৃতি নানা মাত্রায় সংখ্যাগরিষ্ঠের আক্রমণের শিকার হয়েছে। বিগত সরকারের আমলেও এ আক্রমণের ধারাবাহিকতা দেখেছি। গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতিতে ডানপন্থার উত্থানের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে।
ডানপন্থী রাজনীতি প্রায়ই সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্ম ও জাতিসত্তার বাইরে ভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি, জাতীয়তাকে হুমকি হিসেবে দেখে। এ কারণেই আমরা দেখেছি, ডানপন্থার উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দেশজুড়ে ভিন্নমতাবলম্বী, প্রান্তিক, সংখ্যালঘু ও নারীদের ওপর হামলা-হয়রানি বেড়েছে, বেড়েছে মব–সহিংসতা। একের পর এক মাজারে হামলা, বিভিন্ন মেলা, ওরস, বাউল উৎসব বন্ধ, নাটক ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীতে বাধা, ধর্ম অবমাননার দায়ে হামলা-হুমকি, ফকির-সাধুদের ধরে নিয়ে চুল কেটে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এসব থামাতে অন্তর্বর্তী সরকারকে কার্যকর ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষেরা বিচ্ছিন্ন হতে চায় না, তারা গণতান্ত্রিক অধিকার চায়। সমতলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের মতো তাদেরও অধিকার রয়েছে বেসামরিক প্রশাসনের আওতায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার। গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে যেসব দেয়াললিখন মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, তার মধ্যে একটি ছিল, ‘সমতল থেকে পাহাড়/ এবারের মুক্তি সবার।’ মনে রাখতে হবে, পাহাড় মুক্তি না পেলে, সমতলও মুক্তি পাবে না।ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে যারা জাতিগতভাবেও সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক, তাদের পরিস্থিতি আরও খারাপ। উপরি হিসেবে তাদের ‘বিচ্ছিন্নতাবাদের’ অভিযোগ মোকাবিলা করতে হচ্ছে। সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় বিক্ষোভ ও সহিংসতাকে কেন্দ্র করে গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ রকমই একটা প্রেক্ষাপটে।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির সিঙ্গিনালায় অষ্টম শ্রেণির এক মারমা কিশোরী প্রাইভেট পড়া শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে তিনজন বাঙালি যুবক কর্তৃক দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শয়ন শীল (২১) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে অভিযুক্ত অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারে টালবাহানার প্রতিবাদে, সব অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ও পাহাড়ে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতার’ ব্যানারে পাহাড়ি চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ বিভিন্ন জাতিসত্তার ছাত্র-তরুণেরা আন্দোলনের ডাক দেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে স্কুল-কলেজের ক্লাস বর্জন, মহাসমাবেশ, সড়ক অবরোধ ইত্যাদি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ হলো, এসব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করা হলেও একপর্যায়ে সেটলার বাঙালিদের একটা পক্ষ ও সেনাবাহিনী কর্তৃক বাধা দেওয়ার কারণেই সহিংস পরিস্থিতি তৈরি হয়।
আরও পড়ুনশান্তিশৃঙ্খলা ফেরানো সরকারের মূল দায়িত্ব৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫সহিংসতা উসকে দিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নানা গুজব ছড়ানো হয়। এর মধ্যে ছিল দিনাজপুরের জীবনমহলের অগ্নিসংযোগকে খাগড়াছড়ির মসজিদে অগ্নিসংযোগের ঘটনা হিসেবে প্রচার, কাঠমান্ডুর ভিডিওকে সেনা-বিজিবির ওপর পাহাড়িদের হামলার ভিডিও হিসেবে দেখানো, ২০২৩ সালে সীমান্তে গরু নিয়ে সংঘাতের ভিডিওকে সেনা-বিজিবির ওপর হামলা বলে চালানো, ভারতের ত্রিপুরার উসকানিমূলক বক্তব্যকে বাংলাদেশের পাহাড়িদের বলে উপস্থাপন, সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের হামলায় সেনাসদস্যের আহত হওয়ার ভিডিওকে পাহাড়িদের আক্রমণ বলে প্রচার ইত্যাদি। (ফ্যাক্টচেক: রিউমর স্ক্যানার ও ডিসমিসল্যাব)
এভাবে কয়েক দিন ধরে পাহাড়ি ‘সন্ত্রাসী’ কর্তৃক রাষ্ট্রীয় বাহিনীর ওপর হামলার কথা প্রচার করা হলো। এরপর দেখা গেল গুলিতে যাঁরা নিহত হয়েছেন, তাঁরা সবাই পাহাড়ি। সবাই খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বাসিন্দা। একেবারে অল্প বয়সী তিন তরুণ—আথুই মারমা (২১), আথ্রাউ মারমা (২২) ও তৈইচিং মারমা (২০)। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই এ ঘটনা ঘটল। প্রকাশ্যে দিনের বেলায় পুড়িয়ে দেওয়া হলো গুইমারার রামেসু বাজারের দোকানপাট ও তৎসংলগ্ন পাড়ার বসতবাড়ি। এসব বসতঘর ও দোকানমালিকদের অধিকাংশই পাহাড়ি। এ ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচার কি আদৌ কোনো দিন হবে বাংলাদেশে?
এ রকম প্রশ্ন উঠছে, কারণ অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
এ ছাড়া অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পার্বত্য চট্টগ্রামের পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ওপর সহিংস হামলা যে এবারই প্রথম হয়েছে, তা নয়। গত বছর ২০২৪–এর ১৮ সেপ্টেম্বর মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগে পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে এক বাঙালি যুবক গণপিটুনিতে নিহত হন। অরাজক পরিস্থিতিতে মব–সহিংসতার এ ঘটনাকে পরবর্তী সময়ে পাহাড়ি-বাঙালি সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় রূপ দেওয়া হয়। পরদিন ১৯ সেপ্টেম্বর গণপিটুনিতে মারা যান এক পাহাড়ি ব্যক্তি। রাতে জেলা সদরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে দুই পাহাড়ি যুবক নিহত হন। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর রাঙামাটি শহরে অনিক কুমার চাকমা নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
কাপেং ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুসারে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ভিন্ন জাতিসত্তার নারীদের ওপর ২৪টি নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ২১টি ঘটেছে পার্বত্য চট্টগ্রামে, ৩টি সমতলে। ছয়জন নারী ধর্ষণ ও দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। দুজন নিহত হয়েছেন। পাহাড় ও সমতল মিলিয়ে গ্রেপ্তারের পর মৃত্যু, বিনা বিচারে আটক, মারধর, হেনস্তা ও জোর করে ধর্মান্তরিত করার মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ৩৪টি ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার কয়টার বিচার হয়েছে, কয়জন অপরাধীর শাস্তি হয়েছে?
পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে এ প্রেক্ষাপটেই বিচার করতে হবে। নইলে অনুধাবন করা যাবে না, মারমা কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় কেন এতটা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে গোটা পাহাড়ি জনপদ। পার্বত্য চট্টগ্রামে ধর্ষণ কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এর সঙ্গে জাতিগত নিপীড়নের সম্পর্ক রয়েছে। এখানে ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে ভুক্তভোগী ও আন্দোলনকারীরা হামলার মুখে পড়েন, মামলার দীর্ঘসূত্রতায় ভোগেন ও রাষ্ট্রীয় অসহযোগিতার শিকার হন।
এ রকম তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণেই ধর্ষণের মতো স্পর্শকাতর ঘটনার বিচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের সদিচ্ছা নিয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মধ্যে আস্থাহীনতা রয়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাতেও আমরা দেখছি অপহরণের পর খেত থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া মারমা কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে যে মেডিকেল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, সেটি অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে তারা ২০১৮ সালে বিলাইছড়িতে দুই মারমা কিশোরীর ধর্ষণের মেডিকেল রিপোর্ট পরিবর্তনে রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ থেকে শুরু সমতলে কিশোরী তনু কিংবা আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট নিয়ে কারসাজির উদাহরণ সামনে আনছেন।
বাংলাদেশের বাস্তবতায় এ ধরনের আশঙ্কা অমূলক নয়। এ সমস্যার মোকাবিলার জন্য ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব দেওয়ার বদলে আস্থা সৃষ্টি করা জরুরি। এ জন্য ধর্ষণ বিষয়ে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মতামতের ভিত্তিতে বিশ্বাসযোগ্য পুনঃতদন্ত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে খাগড়াছড়ি ও গুইমারায় ঘটে যাওয়া লুটপাট, অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনারও নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি দিতে হবে। আহত, নিহত ও লুটপাট-অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন করতে হবে।
পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর মানুষেরা বিচ্ছিন্ন হতে চায় না, তারা গণতান্ত্রিক অধিকার চায়। সমতলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিদের মতো তাদেরও অধিকার রয়েছে বেসামরিক প্রশাসনের আওতায় নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করার। গণ-অভ্যুত্থানের সময়ে যেসব দেয়াললিখন মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, তার মধ্যে একটি ছিল, ‘সমতল থেকে পাহাড়/ এবারের মুক্তি সবার।’ মনে রাখতে হবে, পাহাড় মুক্তি না পেলে, সমতলও মুক্তি পাবে না।
কল্লোল মোস্তফা বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবেশ ও উন্নয়ন অর্থনীতিবিষয়ক লেখক
[email protected]
মতামত লেখকের নিজস্ব
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জনগ ষ ঠ র ম স প ট ম বর পর স থ ত সরক র র এ ঘটন তদন ত র ওপর র ঘটন ঘটন র
এছাড়াও পড়ুন:
ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন দাবিতে গণসমাবেশ
যশোরে ভবদহের জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নসহ ছয় দফা দাবিতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৫ অক্টোবর) ভবদহ দিবসে ‘ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির’ আয়োজনে যশোরের মশিয়াহাটি উচ্চবিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ করা হয়।
সংগঠনের আহ্বায়ক রণজিৎ বাওয়ালীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ইকবাল কবির জাহিদ, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী আব্দুল হামিদ, সদস্য সচিব চৈতন্য কুমার পাল, ফিলিস্তিন সংহতি কমিটি বাংলাদেশের আহ্বায়ক ডা. অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, সংগঠনের উপদেষ্টা তসলিম উর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শেখর বিশ্বাস ও শিবপদ বিশ্বাস।
আরো পড়ুন:
টানা বৃষ্টিতে সেন্টমার্টিনে জলাবদ্ধতা, ঘরবন্দি কয়েকশ পরিবার
টানা বৃষ্টিতে সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা, ভোগান্তিতে রাজধানীবাসী
এ সময় বক্তারা বলেন, যশোর জেলার মণিরামপুর, অভয়নগর, কেশবপুর, সদর (আংশিক) এবং খুলনা জেলার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা (আংশিক) উপজেলার ভবদহ অঞ্চলে প্রতিবছর জলাবদ্ধতার কারণে বাড়িঘর, স্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, শ্মশান, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠ, রাস্তাঘাট, ফসলী জমি ডুবে যায়। মানুষ সৃষ্ট এই জলবদ্ধতা থেকে বাঁচার তাগিদে এলাকার মানুষ লাগাতার সংগ্রাম করে আসছে।
তারা বলেন, সরকার ভবদহ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এ বিষয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি।
গণসমাবেশে ‘ভবদহ পানি নিষ্কাশন সংগ্রাম কমিটির’ পক্ষ থেকে ছয়টি দাবি তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো, দ্রুত আমডাঙ্গা খালের জমি অধিগ্রহণ ও সংস্কার কাজ শুরু করা; ৮১ কিলোমিটার নদী খননের কাজ শুরু করা; বিলে বিলে টিআরএম চালু; ২১ ভেন্টের সকল গেট খুলে দেওয়া; ঘের নীতিমালা—২০১৯ বাস্তবায়ন এবং ২০১৬ সালের ৫ অক্টোবর নওয়াপাড়ায় পুলিশের হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা।
গণসমাবেশে আরো বলা হয়, গৃহীত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য জনপদের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তবে অতীতের মতো একটি বিশেষ চক্র টিআরএম বাস্তবায়নে সরকারি সিদ্ধান্ত বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, পর্যায়ক্রমে বিলে বিলে টিআরএম এবং উজানে নদী সংযোগ না হলে এ অঞ্চল জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে স্থায়ীভাবে পানির তলে চলে যাবে। নিজেদের এবং জনপদের স্থায়ী জলবদ্ধতা থেকে মুক্তির জন্য জমির মালিকদের বিলে বিলে টিআরএম কার্যকর করতে সহযোগিতার আহ্বান জানান হয়।
এতে আরো বলা হয়, বিলে টিআরএম হলে বিল ভরাট ও উঁচু হবে। জমি চাষাবাদের উপযোগী হয়ে উঠবে। বিলের জমির মালিক, ঘের মালিক, বর্গাচাষি, শ্রমজীবী, মৎস্যজীবী এবং বিলের উপর নির্ভরশীল প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবাই ক্ষতিপূরণের আওতাভুক্ত হবে।
গণসমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ভৈরব নদ সংস্কার আন্দোলনের নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, কপোতক্ষ নদ বাঁচাও আন্দোলনের নেতা অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, মুক্তেশ্বরী সংস্কার আন্দোলনের নেতা আলাউদ্দিন, জুলাই অভ্যুত্থানে যশোরের সমন্বয়ক রাশেদ খান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনোজিত বালা, মাসুদ শেখ, আব্দুল মান্নান মোল্লা, বাপার আবু সাঈদ প্রমুখ।
ঢাকা/প্রিয়ব্রত/বকুল